বান্দরবানের লামা উপজেলা ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সীমানায় লোহাগাড়ার উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের আবদুর জব্বারের সন্তান প্রতিবন্ধী আরফাতুল ইসলামের স্বপ্ন পুড়ে ছাই করে দিল সন্ত্রাসীরা। তারা আরফাতের ভেটেরিনারি ও গো-খাদ্যের দোকান পুড়েই ক্ষান্ত হয়নি, পরদিন আবার তারা গরু ছাগলের খামারে আগুন দিতে যায়। সেখানকার কর্মচারীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা দ্রুত খড়ের পালায় (গো-খাদ্য) আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এতে আরফাতের প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ধার-দেনা করে দেয়া দোকান পুড়ে যাওয়ায় আরফাত এখন চারদিকে অন্ধকার দেখছে। এদিকে আবার সন্ত্রাসীদের হামলার ভয়ে তটস্থও রয়েছে। স্থানীয় এক প্রভাবশালী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাদের দিয়ে এসব কর্মকা- চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত আরফাত। সে জানায়, লোহাগাড়া উপজেলার পার্শ্ববর্তী লামা উপজেলায় আরফাত একটি মাছের খামার করে। সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী দিন দুপুরে মাছের প্রজেক্টের বাধ কেটে দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করে। স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় আরফাত তার মাছ রক্ষা করে। পরদিন সে লামা আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও ইস্যু করে।
এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার লামা উপজেলার পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পুটিবিলায় আরফাতের দোকানের ভেতর পেট্রোল দিয়ে পুড়ে দেয়। ওইদিন লোহাগাড়া থানায় আরফাত অভিযোগ করতে গেলে লোহাগাড়া থানার ওসি (তদন্ত) ওবায়দুল ইসলাম বলেন, অভিযোগে কারও নাম দেয়া যাবে না অজ্ঞাত লিখে অভিযোগ দিতে হবে। ক্ষোভে অপমানে আরফাত ওইদিন লোহাগাড়া থানায় অভিযোগ না করেই চলে আসে। আর এতে সন্ত্রাসীরা আরও উৎসাহিত হয়ে পরদিন শুক্রবার রাতে আরফাতের পুটিবিলার গরু ছাগলের খামারে আগুন দিতে না পেরে খড়ের পালা (গো-খাদ্যে) আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। পরদিন আরফাত আবার লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করতে যায়। থানার অফিসার্স ইনচার্জ জাকের হোসেন মাহমুদ অভিযোগ গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য ছোটবেলা থেকে আরফাতের এক পা অচল। সে এক পা দিয়ে চলাফেরা করে। বর্তমানে বান্দরবান কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, আরফাত প্রতিবন্ধী হলেও লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজের প্রচেষ্টায় দোকান ও গরু ছাগলের খামার করে পরিবারের খরচ যোগান দিত। তার অসুস্থ বৃদ্ধ পিতার চিকিৎসার খরচ ও সে জোগান দিত। এখন তার পরিবার চরম সংকটে পড়ে গেল।
সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২ , ২৬ পৌষ ১৪২৮ ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
মোহাম্মদ সেলিম, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)
বান্দরবানের লামা উপজেলা ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সীমানায় লোহাগাড়ার উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের আবদুর জব্বারের সন্তান প্রতিবন্ধী আরফাতুল ইসলামের স্বপ্ন পুড়ে ছাই করে দিল সন্ত্রাসীরা। তারা আরফাতের ভেটেরিনারি ও গো-খাদ্যের দোকান পুড়েই ক্ষান্ত হয়নি, পরদিন আবার তারা গরু ছাগলের খামারে আগুন দিতে যায়। সেখানকার কর্মচারীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা দ্রুত খড়ের পালায় (গো-খাদ্য) আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এতে আরফাতের প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ধার-দেনা করে দেয়া দোকান পুড়ে যাওয়ায় আরফাত এখন চারদিকে অন্ধকার দেখছে। এদিকে আবার সন্ত্রাসীদের হামলার ভয়ে তটস্থও রয়েছে। স্থানীয় এক প্রভাবশালী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাদের দিয়ে এসব কর্মকা- চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত আরফাত। সে জানায়, লোহাগাড়া উপজেলার পার্শ্ববর্তী লামা উপজেলায় আরফাত একটি মাছের খামার করে। সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী দিন দুপুরে মাছের প্রজেক্টের বাধ কেটে দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করে। স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় আরফাত তার মাছ রক্ষা করে। পরদিন সে লামা আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও ইস্যু করে।
এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার লামা উপজেলার পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পুটিবিলায় আরফাতের দোকানের ভেতর পেট্রোল দিয়ে পুড়ে দেয়। ওইদিন লোহাগাড়া থানায় আরফাত অভিযোগ করতে গেলে লোহাগাড়া থানার ওসি (তদন্ত) ওবায়দুল ইসলাম বলেন, অভিযোগে কারও নাম দেয়া যাবে না অজ্ঞাত লিখে অভিযোগ দিতে হবে। ক্ষোভে অপমানে আরফাত ওইদিন লোহাগাড়া থানায় অভিযোগ না করেই চলে আসে। আর এতে সন্ত্রাসীরা আরও উৎসাহিত হয়ে পরদিন শুক্রবার রাতে আরফাতের পুটিবিলার গরু ছাগলের খামারে আগুন দিতে না পেরে খড়ের পালা (গো-খাদ্যে) আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। পরদিন আরফাত আবার লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করতে যায়। থানার অফিসার্স ইনচার্জ জাকের হোসেন মাহমুদ অভিযোগ গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য ছোটবেলা থেকে আরফাতের এক পা অচল। সে এক পা দিয়ে চলাফেরা করে। বর্তমানে বান্দরবান কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, আরফাত প্রতিবন্ধী হলেও লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজের প্রচেষ্টায় দোকান ও গরু ছাগলের খামার করে পরিবারের খরচ যোগান দিত। তার অসুস্থ বৃদ্ধ পিতার চিকিৎসার খরচ ও সে জোগান দিত। এখন তার পরিবার চরম সংকটে পড়ে গেল।