শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পাস

এবারে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তার ফলাফলও প্রকাশ হয়েছে। অন্যান্যবারের মতো এবার সব বিষয়ের উপর পরীক্ষা হয়নি। শুধু গ্রুপভিত্তিক তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সময় ও নম্বর কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরও দেখা গেছে, ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীও পাশ করতে পারেনি। অবাক হওয়ার মতো ঘটনাই বটে। এর আগেও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় একই চিত্র আমরা লক্ষ্য করেছি। প্রতিবছরই কোনো না কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শূন্য ফলাফল অর্জন করতে দেখা যায়! কিন্তু এটা কেনো হবে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, কার্যক্রম চলে, শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা তুলে নেন। পরীক্ষার্থীরা ফরম ফিলাপ করে; আবার যথারীতি পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করে। কিন্তু ফলাফল বের হওয়ার পর দেখা যায় একজনও পাশ করতে পারে না। এই রহস্য সত্যিই বিস্ময়কর ও অতীব লজ্জার।

প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পাশের আশা নিয়েই পড়াশোনা করে, পরীক্ষা দেয়। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর যদি একজন শিক্ষার্থীও পাশ করতে না পারে তখন তার মনের অবস্থাটা কি যে হয় তা ভুক্তভোগী মাত্রই টের পায়! তার অধ্যবসায় ও সাধনা ভেঙে খান খান হয়ে পড়ে। তখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে। এভাবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। আর এসব ব্যর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখারও কোনো মানে হয় না। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই সমমানের হওয়া উচিত। তা না হলে একটা বৈষম্য থেকেই যায়।

যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অকার্যকর হওয়ার পাশাপাশি ফলাফল শূন্য-তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। অন্যথায় ফি বছর একই ফলাফল করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

আজম জহিরুল ইসলাম

গৌরীপুর, ময়মনসিংহ

আরও খবর

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২ , ২৪ পৌষ ১৪২৮ ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পাস

এবারে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তার ফলাফলও প্রকাশ হয়েছে। অন্যান্যবারের মতো এবার সব বিষয়ের উপর পরীক্ষা হয়নি। শুধু গ্রুপভিত্তিক তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সময় ও নম্বর কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরও দেখা গেছে, ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীও পাশ করতে পারেনি। অবাক হওয়ার মতো ঘটনাই বটে। এর আগেও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় একই চিত্র আমরা লক্ষ্য করেছি। প্রতিবছরই কোনো না কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শূন্য ফলাফল অর্জন করতে দেখা যায়! কিন্তু এটা কেনো হবে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, কার্যক্রম চলে, শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা তুলে নেন। পরীক্ষার্থীরা ফরম ফিলাপ করে; আবার যথারীতি পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করে। কিন্তু ফলাফল বের হওয়ার পর দেখা যায় একজনও পাশ করতে পারে না। এই রহস্য সত্যিই বিস্ময়কর ও অতীব লজ্জার।

প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পাশের আশা নিয়েই পড়াশোনা করে, পরীক্ষা দেয়। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর যদি একজন শিক্ষার্থীও পাশ করতে না পারে তখন তার মনের অবস্থাটা কি যে হয় তা ভুক্তভোগী মাত্রই টের পায়! তার অধ্যবসায় ও সাধনা ভেঙে খান খান হয়ে পড়ে। তখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে। এভাবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। আর এসব ব্যর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখারও কোনো মানে হয় না। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই সমমানের হওয়া উচিত। তা না হলে একটা বৈষম্য থেকেই যায়।

যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অকার্যকর হওয়ার পাশাপাশি ফলাফল শূন্য-তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। অন্যথায় ফি বছর একই ফলাফল করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

আজম জহিরুল ইসলাম

গৌরীপুর, ময়মনসিংহ