সোনারগাঁয়ে বসতবাড়ি ভেঙে জমি দখলে নেয়ার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সন্ত্রাসী নিয়ে মানুষের বাড়িঘর ভেঙ্গে অন্যায়ভাবে জমি দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান চৈতী গ্রুপের বিরুদ্ধে। কোম্পানির লোকজন ভেকু দিয়ে বসতবাড়ি ভেঙ্গে কাঁটা তার দিয়ে জমি দখলে নেয়। শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে টিপরদী এলাকার শীলমান্দী গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার টিপরদীর শীলমান্দী এলাকায় অবস্থিত রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান চৈতী গ্রুপ। শিল্প প্রতিষ্ঠানটি সীমানা বিরোধের কথা বলে ভেকুসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে কোম্পানি সংলগ্ন শীলমান্দী গ্রামের আসাদ মিয়ার বেশ কয়েকটি পাকা ও আধাঁপাকা ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এমন ঘটনায় স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে কোম্পানির ভাড়া করা স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী সজিব ও রনির বাহিনী এলাকাবাসীদের দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকাবাসী দূরে সরে গেলে কোম্পানির লোকজন কাঁটা তার দিয়ে আসাদ মিয়ার বাড়ি দখলে নেয়। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশ গিয়ে কোম্পানির কাজ বন্ধ করে দেয়।

ভুক্তভোগী আসাদ মিয়া জানান, কোম্পানির অনুরোধে আমার পৈত্রিক বাড়ির ১১ শতাংশ জমি বিক্রি করি। সে সময় মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু বিষয়টি মীমাংসা করে সীমানা চিহ্নিত করে দিলে কোম্পানি দেয়াল তুলে দেয়। আমার জমিতে পাকা আঁধাপাকা ঘর তুলে বসবাস করি ও ভাড়া দেই। গত শনিবার সে বিষয়ে আবারও একটি সালিশ বৈঠক ডাকলে সেখানেও আমার জমি সঠিক পাই। কিন্তু কোম্পানির লোকজন সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে ভেকু দিয়ে আমার বসতঘরসহ ভাড়াটিয়াদের ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।

এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে পুলিশে সংবাদ দিলে তারা এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। এলাকাবাসী জানায়, কোম্পানির মালিক নিচু জমির পাশাপাশি শীলমান্দি গ্রামের কিছু বসতবাড়িও কেনার প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে নানানভাবে চাপ সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জমিসহ ঘরবাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য করে।

এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত চৈতী গ্রুপের কর্মকর্তা মোশাররফ ও সুজন মিয়া জানায়, আসাদ মিয়ার বাড়ির বিরোধ অংশে কোম্পানির জমি রয়েছে। তবে সীমানা বিরোধ বিষয়টি মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ মীমাংসা করে দেবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত কোম্পানির কাজ বন্ধ থাকবে। সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান জানান, বাড়ি ঘর ভাংচুর হয়েছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২ , ২৬ পৌষ ১৪২৮ ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

কোম্পানির কাছে জমি বিক্রিতে অস্বীকৃতি

সোনারগাঁয়ে বসতবাড়ি ভেঙে জমি দখলে নেয়ার অভিযোগ

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সন্ত্রাসী নিয়ে মানুষের বাড়িঘর ভেঙ্গে অন্যায়ভাবে জমি দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান চৈতী গ্রুপের বিরুদ্ধে। কোম্পানির লোকজন ভেকু দিয়ে বসতবাড়ি ভেঙ্গে কাঁটা তার দিয়ে জমি দখলে নেয়। শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে টিপরদী এলাকার শীলমান্দী গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার টিপরদীর শীলমান্দী এলাকায় অবস্থিত রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান চৈতী গ্রুপ। শিল্প প্রতিষ্ঠানটি সীমানা বিরোধের কথা বলে ভেকুসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে কোম্পানি সংলগ্ন শীলমান্দী গ্রামের আসাদ মিয়ার বেশ কয়েকটি পাকা ও আধাঁপাকা ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এমন ঘটনায় স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে কোম্পানির ভাড়া করা স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী সজিব ও রনির বাহিনী এলাকাবাসীদের দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকাবাসী দূরে সরে গেলে কোম্পানির লোকজন কাঁটা তার দিয়ে আসাদ মিয়ার বাড়ি দখলে নেয়। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশ গিয়ে কোম্পানির কাজ বন্ধ করে দেয়।

ভুক্তভোগী আসাদ মিয়া জানান, কোম্পানির অনুরোধে আমার পৈত্রিক বাড়ির ১১ শতাংশ জমি বিক্রি করি। সে সময় মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু বিষয়টি মীমাংসা করে সীমানা চিহ্নিত করে দিলে কোম্পানি দেয়াল তুলে দেয়। আমার জমিতে পাকা আঁধাপাকা ঘর তুলে বসবাস করি ও ভাড়া দেই। গত শনিবার সে বিষয়ে আবারও একটি সালিশ বৈঠক ডাকলে সেখানেও আমার জমি সঠিক পাই। কিন্তু কোম্পানির লোকজন সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে ভেকু দিয়ে আমার বসতঘরসহ ভাড়াটিয়াদের ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।

এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে পুলিশে সংবাদ দিলে তারা এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। এলাকাবাসী জানায়, কোম্পানির মালিক নিচু জমির পাশাপাশি শীলমান্দি গ্রামের কিছু বসতবাড়িও কেনার প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে নানানভাবে চাপ সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জমিসহ ঘরবাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য করে।

এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত চৈতী গ্রুপের কর্মকর্তা মোশাররফ ও সুজন মিয়া জানায়, আসাদ মিয়ার বাড়ির বিরোধ অংশে কোম্পানির জমি রয়েছে। তবে সীমানা বিরোধ বিষয়টি মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ মীমাংসা করে দেবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত কোম্পানির কাজ বন্ধ থাকবে। সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান জানান, বাড়ি ঘর ভাংচুর হয়েছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।