বেয়ারস্টোরের শতরানে ভর করে এগোচ্ছে ইংল্যান্ড

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে ৪১৬ রানে ইনিংস ঘোষণার পর ইংল্যান্ড ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আরেকটি ব্যর্থতার গল্প লিখতে যাচ্ছিল! শেষ পর্যন্ত জনি বেয়ারস্টোর অসাধারণ ব্যাটিং লড়াইয়ের রসদ দিয়েছে সফরকারীদের। তাতে অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে তারা পিছিয়ে ১৫৮ রানে।

সিডনিতে গতকাল বৃষ্টিতে ম্যাচ শুরুই হয়েছে দুই ঘণ্টা দেরিতে। তারপর শুরু হয় অজি বোলারদের দাপট। ৫৩ বলের ব্যবধানে পড়ে যায় ৩ উইকেট। সাজঘরে ফেরেন হাসিব হামিদ, জ্যাক ক্রলি ও জো রুট। কিছুক্ষণ পর ডেভিড মালানও ফিরে গেলে পুরোপুরি কোণঠাসা হয়ে যায় ইংল্যান্ড। তারপর ঘুরে দাঁড়ানো শুরু বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টোর ১২৮ রানের জুটির কল্যাণে। স্টোকস ৬৬ রানে সাজঘরে ফিরে গেলেও তাকে ইনজুরিতে ভুগতে দেখা গেছে। জশ বাটলার শূন্য হাতে ফিরলে উপভোগ্য এক ইনিংস উপহার দেন মার্ক উড। ৪১ বলে খেলেছেন ৩৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এই জুটি ৭২ রান যোগ করায় লড়াকু মেজাজের দিন কাটাতে পেরেছে সফরকারীরা। ম্যাচের দৃশ্যপট ভিন্ন হলেও হতে পারতো যদি না অস্ট্রেলিয়া তিনটি ক্যাচ ড্রপ করতো! ২০১৮ সালের পর টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়া বেয়ারস্টো ক্রিজে আছেন ১০৩ রানে। সঙ্গে রয়েছেন জ্যাক লিচ (৪)। স্কট বোল্যান্ড ২৫ রানে নেন ২ উইকেট। প্যাট কামিন্সও ৬৮ রানে নেন সমসংখ্যক উইকেট। একটি করে নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন ও ক্যামেরন গ্রিন। ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনলেন বেন স্টোকস এবং জনি বেয়ারস্টো। প্রথম জন ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান প্রথমে। ক্যামেরন গ্রিনের বল তাঁর উইকেটে লাগলেও বেল পড়েনি। মাঠের আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে জীবন ফিরে পান স্টোকস সিরিজে ০-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। চতুর্থ টেস্টেও বেশ ভাল জায়গায় অস্ট্রেলিয়া। এবারের অ্যাশেজ হারালেও ইংল্যান্ডের সামনে অন্তত বাকি ম্যাচ জিতে সম্মান ফেরানোর লড়াই। সেই চেষ্টাই করছেন বেয়ারস্টোরা।

বল লেগে নড়ে গেল স্টাম্প

তবুও স্টোকস নট আউট

শুক্রবার ক্যামেরন গ্রিনের বল এসে লাগে স্টোকসের অফস্টাম্পে। স্টাম্প নড়লেও বেল পড়েনি। মাঠের আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু সেটা এলবিডব্লিউ-র জন্য নাকি বোল্ডের জন্য তা বোঝা যায়নি। কাল বিলম্ব না করে স্টোকস রিভিউ নেন। তৃতীয় আম্পায়ার দেখেন বল স্টোকসের পা বা ব্যাট কোথাও লাগেনি। বল লেগেছে স্টাম্পে। কিন্তু বেল পড়েনি। তৃতীয় আম্পায়ার জানিয়ে দেন আউট নন স্টাম্প। সেই সময় স্টোকসের মুখের হাসি ছিল দেখবার মতো।

এমন অদ্ভুত ঘটনা ক্রিকেট বিশ্বে খুব কমই ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার এক ক্রিকেটার স্টাম্পে বেশ কিছু বার টোকা মেরেও দেখেন বেল পড়ে কি না। কিন্তু তাতে বেল পড়ে না।

