টাইগারদের জন্য হ্যাগলিতে সবুজ ও বাউন্সি উইকেট

প্রথম টেস্ট শুরুর আগে টিভিতে আলোচনায় ধারাভাষ্যকার মার্ক রিচার্ডসন, ব্রেন্ডন ম্যাককালামরা বলেছিলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে এত কম ঘাসের উইকেট গত কয়েক বছরে দেখিনি।’ খেলা শুরুর পর দেখা যায়, শুধু ঘাসই কম নয়, নিউজিল্যান্ড বিবেচনায় উইকেট বেশ মন্থরও। বাংলাদেশ ফায়দা নেয় দারুণভাবেই। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটসম্যানদের অপেক্ষায় আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ৩২৮ রানে অলআউট করার পর ব্যাটিংয়ে অবিশ্বাস্য দৃঢ়তা দেখায় বাংলাদেশ। জবাবে ১৭৬.২ ওভার উইকেটে কাটায় বাংলাদেশ, উপমহাদেশের বাইরে যা তাদের সবচেয়ে বেশি ওভার ব্যাটিংয়ের রেকর্ড। দুইশর বেশি বল খেলেন দুজন ব্যাটসম্যান, দেড়শর বেশি আরেকজন, একশর বেশি আরও একজন। দুজন খেলেন আশি বলের বেশি। ১৩০ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশ প্রচ- চাপে ফেলে দেয় নিউজিল্যান্ডকে।

দেশের মাঠে কিউইদের যে পেস আক্রমণ বিশ্বের বড় বড় ব্যাটসম্যানদের মাথাব্যথার কারণ, তারাই মাথাকুটে মরে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সামনে।

ক্রাইস্টচার্চে অবশ্য বোলারদের কাজ আরেকটু সহজ হবে, ব্যাটসম্যানদের কাজ হবে কঠিন। উইকেট দেখে রস টেলর তেমনই মনে করছেন। হ্যাগলি ওভালের উইকেটে বাউন্স সবসময়ই ভালো, সঙ্গে ঘাসও থাকবে অনেক, শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন নিউজিল্যান্ডের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

‘এই মাঠ আমরা খুব ভালোভাবে চিনি। আমার মনে হয়, মাউন্টে (আগের টেস্টের ভেন্যু) কীভাবে খেলা উচিত, আমরা এখনও তা বুঝে ওঠার চেষ্টা করছি। কিন্তু এখানকার উইকেট সম্পর্কে আমাদের ধারণা অনেক বেশি। আমার মনে হয়, এখানে বাউন্স থাকবে ও বল ভালোভাবে কিপারের কাছে যাবে পুরো সময়ই। অনেক ঘাস থাকবে এখানে।’

‘বোলারদের জিভে জল চলে আসবে উইকেট দেখে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি নিবেদন দেখাতে হবে গত টেস্টের চেয়ে। তবে আমাদের ব্যাটাররা এই কন্ডিশনে অনেক অভ্যস্ত, বোলাররাও।’

এই টেস্ট দিয়ে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ডে ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে স্পর্শ করবেন টেলর (১১২)। তবে রেকর্ডটি শুধু নিজের করে নেয়া হবে না। সিরিজ শুরুর আগেই তিনি ঘোষণা করেছেন, এই সিরিজই শেষ। ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট তাই তার বিদায়ি টেস্ট।

১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে অনেক আবেগ তার মনে খেলে যেতে পারে। তাতে স্বাভাবিক পারফরম্যান্স বাধাগ্রস্ত হওয়ার সুযোগও থাকে। দল হেরে যাওয়ায় এখন টেলরের বিদায়ের চেয়ে দলীয় লক্ষ্যে নজর থাকবে বেশি, এটিকে তিনি মনে করছেন দারুণ ইতিবাচক। ‘ক্রিকেট আবার জীবনের বড় অংশ। সবসময়ই টেস্ট ক্রিকেট খেলতে উপভোগ করেছি। তবে সিরিজের বাস্তবতার কারণেই হয়তো কাজটা সহজ হবে (আবেগ দূরে রাখা)। আমরা জানি, ১-০তে পিছিয়ে আছি, আমাদের জিততেই হবে, শুধু সিরিজ বাঁচাতে নয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্টের জন্যও। মনোযোগ তাই সেখানে, যা খুব খারাপ ব্যাপার নয়।’

হ্যাগলি ওভাল মাঠের গ্রাউন্ডসম্যানদের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে টেলর বলেন, ‘আমি শুধু তাদের জিজ্ঞেস করেছি এটা চিরাচরিত উইকেট কি-না। ওরা বলেছে, হ্যাঁ। আর হ্যাগলি ওভালে চিরাচরিত উইকেট মানেই সবুজাভ এবং টস জেতা মানে বোলিং নাও।’

টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে

বাংলাদেশের ভালো করা দরকার

এক টেস্ট জয় যেন বদলে দিয়েছে দৃশ্যপট। নিউজিল্যান্ড ঘরের মাঠে যখন টেস্ট হারতে ভুলে গিয়েছিল। তখনই অসাধ্য সাধন করেছে বাংলাদেশ। দেশটিতে পেয়েছে প্রথম জয়। এরপর চারদিক থেকে প্রশংসার বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।

কিউই দলের অন্যতম সদস্য রস টেলর মনে করেন, টেস্ট ক্রিকেটের স্বার্থেই বাংলাদেশের ভালো করা দরকার। স্বীকার করেছেন, পুরো ম্যাচজুড়েই দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘যখন আপনার লম্বা ক্যারিয়ার হবে তখন উঁচু-নিচু দেখবেন আপনি। যদি আপনি এখানে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে দেখেন তাহলে এটা (বাংলাদেশের জয়) বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য ভালো।’ ‘বাংলাদেশ দলের এখানে (নিউজিল্যান্ড), টেস্ট জেতা। ক্রিকেটের জন্য আমার মনে হয় না এটা খারাপ ফল। হ্যাঁ, আমাদের জন্য হতাশার। আমরা সেভাবে লড়াই করতে পারিনি, গোটা সময়েই আমরা স্রেফ উড়ে গিয়েছি। তবে টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাদেশের মতো দলের ভালো করা দরকার।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টি বাংলাদেশকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে বলেও মনে করেন টেলর, ‘এই জয় বাংলাদেশকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিবে, কেবল এই সফরের জন্য নয়, তারা এরপর আগামী বছরগুলোতে যেখানেই যাবে।’

‘তাদের বয়সের দিকে তাকান। তাদের ক্রিকেটাররা বেশ তরুণ, তারুণ্যে ভরা এক দল। তারা এখান থেকে নিশ্চিতভাবে কনফিডেন্স পাবে। আশা করি যেমনটা আমি আগে বললাম বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য তারা আরও প্রতিযোগিতামূলক দল হবে। যত দিন যাবে ভালো করবে।’

দ্বিতীয় টেস্টটা টেলরের সাদা পোশাকের শেষ ম্যাচ। এছাড়া প্রথম টেস্টটাও রাঙাতে পারেননি। তার ওপর যোগ হয়েছে ৮ উইকেটের লজ্জার হার। এই অবস্থাতেও বাংলাদেশের জয়কে নেতিবাচকভাবে দেখেন না তিনি। বরং মনে করছেন, মোমিনুলদের জয়টা বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যই ভালো, ‘পুরোটা সময় আমাদের ওরা ম্যাচের বাইরে রাখতে পেরেছে। তবে টেস্ট ক্রিকেটের টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশের মতো দেশের উঠে আসা প্রয়োজন। এই জয় থেকে ওরা অনেক আত্মবিশ্বাস পাবে।’

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২ , ২৪ পৌষ ১৪২৮ ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

