ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনী-রহমতগঞ্জ লড়বে কাল

ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আগামীকাল লড়াই করবে। রহমতগঞ্জ মুসলিম এন্ড ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। বৃহস্পতিবার রাতে কমলাপুরে স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ২য় সেমি-ফাইনালে ট্রাইবেকারে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ঢাকা আবাহনী। ।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট ২-২ গোলে সমতায় ছিল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন ম্যাচটি। অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচ ৩-৩ গোলে সমতায় থাকায় ট্রাইবেকারে নিস্পত্তি হয় জয় পরাজয়।

আবাহনীর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে পৌঁছাতে অবদান ছিল গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেলের। ট্রাইবেকারে সাইফ স্পোর্টিংয়ের পঞ্চম শট রুখে দিয়েই তো স্কোর লাইন ৪-৩ রাখতে পেরেছিলেন। তা নাহলে আকাশি-নীল জার্সিধারীদের অপেক্ষা করতে হতো পঞ্চম শট পর্যন্ত। কিন্তু শহীদুল বীরত্বে ম্যাচটা আগেই জেতা হয়ে যায় আবাহনীর। দলকে এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতিয়ে শহীদুলের উচ্ছ্বাসের কমতি থাকার কথা নয়। তবে তাকে সবচেয়ে অবাক করার মতো মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিনদ্রেস! নিজে ম্যাচসেরা হয়েও সেটি তুলে দিয়েছেন শহীদুলের হাতে!

শুক্রবার বিকালে অনুশীলনের আগে এই গোলকিপার বলেন, ‘আসলে সেই সময় চরম উত্তেজনা চলছিল। আগেই বেইসেঙ্গের শট রুখে দিয়েছি। জামালের শট ফেরাতে পারলে দল জিতে যাবে-এমন মুহূর্ত পেয়ে সেকেন্ডের পার্থক্যে বুঝে যাই ও (জামাল) কোন দিকে বল মারছে। সেই দিকেই পরে ঝাঁপিয়ে পড়ি। আসলে কোনও ভাবে আত্মবিশ্বাসের কমতি ছিল না।’

২০০৮ সাল থেকে আবাহনীতে খেলা শহীদুল জানান, ‘ম্যাচটিতে পরতে পরতে উত্তেজনা ছিল। ট্রাইবেকারে চাপে ভেঙে পরিনি। সবাই বেশ উৎসাহ দিয়েছে, সফলও হয়েছি।’

ম্যাচে কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিনদ্রেসও চমৎকার খেলেছেন। গোল করার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ভীতি ছড়িয়েছেন। সেই কলিনদ্রেস-ই ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়ে সেটি তুলে দেন শহীদুলের হাতে। ওই মুহূর্ত নিয়ে শহীদুল বলেছেন, ‘কলিনদ্রেস এই ম্যাচে ভালো খেলেছে। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছে। পরে সেটি আমার হাতেই তুলে দিয়েছে। আসলে ও অনেক উদার। হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে বলেছে, এই পুরস্কার আমার হাতেই মানায়।’

এর আগে একই ভেন্যুতে প্রথম সেমি-ফাইনালে পিছিয়ে পড়ার পরও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে রহমতগঞ্জ।

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২ , ২৪ পৌষ ১৪২৮ ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনী-রহমতগঞ্জ লড়বে কাল

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

ম্যাচ সেরা কলিনদ্রেস। নিজের পুরস্কার তুলে দেন গোলরক্ষক শহীদুলের হাতে

ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আগামীকাল লড়াই করবে। রহমতগঞ্জ মুসলিম এন্ড ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। বৃহস্পতিবার রাতে কমলাপুরে স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ২য় সেমি-ফাইনালে ট্রাইবেকারে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ঢাকা আবাহনী। ।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট ২-২ গোলে সমতায় ছিল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন ম্যাচটি। অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচ ৩-৩ গোলে সমতায় থাকায় ট্রাইবেকারে নিস্পত্তি হয় জয় পরাজয়।

আবাহনীর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে পৌঁছাতে অবদান ছিল গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেলের। ট্রাইবেকারে সাইফ স্পোর্টিংয়ের পঞ্চম শট রুখে দিয়েই তো স্কোর লাইন ৪-৩ রাখতে পেরেছিলেন। তা নাহলে আকাশি-নীল জার্সিধারীদের অপেক্ষা করতে হতো পঞ্চম শট পর্যন্ত। কিন্তু শহীদুল বীরত্বে ম্যাচটা আগেই জেতা হয়ে যায় আবাহনীর। দলকে এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতিয়ে শহীদুলের উচ্ছ্বাসের কমতি থাকার কথা নয়। তবে তাকে সবচেয়ে অবাক করার মতো মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিনদ্রেস! নিজে ম্যাচসেরা হয়েও সেটি তুলে দিয়েছেন শহীদুলের হাতে!

শুক্রবার বিকালে অনুশীলনের আগে এই গোলকিপার বলেন, ‘আসলে সেই সময় চরম উত্তেজনা চলছিল। আগেই বেইসেঙ্গের শট রুখে দিয়েছি। জামালের শট ফেরাতে পারলে দল জিতে যাবে-এমন মুহূর্ত পেয়ে সেকেন্ডের পার্থক্যে বুঝে যাই ও (জামাল) কোন দিকে বল মারছে। সেই দিকেই পরে ঝাঁপিয়ে পড়ি। আসলে কোনও ভাবে আত্মবিশ্বাসের কমতি ছিল না।’

২০০৮ সাল থেকে আবাহনীতে খেলা শহীদুল জানান, ‘ম্যাচটিতে পরতে পরতে উত্তেজনা ছিল। ট্রাইবেকারে চাপে ভেঙে পরিনি। সবাই বেশ উৎসাহ দিয়েছে, সফলও হয়েছি।’

ম্যাচে কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিনদ্রেসও চমৎকার খেলেছেন। গোল করার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ভীতি ছড়িয়েছেন। সেই কলিনদ্রেস-ই ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়ে সেটি তুলে দেন শহীদুলের হাতে। ওই মুহূর্ত নিয়ে শহীদুল বলেছেন, ‘কলিনদ্রেস এই ম্যাচে ভালো খেলেছে। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছে। পরে সেটি আমার হাতেই তুলে দিয়েছে। আসলে ও অনেক উদার। হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে বলেছে, এই পুরস্কার আমার হাতেই মানায়।’

এর আগে একই ভেন্যুতে প্রথম সেমি-ফাইনালে পিছিয়ে পড়ার পরও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে রহমতগঞ্জ।