শিক্ষা সমিতির দু’পক্ষের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতিতে বিভক্তি চরমে। মাউশি মহাপরিচালকের পদে কে বসবেন- মূলত এই লড়াইকে কেন্দ্র করেই প্রায় ১৫ হাজার ক্যাডার সদস্যের এই সমিতিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দুটি পক্ষ পৃথকভাবে সমিতির নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এক পক্ষ অন্য পক্ষের কার্যক্রমকে ‘অগঠনতান্ত্রিক’ আখ্যায়িত করেছেন।

সংগঠনের বিদায়ি কমিটির সভাপতি ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আইকে সেলিম উল্লাহ খন্দকার ও তার অনুসারীরা গত শুক্রবার সাধারণ সভা করে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পক্ষের বেশ কয়েকজন অধ্যাপক মাউশি কিংবা অন্য সংস্থার শীর্ষ পদে বসতে চান। তারা সাধারণ সভার মাধ্যমে মূলত শো-ডাউন করেছেন, শক্তির জানান দিয়েছেন।

একইদিনে বিদায়ি কমিটির মহাসচিব ও মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী সমিতির সাবেক নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে আগামী মার্চের শেষ সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

শুক্রবার ঢাকা কলেজে অনুষ্ঠিত সমিতির একাধিক অংশের সাধারণ সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব), জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক ড. নিজামুল করিম, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাবশালী কর্মকর্তারা অনুপস্থিত ছিলেন।

তবে ‘স্বাধীনতা বিসিএস শিক্ষা সংসদ’র একটি বড় অংশ, ঢাকার কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন কলেজের ৪/৫শ’ শিক্ষক ওই সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিসিএস শিক্ষা সমিতির বিদায়ি কমিটির মহাসচিব প্রফেসর শাহেদুল খবীর চৌধুরী সংবাদকে জানান, বিদায়ি কমিটির সভাপতি শুক্রবার যে সাধারণ সভা করেছেন সেটি গঠনতন্ত্র মেনে হয়নি। তাদের সভা ডাকারই এখতিয়ার নেই। এ কারণে সভায় তেমন উপস্থিতি হয়নি।

সাধারণ সভায় ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের আয়োজনের বিষয়ে শাহেদুল খবির বলেন, ‘সংগঠনের পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য যেখানে আগে থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে এবং সর্বোপরি ভোটার তালিকা প্রণয়ন হচ্ছে সেখানে তাদের নেয়া সিদ্ধান্ত গঠনতান্ত্রিক হয়নি। কাজেই তারা কে কী বললেন সেটা আমি দেখছি না। আমাদের সিদ্ধান্ত মতে, মার্চের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে, সে লক্ষ্যেই কাজ এগিয়ে চলছে।’

বিদায়ি কমিটির সভাপতি আইকে সেলিম উল্লাহ খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে গঠনতন্ত্র মেনে দুইবারে মোট চার মাস কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এত বড় সংগঠনের পদ-পদবির পরিচয় দিয়ে কেউ কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করেছে। যে কারণে মেয়াদ শেষেও নির্বাচন দেয়া যায়নি।

তার অভিযোগ, তিনি বিদেশে অবস্থানকালে স্বার্থান্বেষী মহল গোপনে একটি আহ্বায়ক কমিটিও গঠন করে ফেলেছিল। পরে অবশ্য ওই কমিটি ভাঙতে বাধ্য হয়। চিহ্নিত স্বার্থান্বেষীদের কারণে ছয় মাসের জন্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটিও নির্বাচন দিতে পারেনি। এ কারণে সারা দেশের সদস্যরা একত্রিত হয়েছেন।

তবে অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আহবায়ক কমিটি গঠনের প্রাক্কালে সমিতির সাবেক আহ্বায়ক প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার কাউকে কিছু না বলে বা এডহক কমিটি গঠন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন মতামত না জানিয়ে বিদেশ চলে যান এবং আহ্বায়ক কমিটি গঠনের নির্দিষ্ট সময়ে অনাকাক্সিক্ষতভাবে সভায় অনুপস্থিত থাকেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গঠনতন্ত্রে ৪ রকম সাধারণ সভার কথা বলা আছে, যার সবক্ষেত্রেই স্পষ্ট বলা আছে সাধারণ সভা ডাকতে পারেন শুধু মাত্র মহাসচিব। সুতরাং সভাপতি, বিদায়ি সভাপতি, আহ্বায়ক কিংবা অন্য কেউ সাধারণ সভা ডাকলে অবশ্যই তা অগঠনতান্ত্রিক, এখতিয়ার বহির্ভূত ও বেআইনি।’

