বিতর্কের মধ্যে পদ হারানো সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জিডির তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। তবে জিডির তদন্ত করতে আদালতের অনুমতির দরকার হওয়ায় এখনো তদন্ত শুরু করতে পারেনি পুলিশ। আজ শনিবার আদালত থেকে অনুমতি পেলে শুরু হবে তদন্ত কাজ। এতে যদি তদন্ত কর্মকর্তা মনে করেন, অভিযুক্ত মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন, তাহলেই তলব করে তাকে থানায় ডাকা হবে।

এদিকে মারধর ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ এনে জিডি করা মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের নিরাপত্তার বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজর রাখছে পুলিশ। তিনি কোন সমস্যা বোধ করলে যেন সঙ্গে সঙ্গে তাকে সাপোর্ট দেয়া যায়, পুলিশের পক্ষ থেকে সে প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, আমরা ওনার (ডা. জাহানারা এহসান) সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। উনি সমস্যা বোধ করলে বা নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করলে আমাদের জানাবেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবো। ওসি আরও বলেন, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা যদি মনে করে মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন, তাহলে তাকে তলব করা হবে। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এসআই রাজিব হাসান বলেন, জিডি হয়েছে। তদন্ত শুরু করার জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন হয়। গতকাল শুক্রবার হওয়ায় আজ আদালতের অনুমতির জন্য আবেদন করবো। অনুমতি পাওয়ার পর তদন্ত শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জিডিতে ডা. জাহানারা এহসান অভিযোগ করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি (মুরাদ) কারণে-অকারণে আমাকে এবং সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করাসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন এবং হত্যার হুমকিও দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌনে ৩টার দিকে আগের মতো আমাকে এবং আমার সন্তানদের গালাগাল করে এবং মারধর করার জন্য উদ্ধত হলে আমি ৯৯৯-এ কল করি। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ বাসার ঠিকানায় পৌঁছালে বিবাদী বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বিবাদী আমাকে এবং আমার সন্তানদের যেকোন সময় ক্ষতিসাধন করতে পারে।