নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীতে তিনদিন আগে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ১০ জনের সন্ধান মিলেনি। তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, শনিবার তাদের তিনটি ইউনিট নিখোঁজদের খোঁজে ধলেশ্বরী নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে। এখনও কারও খোঁজ মেলেনি। তাদের পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশও অভিযান চালাচ্ছে।
নিখোঁজ ১০ জনের সন্ধান ও ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তল্লাশি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদীর মোহনার কাছে ঘন কুয়াশার মধ্যে ট্রলারটিতে করে শতাধিক যাত্রী নদী পার হচ্ছিলেন। সে সময় হঠাৎ করে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারের যাত্রীরা অনেকে আশপাশের নৌযানের সহায়তায় এবং সাঁতরে তীরে উঠলে সবাই উঠতে পারেননি।
দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ‘ফারহান-৬’ নামের এই লঞ্চটির মালিক বরিশাল-৩ (মুলাদি-বাবুগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু। লঞ্চটি ঢাকা-বেতুয়া রুটে চলাচল করে। দুর্ঘটনার পর কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে লঞ্চটি আটক এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেনÑ এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লা (৩০)।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় লঞ্চের মাস্টারসহ তিনজনকে আসামি করে বিআইডব্লিউটিএ উপ-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আদালত রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন। এদিকে এ ঘটনা তদন্ত করতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত ফেরদৌসকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান মোস্তাইন।
রবিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২২ , ২৫ পৌষ ১৪২৮ ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীতে তিনদিন আগে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ১০ জনের সন্ধান মিলেনি। তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, শনিবার তাদের তিনটি ইউনিট নিখোঁজদের খোঁজে ধলেশ্বরী নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে। এখনও কারও খোঁজ মেলেনি। তাদের পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশও অভিযান চালাচ্ছে।
নিখোঁজ ১০ জনের সন্ধান ও ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তল্লাশি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদীর মোহনার কাছে ঘন কুয়াশার মধ্যে ট্রলারটিতে করে শতাধিক যাত্রী নদী পার হচ্ছিলেন। সে সময় হঠাৎ করে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারের যাত্রীরা অনেকে আশপাশের নৌযানের সহায়তায় এবং সাঁতরে তীরে উঠলে সবাই উঠতে পারেননি।
দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ‘ফারহান-৬’ নামের এই লঞ্চটির মালিক বরিশাল-৩ (মুলাদি-বাবুগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু। লঞ্চটি ঢাকা-বেতুয়া রুটে চলাচল করে। দুর্ঘটনার পর কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে লঞ্চটি আটক এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেনÑ এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লা (৩০)।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় লঞ্চের মাস্টারসহ তিনজনকে আসামি করে বিআইডব্লিউটিএ উপ-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আদালত রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন। এদিকে এ ঘটনা তদন্ত করতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত ফেরদৌসকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান মোস্তাইন।