দামে ঊর্ধ্বমুখী, বাজার চড়া

সবজির সঙ্গে বেড়েছে মুরগি ও চালে

কম টাকায় মাংসের চাহিদা পূরণ করতে ব্রয়লার মুরগির তুলনা হয় না। দাম কম হওয়ায় অনেকেরই পছন্দের তালিকায় ছিল ব্রয়লার। কিন্তু এই পণ্যটির দামও গত কয়েক মাস ধরে ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২শ’ টাকায়। সেই সঙ্গে দেশি ও অন্য মুরগির দামও বেড়েছিল। তবে গতকাল থেকে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল বয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকা কেজি থেকে কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে। রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য দেখা গেছে।

গতকাল কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, সবজির ভরা মৌসুম হলেও দাম বাড়তি রয়েছে। কয়েক দিন আগে যে শিম বাজারে ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। বাড়তি রয়েছে লাউ, কপি, ব্রকলি, টমেটোর দামও।

এদিকে গত সপ্তাহে হঠাৎ করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার খবর আসে। ব্যবসায়ীরা এককভাবে তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে। লিটারে আট টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব গত বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে বাতিল করার পর স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে। বাজারে সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা লিটার।

শীতে সবজির জোগান বাড়লেও সে অনুযায়ী শীতের সবজির দামে খুব বেশি সুবিধা পায়নি ক্রেতা। বাজারে এখনও প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫-৪০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা কেজি, শিম ৫০ টাকা, বড় বিচিসহ বা নরসিংদীর শিম বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজিতে। এ ছাড়া এই সময়ে ভালো শালগম ও ব্রকলি পাওয়া গেলেও সেগুলোর দাম নাগালের বাইরে। শালগম ৫০ টাকা, আর ব্রকলি ৫০-৬০ টাকা পিস।

অবশ্য বাজারে আলুর দামে হেরফের হয়নি। আগের সপ্তাহে ৩৫ টাকা কেজির দেশি আলু এ সপ্তাহেও সমান দামেই বিক্রি হচ্ছে। কাঁচবাজারে পাকা টমেটোর কেজি ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শাকজাতীয় খাদ্যের মধ্যে লালশাক, মুলাশাক ১৫ টাকা আঁটি, পালংশাক ৩০ টাকা, মেথিশাক ২০ টাকা, ডাটাশাক ২০ টাকা আঁটিতে বিক্রি হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের বাজারে সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে গত সপ্তাহের তুলনায় সরু চাল (নাজির বা মিনিকেট) ৫৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৮ টাকা। মাঝারি মানের চাল (পাইজাম বা লতা) ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৬ টাকা। স্বর্ণা ও চায়না ইরি জাতের মোটা চলের দাম ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮ টাকা।

বাজারে খোলা আটার দাম আগের সপ্তাহের মতোই অপরিবর্তিত আছে। তবে প্যাকেট আটার দাম ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা হয়েছে। খোলা ময়দার দাম ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। প্যাকেট ময়দার দাম আগের সপ্তাহের মতো ৫০ টাকায় স্থির আছে।

পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। দেশি পেঁয়াজের দাম আগের সপ্তাহের ৫৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায় নেমেছে। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা হয়েছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, আমদানি করা রসুন ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজিতে।

মাছের বাজারে রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি। ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি, কাতল ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি। টাকি মাছ ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৩০ টাকা, শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজিতে।

এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি।

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২ , ২৪ পৌষ ১৪২৮ ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

দামে ঊর্ধ্বমুখী, বাজার চড়া

সবজির সঙ্গে বেড়েছে মুরগি ও চালে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

কম টাকায় মাংসের চাহিদা পূরণ করতে ব্রয়লার মুরগির তুলনা হয় না। দাম কম হওয়ায় অনেকেরই পছন্দের তালিকায় ছিল ব্রয়লার। কিন্তু এই পণ্যটির দামও গত কয়েক মাস ধরে ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২শ’ টাকায়। সেই সঙ্গে দেশি ও অন্য মুরগির দামও বেড়েছিল। তবে গতকাল থেকে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল বয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকা কেজি থেকে কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে। রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য দেখা গেছে।

গতকাল কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, সবজির ভরা মৌসুম হলেও দাম বাড়তি রয়েছে। কয়েক দিন আগে যে শিম বাজারে ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। বাড়তি রয়েছে লাউ, কপি, ব্রকলি, টমেটোর দামও।

এদিকে গত সপ্তাহে হঠাৎ করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার খবর আসে। ব্যবসায়ীরা এককভাবে তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে। লিটারে আট টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব গত বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে বাতিল করার পর স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে। বাজারে সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা লিটার।

শীতে সবজির জোগান বাড়লেও সে অনুযায়ী শীতের সবজির দামে খুব বেশি সুবিধা পায়নি ক্রেতা। বাজারে এখনও প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫-৪০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা কেজি, শিম ৫০ টাকা, বড় বিচিসহ বা নরসিংদীর শিম বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজিতে। এ ছাড়া এই সময়ে ভালো শালগম ও ব্রকলি পাওয়া গেলেও সেগুলোর দাম নাগালের বাইরে। শালগম ৫০ টাকা, আর ব্রকলি ৫০-৬০ টাকা পিস।

অবশ্য বাজারে আলুর দামে হেরফের হয়নি। আগের সপ্তাহে ৩৫ টাকা কেজির দেশি আলু এ সপ্তাহেও সমান দামেই বিক্রি হচ্ছে। কাঁচবাজারে পাকা টমেটোর কেজি ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শাকজাতীয় খাদ্যের মধ্যে লালশাক, মুলাশাক ১৫ টাকা আঁটি, পালংশাক ৩০ টাকা, মেথিশাক ২০ টাকা, ডাটাশাক ২০ টাকা আঁটিতে বিক্রি হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের বাজারে সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে গত সপ্তাহের তুলনায় সরু চাল (নাজির বা মিনিকেট) ৫৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৮ টাকা। মাঝারি মানের চাল (পাইজাম বা লতা) ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৬ টাকা। স্বর্ণা ও চায়না ইরি জাতের মোটা চলের দাম ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮ টাকা।

বাজারে খোলা আটার দাম আগের সপ্তাহের মতোই অপরিবর্তিত আছে। তবে প্যাকেট আটার দাম ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা হয়েছে। খোলা ময়দার দাম ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। প্যাকেট ময়দার দাম আগের সপ্তাহের মতো ৫০ টাকায় স্থির আছে।

পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। দেশি পেঁয়াজের দাম আগের সপ্তাহের ৫৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায় নেমেছে। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা হয়েছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, আমদানি করা রসুন ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজিতে।

মাছের বাজারে রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি। ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি, কাতল ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি। টাকি মাছ ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৩০ টাকা, শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজিতে।

এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি।