রাজস্ব ফাঁকির টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ ১৬ দলিল লেখককে

বগুড়ার শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আন্ডারভ্যালু জমি দলিল রেজিস্ট্রি করে লাখ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ায় ১৬ দলিল লেখককে টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর শেরপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সাব রেজিস্ট্রার অসিম কুমার বণিক এই নিদের্শনা দেন। এ সংক্রান্ত একটি নোটিস রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে ঝুলিয়েও দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের ২৮/১১/২০২১ ইং তারিখের স্মারক নং ১০.০৫.০০০০.০১.০০২.০০১.২১/১০৪৬ (৫) মোতাবেক অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দলিলের সরকারি রাজস্ব ঘাটতির সাথে যাহারা সম্পর্কিত আছেন তাহাদের সরকারি রাজস্ব ঘাটতির টাকা অত্র অফিস হতে কোড নং সংগ্রহপূর্বক স্ব স্ব খাতে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান পূর্বক পে-অর্ডারসমূহ নিম্ম স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে আগামী সাতদিনের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইল। অন্যথায় ২০২২ সালের জন্য সনদ নবায়ণ করা হইবে না।

তালিকায় দেখা গেছে, দলিল লেখক আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার (সনদ নং ১৯৮) এর ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৮ টাকা, মো. মোস্তাফিজুর রহমান (সনদ নং ১৯১) এর ২ লাখ ২২ হাজার ৪২৯ টাকা, এসএম ফেরদৌস (সনদ নং ১০৭) এর ১ লাখ ৩০ হাজার ৩০০ টাকা, শাহিনুর আলম তালুকদার (সনদনং ২৩৪) এর ১ লাখ ১৯ হাজার ১১৩ টাকা, মো. মনিরুজ্জামান (সনদ নং ১৫৪) এর ১ লাখ ১৮ হাজার ৫১২ টাকা, আব্দুল মোমিন (সনদ নং ২০৭) এর ৮৭ হাজার ১২৪ টাকা, আমিনুর রহমান (সনদ নং ১৬৩) এর ৫১ হাজার ২৭২ টাকা, মাসুদুর রহমান (সনদ নং ১২৬) এর ৪৬ হাজার ৫১৩টাকাসহ আরো কয়েকজন দলিল লেখকের রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারি তাজুল ইসলাম জানান, আমরা সরকারি রাজস্ব ঘাটতি পূরণের জন্য দলিল লেখকদের নোটিস দিয়েছি। তারা দলিলের গ্রহীতার নিকট থেকে এই টাকা পূরণের ব্যবস্থা না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনা নতুন নয় ইতোপূর্বেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। অডিট আপত্তিতে যাদের রাজস্ব ঘাটতি ধরা পড়েছে তাদের টাকা জমা দিতেই হবে।

সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২ , ২৬ পৌষ ১৪২৮ ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

রাজস্ব ফাঁকির টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ ১৬ দলিল লেখককে

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

বগুড়ার শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আন্ডারভ্যালু জমি দলিল রেজিস্ট্রি করে লাখ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ায় ১৬ দলিল লেখককে টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর শেরপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সাব রেজিস্ট্রার অসিম কুমার বণিক এই নিদের্শনা দেন। এ সংক্রান্ত একটি নোটিস রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে ঝুলিয়েও দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের ২৮/১১/২০২১ ইং তারিখের স্মারক নং ১০.০৫.০০০০.০১.০০২.০০১.২১/১০৪৬ (৫) মোতাবেক অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দলিলের সরকারি রাজস্ব ঘাটতির সাথে যাহারা সম্পর্কিত আছেন তাহাদের সরকারি রাজস্ব ঘাটতির টাকা অত্র অফিস হতে কোড নং সংগ্রহপূর্বক স্ব স্ব খাতে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান পূর্বক পে-অর্ডারসমূহ নিম্ম স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে আগামী সাতদিনের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইল। অন্যথায় ২০২২ সালের জন্য সনদ নবায়ণ করা হইবে না।

তালিকায় দেখা গেছে, দলিল লেখক আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার (সনদ নং ১৯৮) এর ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৮ টাকা, মো. মোস্তাফিজুর রহমান (সনদ নং ১৯১) এর ২ লাখ ২২ হাজার ৪২৯ টাকা, এসএম ফেরদৌস (সনদ নং ১০৭) এর ১ লাখ ৩০ হাজার ৩০০ টাকা, শাহিনুর আলম তালুকদার (সনদনং ২৩৪) এর ১ লাখ ১৯ হাজার ১১৩ টাকা, মো. মনিরুজ্জামান (সনদ নং ১৫৪) এর ১ লাখ ১৮ হাজার ৫১২ টাকা, আব্দুল মোমিন (সনদ নং ২০৭) এর ৮৭ হাজার ১২৪ টাকা, আমিনুর রহমান (সনদ নং ১৬৩) এর ৫১ হাজার ২৭২ টাকা, মাসুদুর রহমান (সনদ নং ১২৬) এর ৪৬ হাজার ৫১৩টাকাসহ আরো কয়েকজন দলিল লেখকের রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারি তাজুল ইসলাম জানান, আমরা সরকারি রাজস্ব ঘাটতি পূরণের জন্য দলিল লেখকদের নোটিস দিয়েছি। তারা দলিলের গ্রহীতার নিকট থেকে এই টাকা পূরণের ব্যবস্থা না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনা নতুন নয় ইতোপূর্বেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। অডিট আপত্তিতে যাদের রাজস্ব ঘাটতি ধরা পড়েছে তাদের টাকা জমা দিতেই হবে।