নান্দাইলে মোট ভোটের ২শ’ ভোট বেশি কাস্টিং

সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেম্বার প্রার্থী আব্দুল কদ্দুছ। গত শুক্রবার উপজেলার ১১নং খারুয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটারের চেয়ে ২০০ ভোট বেশি কাস্টিং দেখানোর অভিযোগ এনে পুনরায় গণনার দাবী জানিয়ে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেম্বার প্রার্থী আব্দুল কদ্দুছ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল কদ্দুছের ছেলে মোরগ প্রতীকের এজেন্ট হাসান মিয়া। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ১১নং খারুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসাবে তিনজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এতে মেম্বার প্রার্থী হিসাবে মোরগ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন আব্দুল কদ্দুছ মুন্সী। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টায় পর্যন্ত সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভোটের ফলাফল ঘোষণায় হয় বিড়ম্বনা, চলতে থাকে কালক্ষেপণ ও ভোট কারচুপির পরিকল্পনা।

অবশেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ভোট গণনায় কারচুপি করে মিলন মিয়ার টিউবওয়েল প্রতীককে নির্বাচিত করেন। মোরগ প্রতীকের এজেন্ট হাসান মিয়া ভোট কারচুপির বিষয়টি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক পুনরায় ভোট গণার দাবি জানালে তাকে ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা পুলিশ ও বিজিবি বাহিনীর মাধ্যমে আটকে রেখে এবং বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে মেম্বার প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণা না দিয়ে সবকিছু নিয়ে জোরপূর্বক কেন্দ্র ত্যাগ করে চলে যায়। এসময় চলে যাওয়ার সময় মোরগ প্রার্থীর সমর্থকরা বাধা দিলে গাড়ি চলমান অবস্থায় ফলাফলের একটি হযবরল সীট ফেলে রেখে চলে যায়। এ বিষয়ে মোরগ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কদ্দুছ জানান, ফলাফল শিটে কেন্দ্রের মোট ভোটারের সংখ্যার চেয়েও দুইশ ভোট বেশি গ্রহণ দেখানো হয়েছে। যেখানে রিটার্র্নিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে।

রবিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২২ , ২৫ পৌষ ১৪২৮ ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

নান্দাইলে মোট ভোটের ২শ’ ভোট বেশি কাস্টিং

সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ

প্রতিনিধি, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেম্বার প্রার্থী আব্দুল কদ্দুছ। গত শুক্রবার উপজেলার ১১নং খারুয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটারের চেয়ে ২০০ ভোট বেশি কাস্টিং দেখানোর অভিযোগ এনে পুনরায় গণনার দাবী জানিয়ে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেম্বার প্রার্থী আব্দুল কদ্দুছ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল কদ্দুছের ছেলে মোরগ প্রতীকের এজেন্ট হাসান মিয়া। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ১১নং খারুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসাবে তিনজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এতে মেম্বার প্রার্থী হিসাবে মোরগ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন আব্দুল কদ্দুছ মুন্সী। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টায় পর্যন্ত সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভোটের ফলাফল ঘোষণায় হয় বিড়ম্বনা, চলতে থাকে কালক্ষেপণ ও ভোট কারচুপির পরিকল্পনা।

অবশেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ভোট গণনায় কারচুপি করে মিলন মিয়ার টিউবওয়েল প্রতীককে নির্বাচিত করেন। মোরগ প্রতীকের এজেন্ট হাসান মিয়া ভোট কারচুপির বিষয়টি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক পুনরায় ভোট গণার দাবি জানালে তাকে ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা পুলিশ ও বিজিবি বাহিনীর মাধ্যমে আটকে রেখে এবং বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে মেম্বার প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণা না দিয়ে সবকিছু নিয়ে জোরপূর্বক কেন্দ্র ত্যাগ করে চলে যায়। এসময় চলে যাওয়ার সময় মোরগ প্রার্থীর সমর্থকরা বাধা দিলে গাড়ি চলমান অবস্থায় ফলাফলের একটি হযবরল সীট ফেলে রেখে চলে যায়। এ বিষয়ে মোরগ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কদ্দুছ জানান, ফলাফল শিটে কেন্দ্রের মোট ভোটারের সংখ্যার চেয়েও দুইশ ভোট বেশি গ্রহণ দেখানো হয়েছে। যেখানে রিটার্র্নিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে।