ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

ফেডারেশন কাপে রহমতগঞ্জকে ইতিহাস সৃষ্টি করতে দিল না আবাহনী লিমিটেড। পুরান ঢাকার ক্লাবটির স্বপ্ন ভেঙে স্বাধীনতা কাপের পর ফেডারেশন কাপের শিরোপাও জিতে নিয়েছে আবাহনী শিবির। গতকাল কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে আবাহনী ২-১ গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়। এবার তাদের চোখ ট্রেবল শিরোপায়। মৌসুমের দুটি শিরোপা এখন তাদের ঘরে। প্রিমিয়ার লীগের ট্রফি জিততে পারলেই পূর্ণ হবে ট্রেবলস্বপ্ন। স্টেডিয়ামের উত্তর গ্যালারিতে ক্লাবের ছোট ছোট পতাকার সঙ্গে ছিল বড় ব্যানারও। যেখানে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা ছিল ‘অভিনন্দন’। এক ঝাঁক তরুণ-তরুণীর সঙ্গে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন রহমতগঞ্জের বিভিন্ন বয়সের ফুটবলপ্রেমীরা। স্বপ্নপূরণের শেষ সিড়িতে পা দেয়া পুরান ঢাকার ক্লাবটির সমর্থকরা ম্যাচের পুরো সময়ই মাতিয়ে রাখে কমলাপুর স্টেডিয়ামকে।

কিন্তু সেই উৎসবের গ্যালারিকে স্তব্ধ করে দেন দানিয়েল কলিনদ্রেস। দুই বছর আগে যে কলিনদ্রেস জাদুতে প্রথমবারের মতো বড় কোন টুর্নামেন্টের ট্রফি জয়ের স্বপ্নভেঙে গিয়েছিল রহমতগঞ্জের। সেই ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবারও পুরান ঢাকার ক্লাব সমথর্কদের হƒদয় ভেঙেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা কোস্টারিকান এ ফরোয়ার্ড।

২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংসকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন কলিনদ্র্রেস। এবার জার্সি বদলে জেতালেন আবাহনীকে। অন্যদিকে নতুন মৌসুমে বদলে যাওয়া আবাহনী সমর্থকরা ঢাক ঢোল পিটিয়ে শিরোপা উৎসব করেছেন।

ইনজুরির কারণে শিরোপামঞ্চে ছিলেন না আবাহনীর দুই বিদেশি রাফায়েল অগাস্তো এবং ডরিয়েলটন। কিংসের বিপক্ষে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে এ দুই বিদেশির সঙ্গে কলিনদ্রেস জাদুতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী। কিন্তু গতকাল রাফায়েল ও ডরিয়েলটন না থাকায় শুরুতে কিছুটা এলোমেলো ছিল মারিও লেমোসের দল। তবে সময়ের সঙ্গে গুছিয়ে ওঠে তারা।

রহমতগঞ্জের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবাও খুব একটা কারিশমা দেখাতে পারেননি। প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে রাকিব হোসেনের শট রহমতগঞ্জের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে সামনে আসে। ফিরতি শট নেন রাকিব। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টে চলে যায় কলিনদ্রেসের কাছে। বক্সের মাথা থেকে বাঁ পায়ের প্লেসিং শটে রহমতগঞ্জের জাল কাঁপান তিনি (১-০)। ৬৪ মিনিটে কলিনদ্রেসের পাস খুঁজে নেয় নুরুল নাঈম ফয়সালকে।

তার শট রহমতগঞ্জের গোলকিপার রাকিবুল হাসান তুষার ফিস্ট করলেও চলে যায় বক্সের মধ্যে দাঁড়ানো রাকিবের কাছে। ঠা-া মাথায় প্লেসিং শটে গোল করেন তিনি (২-০)। দ্বিতীয় গোল হজম করলেও হাল ছাড়েনি পুরান ঢাকার ক্লাবটি। পাঁচ মিনিট পর ফিলিপ আদজাহ এক গোল পরিশোধ করলে জমে ওঠে ম্যাচটি (১-২)। তবে এবার আর সেমিফাইনালে মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচের পূনরাবৃত্তি করতে পারেনি রহমতগঞ্জ। ২০১৯-২০ মৌসুমের পর আরেকবার স্বপ্নভঙ্গ হলো তাদের। ম্যান অব দ্য ফাইনাল : দানিয়েল কলিনদ্রেস।

সর্বোচ্চ গোলদাতা : যুগ্মভাবে ডোরেয়লটন ও ফিলিপ (৪ গোল)।

প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট : দানিয়েল কলিনদ্রেস।

ফেয়ার প্লে ট্রফি : আবাহনী লিমিটেড

সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২ , ২৬ পৌষ ১৪২৮ ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর উল্লাস

ফেডারেশন কাপে রহমতগঞ্জকে ইতিহাস সৃষ্টি করতে দিল না আবাহনী লিমিটেড। পুরান ঢাকার ক্লাবটির স্বপ্ন ভেঙে স্বাধীনতা কাপের পর ফেডারেশন কাপের শিরোপাও জিতে নিয়েছে আবাহনী শিবির। গতকাল কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে আবাহনী ২-১ গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়। এবার তাদের চোখ ট্রেবল শিরোপায়। মৌসুমের দুটি শিরোপা এখন তাদের ঘরে। প্রিমিয়ার লীগের ট্রফি জিততে পারলেই পূর্ণ হবে ট্রেবলস্বপ্ন। স্টেডিয়ামের উত্তর গ্যালারিতে ক্লাবের ছোট ছোট পতাকার সঙ্গে ছিল বড় ব্যানারও। যেখানে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা ছিল ‘অভিনন্দন’। এক ঝাঁক তরুণ-তরুণীর সