ইথিওপিয়ায় বিমান হামলায় নিহত ৫৬

ইথিওপিয়ার টাইগ্রে এলাকায় বিমান হামলায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জন। হতাহতদের মধ্যে বস্তুচ্যুতদের একটি ক্যাম্পের লোকজন ও শিশু রয়েছে।

দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ)। এই সংগঠনের মুখপাত্র গেটাছিও রেডা এক টুইট বার্তায় জানান, দেশটির সরকার ডেডেবিট শহরে বাস্তুচ্যুতদের একটি ক্যাম্পে এই হামলা চালিয়েছে। দুজন সাহয্যকর্মী, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

একজন সাহায্যকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইরিত্রিয়া সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় ডেডেবিট শহরটিতে শুক্রবার রাতে এই হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনার পর দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল গেটনেট অ্যাডানে এবং সরকারের মুখপাত্র লেজেসি টুলু তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হাননি। প্রধানমন্ত্রী অ্যাবিই আহমেদের মুখপাত্র বিলেনে সেয়ামও এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি।

দেশটিতে সরকারের সঙ্গে ১৪ মাস ধরে জনগণের সংঘর্ষ চলছে। এর মধ্যে সাধারণ মানুষের ওপর কোনও হামলারই দায় স্বীকার করেননি সরকার। এই হামলার আগেই সরকার বিরোধী দলীয় কয়েকজন নেতাকে জেল থেকে মুক্তি দেন এবং আলোচনার মাধ্যমে দেশটির চলমান সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।

গত ১৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত টাইগ্রে এলাকায় বিমান হামলায় ১৪৬ জন নিহত এবং ২১৩ জন আহত হয়েছেন।

ইথিওপিয়ার এই অঞ্চলটি তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৯৯১ সালে টিপিএলএফের নেতৃত্বে ইথিওপিয়া থেকে সামরিক সরকার উৎখাত করা হয়। এরপর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আবি আহমেদ ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশটির রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল এই গোষ্ঠীর হাতে।

সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২ , ২৬ পৌষ ১৪২৮ ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

ইথিওপিয়ায় বিমান হামলায় নিহত ৫৬

ইথিওপিয়ার টাইগ্রে এলাকায় বিমান হামলায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জন। হতাহতদের মধ্যে বস্তুচ্যুতদের একটি ক্যাম্পের লোকজন ও শিশু রয়েছে।

দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ)। এই সংগঠনের মুখপাত্র গেটাছিও রেডা এক টুইট বার্তায় জানান, দেশটির সরকার ডেডেবিট শহরে বাস্তুচ্যুতদের একটি ক্যাম্পে এই হামলা চালিয়েছে। দুজন সাহয্যকর্মী, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

একজন সাহায্যকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইরিত্রিয়া সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় ডেডেবিট শহরটিতে শুক্রবার রাতে এই হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনার পর দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল গেটনেট অ্যাডানে এবং সরকারের মুখপাত্র লেজেসি টুলু তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হাননি। প্রধানমন্ত্রী অ্যাবিই আহমেদের মুখপাত্র বিলেনে সেয়ামও এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি।

দেশটিতে সরকারের সঙ্গে ১৪ মাস ধরে জনগণের সংঘর্ষ চলছে। এর মধ্যে সাধারণ মানুষের ওপর কোনও হামলারই দায় স্বীকার করেননি সরকার। এই হামলার আগেই সরকার বিরোধী দলীয় কয়েকজন নেতাকে জেল থেকে মুক্তি দেন এবং আলোচনার মাধ্যমে দেশটির চলমান সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।

গত ১৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত টাইগ্রে এলাকায় বিমান হামলায় ১৪৬ জন নিহত এবং ২১৩ জন আহত হয়েছেন।

ইথিওপিয়ার এই অঞ্চলটি তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৯৯১ সালে টিপিএলএফের নেতৃত্বে ইথিওপিয়া থেকে সামরিক সরকার উৎখাত করা হয়। এরপর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আবি আহমেদ ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশটির রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল এই গোষ্ঠীর হাতে।