টাইগারদের জন্য হ্যাগলিতে সবুজ ও বাউন্সি উইকেট

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওবাল মাঠ। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ২য় টেস্ট এই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে -ফাইল ছবি

প্রথম টেস্ট শুরুর আগে টিভিতে আলোচনায় ধারাভাষ্যকার মার্ক রিচার্ডসন, ব্রেন্ডন ম্যাককালামরা বলেছিলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে এত কম ঘাসের উইকেট গত কয়েক বছরে দেখিনি।’ খেলা শুরুর পর দেখা যায়, শুধু ঘাসই কম নয়, নিউজিল্যান্ড বিবেচনায় উইকেট বেশ মন্থরও। বাংলাদেশ ফায়দা নেয় দারুণভাবেই। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটসম্যানদের অপেক্ষায় আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ৩২৮ রানে অলআউট করার পর ব্যাটিংয়ে অবিশ্বাস্য দৃঢ়তা দেখায় বাংলাদেশ। জবাবে ১৭৬.২ ওভার উইকেটে কাটায় বাংলাদেশ, উপমহাদেশের বাইরে যা তাদের সবচেয়ে বেশি ওভার ব্যাটিংয়ের রেকর্ড। দুইশর বেশি বল খেলেন দুজন ব্যাটসম্যান, দেড়শর বেশি আরেকজন, একশর বেশি আরও একজন। দুজন খেলেন আশি বলের বেশি। ১৩০ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশ প্রচ- চাপে ফেলে দেয় নিউজিল্যান্ডকে।

দেশের মাঠে কিউইদের যে পেস আক্রমণ বিশ্বের বড় বড় ব্যাটসম্যানদের মাথাব্যথার কারণ, তারাই মাথাকুটে মরে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সামনে।

ক্রাইস্টচার্চে অবশ্য বোলারদের কাজ আরেকটু সহজ হবে, ব্যাটসম্যানদের কাজ হবে কঠিন। উইকেট দেখে রস টেলর তেমনই মনে করছেন। হ্যাগলি ওভালের উইকেটে বাউন্স সবসময়ই ভালো, সঙ্গে ঘাসও থাকবে অনেক, শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন নিউজিল্যান্ডের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

‘এই মাঠ আমরা খুব ভালোভাবে চিনি। আমার মনে হয়, মাউন্টে (আগের টেস্টের ভেন্যু) কীভাবে খেলা উচিত, আমরা এখনও তা বুঝে ওঠার চেষ্টা করছি। কিন্তু এখানকার উইকেট সম্পর্কে আমাদের ধারণা অনেক বেশি। আমার মনে হয়, এখানে বাউন্স থাকবে ও বল ভালোভাবে কিপারের কাছে যাবে পুরো সময়ই। অনেক ঘাস থাকবে এখানে।’

‘বোলারদের জিভে জল চলে আসবে উইকেট দেখে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি নিবেদন দেখাতে হবে গত টেস্টের চেয়ে। তবে আমাদের ব্যাটাররা এই কন্ডিশনে অনেক অভ্যস্ত, বোলাররাও।’

এই টেস্ট দিয়ে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ডে ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে স্পর্শ করবেন টেলর (১১২)। তবে রেকর্ডটি শুধু নিজের করে নেয়া হবে না। সিরিজ শুরুর আগেই তিনি ঘোষণা করেছেন, এই সিরিজই শেষ। ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট তাই তার বিদায়ি টেস্ট।