শুক্রবারের জরুরি সাধারণ সভায় কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইমান আলীকে নির্বাচন কমিশনার ও রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবেদা সুলতানাকে সহকারী কমিশনার করে ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কমিশন ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করবে। একই সঙ্গে সাংগঠনিক শূন্যতা পূরণ ও নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতার জন্য পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) পরিচালক ও সমিতির সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীরকে আহ্বায়ক ও ঢাকা কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. আবদুল কুদ্দুস সিকদারকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর আলীকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘যেহেতু সাধারণ সদস্যদের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী আহ্বায়ক কমিটি দ্রুত নির্বাচন দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং যেহেতু সাবেক আহ্বায়কের কাছ থেকে নির্বাচন বিষয়ে তিন মাসেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি, তাই আহ্বায়ক কমিটির সভায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ পূর্বক মার্চের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হয়। গত ২২ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি সমিতির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। যেহেতু আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন বহাল রয়েছে, আমরা আশা করি তাদের দ্বারাই খুব শীঘ্রই নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৫০০০ সদস্যের ক্যাডারে সাবেক আহ্বায়ক প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার ৭ জানুয়ারি, বিতর্কিত ব্যক্তিদের সামনে আনার জন্য, মাত্র শ’ তিনেক সদস্য নিয়ে একটি সভা করেছেন, যে অবৈধ সভা বা সভার সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কোন সম্পর্ক নেই। আমরা মনে করি, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সিদ্ধান্তই ক্যাডারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে সে সুযোগ তৈরি হবে।’

অধ্যাপক শাহেদুল খবির বলেন, ‘২০১৬ সালের ১ জুন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে ১২৩ পদের মধ্যে সভাপতি ও ১ জন সদস্য ছাড়া ১২১ পদে বিশালভাবে বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে আমরা ২০১৬ সালের ১৫ জুন সমিতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম।’

রবিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২২ , ২৫ পৌষ ১৪২৮ ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

টার্গেট মাউশি পরিচালক পদ

শিক্ষা সমিতির দু’পক্ষের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতিতে বিভক্তি চরমে। মাউশি মহাপরিচালকের পদে কে বসবেন- মূলত এই লড়াইকে কেন্দ্র করেই প্রায় ১৫ হাজার ক্যাডার সদস্যের এই সমিতিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দুটি পক্ষ পৃথকভাবে সমিতির নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এক পক্ষ অন্য পক্ষের কার্যক্রমকে ‘অগঠনতান্ত্রিক’ আখ্যায়িত করেছেন।

সংগঠনের বিদায়ি কমিটির সভাপতি ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আইকে সেলিম উল্লাহ খন্দকার ও তার অনুসারীরা গত শুক্রবার সাধারণ সভা করে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পক্ষের বেশ কয়েকজন অধ্যাপক মাউশি কিংবা অন্য সংস্থার শীর্ষ পদে বসতে চান। তারা সাধারণ সভার মাধ্যমে মূলত শো-ডাউন করেছেন, শক্তির জানান দিয়েছেন।

একইদিনে বিদায়ি কমিটির মহাসচিব ও মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী সমিতির সাবেক নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে আগামী মার্চের শেষ সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

শুক্রবার ঢাকা কলেজে অনুষ্ঠিত সমিতির একাধিক অংশের সাধারণ সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব), জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক ড. নিজামুল করিম, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাবশালী কর্মকর্তারা অনুপস্থিত ছিলেন।

তবে ‘স্বাধীনতা বিসিএস শিক্ষা সংসদ’র একটি বড় অংশ, ঢাকার কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন কলেজের ৪/৫শ’ শিক্ষক ওই সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিসিএস শিক্ষা সমিতির বিদায়ি কমিটির মহাসচিব প্রফেসর শাহেদুল খবীর চৌধুরী সংবাদকে জানান, বিদায়ি কমিটির সভাপতি শুক্রবার যে সাধারণ সভা করেছেন সেটি গঠনতন্ত্র মেনে হয়নি। তাদের সভা ডাকারই এখতিয়ার নেই। এ কারণে সভায় তেমন উপস্থিতি হয়নি।

