চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে আগামী ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টায় মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে চন্দ্রকলা থিয়েটারের নাটক শেখ সাদী এর মঞ্চায়ন। ঢাকার দল নাটনন্দনের আমন্ত্রণে দলটির আয়োজিত উৎসবের আওতায় হচ্ছে প্রদর্শনীটি। এটি চন্দ্রকলা থিয়েটারের ১৮তম প্রযোজনা। পারস্যের মহাকবি শেখ সাদীর জীবন ও কর্ম আশ্রিত নাটকটি রচনা করেছেন অপূর্ব কুমার কুন্ডু এবং নির্দেশনা ও নাম ভূমিকায় একক অভিনয় করেছেন এইচ আর অনিক।
নাটকটির কাহিনী এক ঐতিহাসিক মুহূর্তকে ঘিরে। দিল্লীর যুবরাজ মুহম্মদ বুলবনে তাঁর সময়কালে এক বিশ^ কবি সম্মেলনের আয়োজন করেন যেখানে মুখ্য কবি হিসাবে আমন্ত্রণ পান শেখ সাদী। শেখ সাদীর প্রানাধিক প্রিয় বন্ধু দিল্লীর কবি আমীর খসরু আমন্ত্রন পত্র রচনা করেন এবং শেখ সাদীর আগমন নিশ্চিত করতে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে আহ্বান জানান। রাষ্ট্রীয় সম্মান এবং বন্ধুর আহ্বানে উৎফুল্ল শেখ সাদী সম্মানিত এবং আনন্দে আপ্লুত হলেও বার্ধক্যজনিত কারণে বিগত সময়ে একাধিকবার দিল্লি ভ্রমণ করলেও সেবার সে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দিল্লি আসতে পারেনি। স্বশরীরে না যাবার ক্ষেত্রে অপরাপর আরেকটি কারণ ছিল, শেখ সাদী চেয়েছিলেন তার অন্তিম বেলা কাটুক শিরাজী নগরীতে যেখানে তার জন্ম-শৈশব-কৈশর ও যৌবনের বেড়ে ওঠা। ফলে সিরাজ ত্যাগ করে দিল্লির সে যাত্রায় শেখ সাদী না গেলেও শেখ সাদী তার রচিত গুলিস্তা, বুলিস্তাসহ অন্যান্য রচিত গ্রন্থ তুলে দিয়েছিলেন শিরাজীতে অভ্যার্গথ দিল্লির রাষ্ট্রীয় অতিথিদের হাতে যুবরাজ ও কবিবন্ধুর প্রতি সম্মানার্থে। ইতিহাসের এই সত্যকে ঘিরেই নাটকটি শুরু হয়।
সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২ , ২৬ পৌষ ১৪২৮ ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
বিনোদন প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে আগামী ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টায় মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে চন্দ্রকলা থিয়েটারের নাটক শেখ সাদী এর মঞ্চায়ন। ঢাকার দল নাটনন্দনের আমন্ত্রণে দলটির আয়োজিত উৎসবের আওতায় হচ্ছে প্রদর্শনীটি। এটি চন্দ্রকলা থিয়েটারের ১৮তম প্রযোজনা। পারস্যের মহাকবি শেখ সাদীর জীবন ও কর্ম আশ্রিত নাটকটি রচনা করেছেন অপূর্ব কুমার কুন্ডু এবং নির্দেশনা ও নাম ভূমিকায় একক অভিনয় করেছেন এইচ আর অনিক।
নাটকটির কাহিনী এক ঐতিহাসিক মুহূর্তকে ঘিরে। দিল্লীর যুবরাজ মুহম্মদ বুলবনে তাঁর সময়কালে এক বিশ^ কবি সম্মেলনের আয়োজন করেন যেখানে মুখ্য কবি হিসাবে আমন্ত্রণ পান শেখ সাদী। শেখ সাদীর প্রানাধিক প্রিয় বন্ধু দিল্লীর কবি আমীর খসরু আমন্ত্রন পত্র রচনা করেন এবং শেখ সাদীর আগমন নিশ্চিত করতে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে আহ্বান জানান। রাষ্ট্রীয় সম্মান এবং বন্ধুর আহ্বানে উৎফুল্ল শেখ সাদী সম্মানিত এবং আনন্দে আপ্লুত হলেও বার্ধক্যজনিত কারণে বিগত সময়ে একাধিকবার দিল্লি ভ্রমণ করলেও সেবার সে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দিল্লি আসতে পারেনি। স্বশরীরে না যাবার ক্ষেত্রে অপরাপর আরেকটি কারণ ছিল, শেখ সাদী চেয়েছিলেন তার অন্তিম বেলা কাটুক শিরাজী নগরীতে যেখানে তার জন্ম-শৈশব-কৈশর ও যৌবনের বেড়ে ওঠা। ফলে সিরাজ ত্যাগ করে দিল্লির সে যাত্রায় শেখ সাদী না গেলেও শেখ সাদী তার রচিত গুলিস্তা, বুলিস্তাসহ অন্যান্য রচিত গ্রন্থ তুলে দিয়েছিলেন শিরাজীতে অভ্যার্গথ দিল্লির রাষ্ট্রীয় অতিথিদের হাতে যুবরাজ ও কবিবন্ধুর প্রতি সম্মানার্থে। ইতিহাসের এই সত্যকে ঘিরেই নাটকটি শুরু হয়।