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২ , ২৪ পৌষ ১৪২৮ ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

বেয়ারস্টোরের শতরানে ভর করে এগোচ্ছে ইংল্যান্ড

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে ৪১৬ রানে ইনিংস ঘোষণার পর ইংল্যান্ড ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আরেকটি ব্যর্থতার গল্প লিখতে যাচ্ছিল! শেষ পর্যন্ত জনি বেয়ারস্টোর অসাধারণ ব্যাটিং লড়াইয়ের রসদ দিয়েছে সফরকারীদের। তাতে অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে তারা পিছিয়ে ১৫৮ রানে।

সিডনিতে গতকাল বৃষ্টিতে ম্যাচ শুরুই হয়েছে দুই ঘণ্টা দেরিতে। তারপর শুরু হয় অজি বোলারদের দাপট। ৫৩ বলের ব্যবধানে পড়ে যায় ৩ উইকেট। সাজঘরে ফেরেন হাসিব হামিদ, জ্যাক ক্রলি ও জো রুট। কিছুক্ষণ পর ডেভিড মালানও ফিরে গেলে পুরোপুরি কোণঠাসা হয়ে যায় ইংল্যান্ড। তারপর ঘুরে দাঁড়ানো শুরু বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টোর ১২৮ রানের জুটির কল্যাণে। স্টোকস ৬৬ রানে সাজঘরে ফিরে গেলেও তাকে ইনজুরিতে ভুগতে দেখা গেছে। জশ বাটলার শূন্য হাতে ফিরলে উপভোগ্য এক ইনিংস উপহার দেন মার্ক উড। ৪১ বলে খেলেছেন ৩৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এই জুটি ৭২ রান যোগ করায় লড়াকু মেজাজের দিন কাটাতে পেরেছে সফরকারীরা। ম্যাচের দৃশ্যপট ভিন্ন হলেও হতে পারতো যদি না অস্ট্রেলিয়া তিনটি ক্যাচ ড্রপ করতো! ২০১৮ সালের পর টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়া বেয়ারস্টো ক্রিজে আছেন ১০৩ রানে। সঙ্গে রয়েছেন জ্যাক লিচ (৪)। স্কট বোল্যান্ড ২৫ রানে নেন ২ উইকেট। প্যাট কামিন্সও ৬৮ রানে নেন সমসংখ্যক উইকেট। একটি করে নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন ও ক্যামেরন গ্রিন। ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনলেন বেন স্টোকস এবং জনি বেয়ারস্টো। প্রথম জন ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান প্রথমে। ক্যামেরন গ্রিনের বল তাঁর উইকেটে লাগলেও বেল পড়েনি। মাঠের আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে জীবন ফিরে পান স্টোকস সিরিজে ০-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। চতুর্থ টেস্টেও বেশ ভাল জায়গায় অস্ট্রেলিয়া। এবারের অ্যাশেজ হারালেও ইংল্যান্ডের সামনে অন্তত বাকি ম্যাচ জিতে সম্মান ফেরানোর লড়াই। সেই চেষ্টাই করছেন বেয়ারস্টোরা।

বল লেগে নড়ে গেল স্টাম্প

তবুও স্টোকস নট আউট

শুক্রবার ক্যামেরন গ্রিনের বল এসে লাগে স্টোকসের অফস্টাম্পে। স্টাম্প নড়লেও বেল পড়েনি। মাঠের আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু সেটা এলবিডব্লিউ-র জন্য নাকি বোল্ডের জন্য তা বোঝা যায়নি। কাল বিলম্ব না করে স্টোকস রিভিউ নেন। তৃতীয় আম্পায়ার দেখেন বল স্টোকসের পা বা ব্যাট কোথাও লাগেনি। বল লেগেছে স্টাম্পে। কিন্তু বেল পড়েনি। তৃতীয় আম্পায়ার জানিয়ে দেন আউট নন স্টাম্প। সেই সময় স্টোকসের মুখের হাসি ছিল দেখবার মতো।

এমন অদ্ভুত ঘটনা ক্রিকেট বিশ্বে খুব কমই ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার এক ক্রিকেটার স্টাম্পে বেশ কিছু বার টোকা মেরেও দেখেন বেল পড়ে কি না। কিন্তু তাতে বেল পড়ে না।