সাধারণ সভায় ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের আয়োজনের বিষয়ে শাহেদুল খবির বলেন, ‘সংগঠনের পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য যেখানে আগে থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে এবং সর্বোপরি ভোটার তালিকা প্রণয়ন হচ্ছে সেখানে তাদের নেয়া সিদ্ধান্ত গঠনতান্ত্রিক হয়নি। কাজেই তারা কে কী বললেন সেটা আমি দেখছি না। আমাদের সিদ্ধান্ত মতে, মার্চের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে, সে লক্ষ্যেই কাজ এগিয়ে চলছে।’

বিদায়ি কমিটির সভাপতি আইকে সেলিম উল্লাহ খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে গঠনতন্ত্র মেনে দুইবারে মোট চার মাস কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এত বড় সংগঠনের পদ-পদবির পরিচয় দিয়ে কেউ কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করেছে। যে কারণে মেয়াদ শেষেও নির্বাচন দেয়া যায়নি।

তার অভিযোগ, তিনি বিদেশে অবস্থানকালে স্বার্থান্বেষী মহল গোপনে একটি আহ্বায়ক কমিটিও গঠন করে ফেলেছিল। পরে অবশ্য ওই কমিটি ভাঙতে বাধ্য হয়। চিহ্নিত স্বার্থান্বেষীদের কারণে ছয় মাসের জন্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটিও নির্বাচন দিতে পারেনি। এ কারণে সারা দেশের সদস্যরা একত্রিত হয়েছেন।

তবে অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আহবায়ক কমিটি গঠনের প্রাক্কালে সমিতির সাবেক আহ্বায়ক প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার কাউকে কিছু না বলে বা এডহক কমিটি গঠন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন মতামত না জানিয়ে বিদেশ চলে যান এবং আহ্বায়ক কমিটি গঠনের নির্দিষ্ট সময়ে অনাকাক্সিক্ষতভাবে সভায় অনুপস্থিত থাকেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গঠনতন্ত্রে ৪ রকম সাধারণ সভার কথা বলা আছে, যার সবক্ষেত্রেই স্পষ্ট বলা আছে সাধারণ সভা ডাকতে পারেন শুধু মাত্র মহাসচিব। সুতরাং সভাপতি, বিদায়ি সভাপতি, আহ্বায়ক কিংবা অন্য কেউ সাধারণ সভা ডাকলে অবশ্যই তা অগঠনতান্ত্রিক, এখতিয়ার বহির্ভূত ও বেআইনি।’

শুক্রবারের জরুরি সাধারণ সভায় কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইমান আলীকে নির্বাচন কমিশনার ও রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবেদা সুলতানাকে সহকারী কমিশনার করে ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কমিশন ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করবে। একই সঙ্গে সাংগঠনিক শূন্যতা পূরণ ও নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতার জন্য পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) পরিচালক ও সমিতির সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীরকে আহ্বায়ক ও ঢাকা কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. আবদুল কুদ্দুস সিকদারকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর আলীকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘যেহেতু সাধারণ সদস্যদের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী আহ্বায়ক কমিটি দ্রুত নির্বাচন দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং যেহেতু সাবেক আহ্বায়কের কাছ থেকে নির্বাচন বিষয়ে তিন মাসেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি, তাই আহ্বায়ক কমিটির সভায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ পূর্বক মার্চের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হয়। গত ২২ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি সমিতির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। যেহেতু আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন বহাল রয়েছে, আমরা আশা করি তাদের দ্বারাই খুব শীঘ্রই নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৫০০০ সদস্যের ক্যাডারে সাবেক আহ্বায়ক প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার ৭ জানুয়ারি, বিতর্কিত ব্যক্তিদের সামনে আনার জন্য, মাত্র শ’ তিনেক সদস্য নিয়ে একটি সভা করেছেন, যে অবৈধ সভা বা সভার সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কোন সম্পর্ক নেই। আমরা মনে করি, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সিদ্ধান্তই ক্যাডারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে সে সুযোগ তৈরি হবে।’

অধ্যাপক শাহেদুল খবির বলেন, ‘২০১৬ সালের ১ জুন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে ১২৩ পদের মধ্যে সভাপতি ও ১ জন সদস্য ছাড়া ১২১ পদে বিশালভাবে বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে আমরা ২০১৬ সালের ১৫ জুন সমিতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম।’