নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ধলেশ^রী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে মা-মেয়েসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ধলেশ্বরী নদীর বিভিন্ন স্থানে মরদেহগুলো ভেসে ওঠে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন।
তিনি জানান, নিখোঁজ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউপির চর মধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০), তার মেয়ে তাসমিন আক্তার (১৬), চর বক্তাবলীর রাজু সরকারের ছেলে কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন (১৮) ও বক্তাবলী ইউনিয়নের উত্তর গোপালনগরের মোতালেব (৪২), চর বক্তাবলীর আওলাদ হোসেন (৩২), বক্তাবলীর হাজীপাড়ার জলিল বেপারী জোসনা আক্তার। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন জেসমিন আক্তারের দেড় বছরের মেয়ে তাফসিয়া (২), ছেলে তামিম খান (৮), উত্তর গোপালনগরের মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (২২) ও আবদুর রউফ (৩০)।
বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোরশেদ মো. জিয়াউল আলম জানান, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নদীতে ছয়টি মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় সেগুলো উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে গত বুধবার সকালে ট্রলারটিকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়া এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের চালক, মাস্টার ও সুকানিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট নূরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দিয়েছেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবিয়ে দেয়ার অভিযোগে মামলায় গ্রেপ্তার ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২ , ২৬ পৌষ ১৪২৮ ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ধলেশ^রী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে মা-মেয়েসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ধলেশ্বরী নদীর বিভিন্ন স্থানে মরদেহগুলো ভেসে ওঠে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন।
তিনি জানান, নিখোঁজ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউপির চর মধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০), তার মেয়ে তাসমিন আক্তার (১৬), চর বক্তাবলীর রাজু সরকারের ছেলে কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন (১৮) ও বক্তাবলী ইউনিয়নের উত্তর গোপালনগরের মোতালেব (৪২), চর বক্তাবলীর আওলাদ হোসেন (৩২), বক্তাবলীর হাজীপাড়ার জলিল বেপারী জোসনা আক্তার। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন জেসমিন আক্তারের দেড় বছরের মেয়ে তাফসিয়া (২), ছেলে তামিম খান (৮), উত্তর গোপালনগরের মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (২২) ও আবদুর রউফ (৩০)।
বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোরশেদ মো. জিয়াউল আলম জানান, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নদীতে ছয়টি মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় সেগুলো উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে গত বুধবার সকালে ট্রলারটিকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়া এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের চালক, মাস্টার ও সুকানিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট নূরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দিয়েছেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবিয়ে দেয়ার অভিযোগে মামলায় গ্রেপ্তার ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।