চাই উন্নত শিক্ষা

যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে নিত্যদিনই যোগ হচ্ছে শ্রেণীকক্ষে নিত্যনতুন ডিজিটাল ডিভাইস। পড়াশোনাকে আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর করে তুলতে জুড়ি মেলা ভার শিক্ষক ম-লী, ডিপার্টমেন্ট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। অথচ শিক্ষাব্যবস্থা! প্রশ্নবিদ্ধ শিক্ষা দানের পদ্ধতি, শিক্ষার মান। করোনা মহামারীকালে দীর্ঘ ঊনিশ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে অনেকটায় থমকে দাঁড়িয়েছিলো শিক্ষাব্যবস্থা। পিছিয়ে পরেছে সকল শিক্ষাকার্যক্রম, থমকে দাঁড়িয়েছে লাখো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। নতুন করে আবার সব চলমান হতে না হতেই হানা দিচ্ছে অমিক্রন।

শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত যেন এখন ধোঁয়াশাময় এক অনিশ্চিত জগৎ। শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার অনীহা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নানাবিধ নির্বাচন, প্রোগ্রাম, মিটিং, ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন চড়াই-উৎড়াই এর যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত। ফলাফল সেশনজট, নারী শিক্ষার্থীদের বিয়ে, পুরুষ শিক্ষার্থীদের দায়িত্বের ভারে ঝড়ে যাওয়া।

জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকেরা যদি তাদের মূল দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান এবং অন্যকাজে বেশি মনোনিবেশ করেন তবে শিক্ষাবব্যবস্থা সেশনজটে জিম্মি হবে। জাতি পরিণত হবে হতাশায় নিমজ্জিত মেধাশূন্য মেরুদ-হীন এক জাতিতে। সভ্যতার শেখরে পদচিহ্ন ফেলে যেতে শ্রেণীকক্ষের মানের পাশাপাশি শিক্ষকদের তাদের মূল দায়িত্ব পালন করে শিক্ষার্থীদের জীবন গড়তে জোর দেয়া উচিত। আশা করি কর্তৃপক্ষ এদিকে দৃষ্টি দিবেন।

হুমায়রা আন্জুম

রবিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২২ , ২৫ পৌষ ১৪২৮ ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

চাই উন্নত শিক্ষা

যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে নিত্যদিনই যোগ হচ্ছে শ্রেণীকক্ষে নিত্যনতুন ডিজিটাল ডিভাইস। পড়াশোনাকে আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর করে তুলতে জুড়ি মেলা ভার শিক্ষক ম-লী, ডিপার্টমেন্ট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। অথচ শিক্ষাব্যবস্থা! প্রশ্নবিদ্ধ শিক্ষা দানের পদ্ধতি, শিক্ষার মান। করোনা মহামারীকালে দীর্ঘ ঊনিশ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে অনেকটায় থমকে দাঁড়িয়েছিলো শিক্ষাব্যবস্থা। পিছিয়ে পরেছে সকল শিক্ষাকার্যক্রম, থমকে দাঁড়িয়েছে লাখো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। নতুন করে আবার সব চলমান হতে না হতেই হানা দিচ্ছে অমিক্রন।

শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত যেন এখন ধোঁয়াশাময় এক অনিশ্চিত জগৎ। শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার অনীহা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নানাবিধ নির্বাচন, প্রোগ্রাম, মিটিং, ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন চড়াই-উৎড়াই এর যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত। ফলাফল সেশনজট, নারী শিক্ষার্থীদের বিয়ে, পুরুষ শিক্ষার্থীদের দায়িত্বের ভারে ঝড়ে যাওয়া।

জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকেরা যদি তাদের মূল দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান এবং অন্যকাজে বেশি মনোনিবেশ করেন তবে শিক্ষাবব্যবস্থা সেশনজটে জিম্মি হবে। জাতি পরিণত হবে হতাশায় নিমজ্জিত মেধাশূন্য মেরুদ-হীন এক জাতিতে। সভ্যতার শেখরে পদচিহ্ন ফেলে যেতে শ্রেণীকক্ষের মানের পাশাপাশি শিক্ষকদের তাদের মূল দায়িত্ব পালন করে শিক্ষার্থীদের জীবন গড়তে জোর দেয়া উচিত। আশা করি কর্তৃপক্ষ এদিকে দৃষ্টি দিবেন।

হুমায়রা আন্জুম