ফেলানী হত্যার ১১ বছরেও বিচার পায়নি পরিবার

আলোচিত ফেলানী খাতুন হত্যার ১১ বছর পরও শান্ত হয়নি কুড়িগ্রামের সীমান্ত এলাকা। আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের ওপর চাপের কারণে সীমান্ত ট্রিগার ফ্রি হওয়ার আশা করা হলেও আদৌ থামেনি সীমান্ত হত্যা। ১১ বছরে সীমান্তে ২৮ জন নিহত হয়েছে। এখানো থামেনি গুলিবর্ষণ, হত্যা আর নির্যাতন। গতকাল ফেলানী খাতুনের নিহতের ১১বছর পূর্ণতার দিনে তার পরিবার ন্যায়বিচারের আশায় কথা বলেছে। জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনীটারী গ্রামের নূরুল ইসলাম নুরু কাজের প্রয়োজনে পরিবার নিয়ে চলে গিয়েছিলেন ভারতের আসাম রাজ্যের বোয়াইলপাড়া জেলার বঙ্গাইগাও এলাকায়। কিশোরী ফেলানীর বিয়ে ঠিক হয় বাংলাদেশে। বিয়ের উদ্দেশে বাবার সঙ্গে ভারত থেকে দেশে আসছিল বাবার সঙ্গে। ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারি ভোর ৬টায় ফুলবাড়ি উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে কাঁটাতারের উপরে মই দিয়ে পার হচ্ছিল তারা। এ সময় ভারতীয় বিএসএফের টহলদল টের পেয়ে গুলি চালায়। এ সময় ফেলানীর বাবা বাংলাদেশ অভ্যন্তরে নেমে পড়ায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস মইয়ের উপরেই গুলিবিদ্ধ হয়ে কাঁটাতারে উল্টোভাবে ঝুলে পড়ে যান ফেলানী। প্রায় আধা ঘণ্টা ছটফট করে নির্মমভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ফেলানী। সকাল পৌনে ৭টার থেকে নিথর দেহ কাঁটা তারের উপর ঝুলে থাকে দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে। করুণ এই দৃশ্য গণমাধ্যমসহ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপর বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। পরে বিএসএফের বিশেষ কোর্টে দুই দফায় বিচারিক রায়ে খালাস পায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ। এ রায় প্রত্যাখান করে ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন মাসুমের সহযোগিতায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম। কিন্তু এখনো সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে হতাশ ফেলানীর পরিবার।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কুচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। বিএসএফের কোর্টে সাক্ষী দেন ফেলানীর বাবা এবং মামা হানিফ। পরের মাসে ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিএসএফের বিশেষ কোর্ট। রায় প্রত্যাখান করে পুনঃবিচারের দাবি জানান ফেলানীর বাবা। পরের বছর ২০১৪ সালের ২২ম সেপ্টেম্বর পুনঃবিচার শুরু হলে ১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। ২০১৫ সালের ২ জুলাই এ আদালত পুনরায় আত্মস্বীকৃত আসামি অমিয় ঘোষ আবারও বেকসুর খালাস পায়। এই রায়েও সন্তুষ্ট হতে না পেরে ওই বছর ১৪ জুলাই ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ ‘মাসুম’ ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন করে। ওই বছর ৬ অক্টোবর রিট শুনানি শুরু হয়। ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে কয়েক দফা শুনানি পিছিয়ে যায়। পরে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ করোনা শুরুর আগে শুনানির দিন ধার্য হলেও শুনানি হয়নি এখনো। এদিকে মেয়ের হত্যাকারীর বিচার না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ফেলানীর পরিবার।

নুর ইসলাম বলেন, আমার চোখের সামনেই মেয়েকে হত্যা করেছে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ। কিন্তু আমি আজও ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার পাইনি। খুনি অমিয় ঘোষের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই।

ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, ফেলানীকে ওর খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার উদ্দেশে ভারত থেকে আসছিল ফেলানীর বাবাসহ। কিন্তু বিএসএরে গুলিতে আমার মেয়ে কনের সাজে না সেজে সাদা কাপড়ে সেজে দুনিয়া থেকে চলে গেল। আমার মেয়ের মুখটিও শেষ দেখা দেখতে পারিনি। মা হিসেবে যে কি কষ্ট বুঝাতে পারবো না। গুলি লেগে কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। পানি পানি করে চিৎকার করলেও আমার ফেলানীর মুখে পানি পড়েনি। আমি খুনি অমিয় ঘোষের ফাঁসি চাই। তাইলে আমার এবং ফেলানীর আত্মা শান্তি পাবে।

বহুল আলোচিত ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার না হওয়ায় জেলার সীমান্তে এখনো বিএসএফের বর্বরচিত হামলার শিকার হয়ে অনেকেই নিহত হচ্ছেন। কেউবা পঙ্গুত্ব বরণ করছেন।

কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এবং গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ১১ বছরে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সীমান্তে ২৫ জন বাংলাদেশি-ভারতীয় নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছে অনেকেই। এর মধ্যে ফুলাবাড়িতে ২০১১ সালে ফেলানী, ২০১২ সালে আলমগীর হোসেন, ২০১৫ সালে শ্যামল চন্দ্র বাদ্রকার, একই বছরে উলিপুরে বায়েজিদ হোসেন, ২০১৯ সালে ভারতীয় নাগরিক সবুর মিয়া, নাগেশ^রীতে ২০১৯ সালে আবুল হাসেম, ২০২০ সালে ছবিল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, একই বছর রৌমারীতে হাসিনুর রহমান, ২০১৬ সালে ফুলু মিয়া, তাহারুল ইসলাম, নুরল আমিন, নুর ইসলাম, বাহারুল ইসলাম, মনসের আলী, ২০২০ সালে খয়বর আলী, শাহিনুর রহমান ফকির চাঁদ, আখিরুল ইসলাম, ২০২১ সালে হাসিবুর রহমান, সহিবর রহমান, রাশেদুল ইসলাম এবং ভারতীয় নাগরিক মোহাম্মদ আলী, ২০১৬ সালে ভূরুঙ্গামারীতে আবদুল বারেক, ২০১৭ সালে জাহাঙ্গীর আলম এবং ২০১৯ সালে ভারতীয় নাগরিক আখেরুল ইসলাম।

কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ফেলানীর রক্ত বৃথা যায়নি। ফেলানী হত্যার আগে সীমান্তে ট্রিগার ফ্রি ছিল। এখন বিএসএফ গুলি করলে জবাবদিহিতার মুখে পড়ে। আগে যেমন নিত্য খুন-খারাবি ছিল সেটা কমে এসেছে। এটা একটা আমাদের প্রাপ্তির জায়গা বলে মনে করি। কিন্তু ফেলানী হত্যা ঘিরে ন্যায়বিচার পাইনি, আমরা সেটার অপেক্ষায়।

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২ , ২৪ পৌষ ১৪২৮ ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

ফেলানী হত্যার ১১ বছরেও বিচার পায়নি পরিবার

হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম

image

আলোচিত ফেলানী খাতুন হত্যার ১১ বছর পরও শান্ত হয়নি কুড়িগ্রামের সীমান্ত এলাকা। আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের ওপর চাপের কারণে সীমান্ত ট্রিগার ফ্রি হওয়ার আশা করা হলেও আদৌ থামেনি সীমান্ত হত্যা। ১১ বছরে সীমান্তে ২৮ জন নিহত হয়েছে। এখানো থামেনি গুলিবর্ষণ, হত্যা আর নির্যাতন। গতকাল ফেলানী খাতুনের নিহতের ১১বছর পূর্ণতার দিনে তার পরিবার ন্যায়বিচারের আশায় কথা বলেছে। জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনীটারী গ্রামের নূরুল ইসলাম নুরু কাজের প্রয়োজনে পরিবার নিয়ে চলে গিয়েছিলেন ভারতের আসাম রাজ্যের বোয়াইলপাড়া জেলার বঙ্গাইগাও এলাকায়। কিশোরী ফেলানীর বিয়ে ঠিক হয় বাংলাদেশে। বিয়ের উদ্দেশে বাবার সঙ্গে ভারত থেকে দেশে আসছিল বাবার সঙ্গে। ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারি ভোর ৬টায় ফুলবাড়ি উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে কাঁটাতারের উপরে মই দিয়ে পার হচ্ছিল তারা। এ সময় ভারতীয় বিএসএফের টহলদল টের পেয়ে গুলি চালায়। এ সময় ফেলানীর বাবা বাংলাদেশ অভ্যন্তরে নেমে পড়ায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস মইয়ের উপরেই গুলিবিদ্ধ হয়ে কাঁটাতারে উল্টোভাবে ঝুলে পড়ে যান ফেলানী। প্রায় আধা ঘণ্টা ছটফট করে নির্মমভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ফেলানী। সকাল পৌনে ৭টার থেকে নিথর দেহ কাঁটা তারের উপর ঝুলে থাকে দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে। করুণ এই দৃশ্য গণমাধ্যমসহ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপর বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। পরে বিএসএফের বিশেষ কোর্টে দুই দফায় বিচারিক রায়ে খালাস পায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ। এ রায় প্রত্যাখান করে ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন মাসুমের সহযোগিতায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম। কিন্তু এখনো সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে হতাশ ফেলানীর পরিবার।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কুচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। বিএসএফের কোর্টে সাক্ষী দেন ফেলানীর বাবা এবং মামা হানিফ। পরের মাসে ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিএসএফের বিশেষ কোর্ট। রায় প্রত্যাখান করে পুনঃবিচারের দাবি জানান ফেলানীর বাবা। পরের বছর ২০১৪ সালের ২২ম সেপ্টেম্বর পুনঃবিচার শুরু হলে ১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। ২০১৫ সালের ২ জুলাই এ আদালত পুনরায় আত্মস্বীকৃত আসামি অমিয় ঘোষ আবারও বেকসুর খালাস পায়। এই রায়েও সন্তুষ্ট হতে না পেরে ওই বছর ১৪ জুলাই ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ ‘মাসুম’ ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন করে। ওই বছর ৬ অক্টোবর রিট শুনানি শুরু হয়। ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে কয়েক দফা শুনানি পিছিয়ে যায়। পরে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ করোনা শুরুর আগে শুনানির দিন ধার্য হলেও শুনানি হয়নি এখনো। এদিকে মেয়ের হত্যাকারীর বিচার না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ফেলানীর পরিবার।