১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে অনেক আবেগ তার মনে খেলে যেতে পারে। তাতে স্বাভাবিক পারফরম্যান্স বাধাগ্রস্ত হওয়ার সুযোগও থাকে। দল হেরে যাওয়ায় এখন টেলরের বিদায়ের চেয়ে দলীয় লক্ষ্যে নজর থাকবে বেশি, এটিকে তিনি মনে করছেন দারুণ ইতিবাচক। ‘ক্রিকেট আবার জীবনের বড় অংশ। সবসময়ই টেস্ট ক্রিকেট খেলতে উপভোগ করেছি। তবে সিরিজের বাস্তবতার কারণেই হয়তো কাজটা সহজ হবে (আবেগ দূরে রাখা)। আমরা জানি, ১-০তে পিছিয়ে আছি, আমাদের জিততেই হবে, শুধু সিরিজ বাঁচাতে নয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্টের জন্যও। মনোযোগ তাই সেখানে, যা খুব খারাপ ব্যাপার নয়।’

হ্যাগলি ওভাল মাঠের গ্রাউন্ডসম্যানদের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে টেলর বলেন, ‘আমি শুধু তাদের জিজ্ঞেস করেছি এটা চিরাচরিত উইকেট কি-না। ওরা বলেছে, হ্যাঁ। আর হ্যাগলি ওভালে চিরাচরিত উইকেট মানেই সবুজাভ এবং টস জেতা মানে বোলিং নাও।’

টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে

বাংলাদেশের ভালো করা দরকার

এক টেস্ট জয় যেন বদলে দিয়েছে দৃশ্যপট। নিউজিল্যান্ড ঘরের মাঠে যখন টেস্ট হারতে ভুলে গিয়েছিল। তখনই অসাধ্য সাধন করেছে বাংলাদেশ। দেশটিতে পেয়েছে প্রথম জয়। এরপর চারদিক থেকে প্রশংসার বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।

কিউই দলের অন্যতম সদস্য রস টেলর মনে করেন, টেস্ট ক্রিকেটের স্বার্থেই বাংলাদেশের ভালো করা দরকার। স্বীকার করেছেন, পুরো ম্যাচজুড়েই দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘যখন আপনার লম্বা ক্যারিয়ার হবে তখন উঁচু-নিচু দেখবেন আপনি। যদি আপনি এখানে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে দেখেন তাহলে এটা (বাংলাদেশের জয়) বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য ভালো।’ ‘বাংলাদেশ দলের এখানে (নিউজিল্যান্ড), টেস্ট জেতা। ক্রিকেটের জন্য আমার মনে হয় না এটা খারাপ ফল। হ্যাঁ, আমাদের জন্য হতাশার। আমরা সেভাবে লড়াই করতে পারিনি, গোটা সময়েই আমরা স্রেফ উড়ে গিয়েছি। তবে টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাদেশের মতো দলের ভালো করা দরকার।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টি বাংলাদেশকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে বলেও মনে করেন টেলর, ‘এই জয় বাংলাদেশকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিবে, কেবল এই সফরের জন্য নয়, তারা এরপর আগামী বছরগুলোতে যেখানেই যাবে।’

‘তাদের বয়সের দিকে তাকান। তাদের ক্রিকেটাররা বেশ তরুণ, তারুণ্যে ভরা এক দল। তারা এখান থেকে নিশ্চিতভাবে কনফিডেন্স পাবে। আশা করি যেমনটা আমি আগে বললাম বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য তারা আরও প্রতিযোগিতামূলক দল হবে। যত দিন যাবে ভালো করবে।’

দ্বিতীয় টেস্টটা টেলরের সাদা পোশাকের শেষ ম্যাচ। এছাড়া প্রথম টেস্টটাও রাঙাতে পারেননি। তার ওপর যোগ হয়েছে ৮ উইকেটের লজ্জার হার। এই অবস্থাতেও বাংলাদেশের জয়কে নেতিবাচকভাবে দেখেন না তিনি। বরং মনে করছেন, মোমিনুলদের জয়টা বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যই ভালো, ‘পুরোটা সময় আমাদের ওরা ম্যাচের বাইরে রাখতে পেরেছে। তবে টেস্ট ক্রিকেটের টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশের মতো দেশের উঠে আসা প্রয়োজন। এই জয় থেকে ওরা অনেক আত্মবিশ্বাস পাবে।’