আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি সফল ১৩০টি পরিবার

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরি করে সাড়া জাগিয়েছে ১৩০টি পরিবার। শীতকালীন এ মৌসুমে বিষমুক্ত সবজী উৎপাদন করে পারিবারের চাহিদা মিটিয়ে কৃষক বাজারেও বিক্রি করছেন শীতকালীন বিভিন্ন প্রকারের এ সবজী। অন্যদিকে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হচ্ছে এ সবজি দিয়ে।

সরেজমিনে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এক টকুরো জমিও অনাবাদি থাকবেনা। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে অনাবাদি, পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন এখন সাড়া জাগিয়েছে গোটা উপজেলায়। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের আঙ্গিনায় দেড় শতক জমিতে ৯ প্রকারের সবজি বীজ ও ৫ প্রকারের ফলের গাছের বাগান করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারছেন সাধারণ কৃষক।

কাঁঠালতলা গ্রামের কৃষক আশীষ কুমার ঢালী, বিউটি ঢালী, কৃষ্ণ কান্ত হালদার, পশ্চিম সরালিয়া গ্রামের মাহবুবুবর রহমান মোল্লা, বিশারীঘাটা গ্রামের বেল্লাল হোসেনসহ একাধিক কৃষক জানান, কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিনামূল্যে সারও বীজ পেয়ে তারা তাদের বাড়ির আঙিনায় লালশাক, পালংশাক, গিমাকলমি, ঘিকাঞ্চন, লাউ, কুমড়া, মূলা, সিম, শালগম, আলু ও হাইব্রিড মরিচ এরকম শতিকালীন ৯ প্রকারের সবজী উৎপাদন করে তাদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাজারে বিক্রি করতে পারছেন। এ থেকে তারা সন্তানদের লেখা পড়ার ব্যায় বহনসহ সংসারের অন্যান্য খরচও মেটাচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেক কৃষক আবার মালটা, পেয়ারা, আম, লেবু, বলসুন্দরী কুল উৎপাদন করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন।

কৃষানী বিউটি ঢালী বলেন, এক সময় সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হতো। বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমিতে সবজী উৎপাদন করে এভাবে আয়ের উৎস তৈরি করা যায় তা কখনো ভাবিনি। আমাদের সংসার এখন খুবই ভালোভাবে চলছে।

এ সম্পর্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ বলেন, কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে পারিবারিক পুষ্টিবাগান প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ১৩০টি পরিবারের মাঝে চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো বৃদ্ধি করা হবে। এ ক্ষেত্রে একদিকে সাধারণ কৃষক বিষমুক্ত সবজী পাচ্ছে অপরদিকে পারিবারিক পুষ্টিহীনতাও লাঘব হচ্ছে।

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২ , ২৪ পৌষ ১৪২৮ ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি সফল ১৩০টি পরিবার

গণেশ পাল, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

image

মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) : বিষমুক্ত সবজি বাগানে সফল চাষি বিউটি ঢালী -সংবাদ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরি করে সাড়া জাগিয়েছে ১৩০টি পরিবার। শীতকালীন এ মৌসুমে বিষমুক্ত সবজী উৎপাদন করে পারিবারের চাহিদা মিটিয়ে কৃষক বাজারেও বিক্রি করছেন শীতকালীন বিভিন্ন প্রকারের এ সবজী। অন্যদিকে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হচ্ছে এ সবজি দিয়ে।

সরেজমিনে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এক টকুরো জমিও অনাবাদি থাকবেনা। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে অনাবাদি, পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন এখন সাড়া জাগিয়েছে গোটা উপজেলায়। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের আঙ্গিনায় দেড় শতক জমিতে ৯ প্রকারের সবজি বীজ ও ৫ প্রকারের ফলের গাছের বাগান করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারছেন সাধারণ কৃষক।

কাঁঠালতলা গ্রামের কৃষক আশীষ কুমার ঢালী, বিউটি ঢালী, কৃষ্ণ কান্ত হালদার, পশ্চিম সরালিয়া গ্রামের মাহবুবুবর রহমান মোল্লা, বিশারীঘাটা গ্রামের বেল্লাল হোসেনসহ একাধিক কৃষক জানান, কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিনামূল্যে সারও বীজ পেয়ে তারা তাদের বাড়ির আঙিনায় লালশাক, পালংশাক, গিমাকলমি, ঘিকাঞ্চন, লাউ, কুমড়া, মূলা, সিম, শালগম, আলু ও হাইব্রিড মরিচ এরকম শতিকালীন ৯ প্রকারের সবজী উৎপাদন করে তাদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাজারে বিক্রি করতে পারছেন। এ থেকে তারা সন্তানদের লেখা পড়ার ব্যায় বহনসহ সংসারের অন্যান্য খরচও মেটাচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেক কৃষক আবার মালটা, পেয়ারা, আম, লেবু, বলসুন্দরী কুল উৎপাদন করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন।

কৃষানী বিউটি ঢালী বলেন, এক সময় সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হতো। বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমিতে সবজী উৎপাদন করে এভাবে আয়ের উৎস তৈরি করা যায় তা কখনো ভাবিনি। আমাদের সংসার এখন খুবই ভালোভাবে চলছে।

এ সম্পর্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ বলেন, কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে পারিবারিক পুষ্টিবাগান প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ১৩০টি পরিবারের মাঝে চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো বৃদ্ধি করা হবে। এ ক্ষেত্রে একদিকে সাধারণ কৃষক বিষমুক্ত সবজী পাচ্ছে অপরদিকে পারিবারিক পুষ্টিহীনতাও লাঘব হচ্ছে।