নুর ইসলাম বলেন, আমার চোখের সামনেই মেয়েকে হত্যা করেছে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ। কিন্তু আমি আজও ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার পাইনি। খুনি অমিয় ঘোষের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই।

ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, ফেলানীকে ওর খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার উদ্দেশে ভারত থেকে আসছিল ফেলানীর বাবাসহ। কিন্তু বিএসএরে গুলিতে আমার মেয়ে কনের সাজে না সেজে সাদা কাপড়ে সেজে দুনিয়া থেকে চলে গেল। আমার মেয়ের মুখটিও শেষ দেখা দেখতে পারিনি। মা হিসেবে যে কি কষ্ট বুঝাতে পারবো না। গুলি লেগে কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। পানি পানি করে চিৎকার করলেও আমার ফেলানীর মুখে পানি পড়েনি। আমি খুনি অমিয় ঘোষের ফাঁসি চাই। তাইলে আমার এবং ফেলানীর আত্মা শান্তি পাবে।

বহুল আলোচিত ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার না হওয়ায় জেলার সীমান্তে এখনো বিএসএফের বর্বরচিত হামলার শিকার হয়ে অনেকেই নিহত হচ্ছেন। কেউবা পঙ্গুত্ব বরণ করছেন।

কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এবং গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ১১ বছরে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সীমান্তে ২৫ জন বাংলাদেশি-ভারতীয় নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছে অনেকেই। এর মধ্যে ফুলাবাড়িতে ২০১১ সালে ফেলানী, ২০১২ সালে আলমগীর হোসেন, ২০১৫ সালে শ্যামল চন্দ্র বাদ্রকার, একই বছরে উলিপুরে বায়েজিদ হোসেন, ২০১৯ সালে ভারতীয় নাগরিক সবুর মিয়া, নাগেশ^রীতে ২০১৯ সালে আবুল হাসেম, ২০২০ সালে ছবিল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, একই বছর রৌমারীতে হাসিনুর রহমান, ২০১৬ সালে ফুলু মিয়া, তাহারুল ইসলাম, নুরল আমিন, নুর ইসলাম, বাহারুল ইসলাম, মনসের আলী, ২০২০ সালে খয়বর আলী, শাহিনুর রহমান ফকির চাঁদ, আখিরুল ইসলাম, ২০২১ সালে হাসিবুর রহমান, সহিবর রহমান, রাশেদুল ইসলাম এবং ভারতীয় নাগরিক মোহাম্মদ আলী, ২০১৬ সালে ভূরুঙ্গামারীতে আবদুল বারেক, ২০১৭ সালে জাহাঙ্গীর আলম এবং ২০১৯ সালে ভারতীয় নাগরিক আখেরুল ইসলাম।

কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ফেলানীর রক্ত বৃথা যায়নি। ফেলানী হত্যার আগে সীমান্তে ট্রিগার ফ্রি ছিল। এখন বিএসএফ গুলি করলে জবাবদিহিতার মুখে পড়ে। আগে যেমন নিত্য খুন-খারাবি ছিল সেটা কমে এসেছে। এটা একটা আমাদের প্রাপ্তির জায়গা বলে মনে করি। কিন্তু ফেলানী হত্যা ঘিরে ন্যায়বিচার পাইনি, আমরা সেটার অপেক্ষায়।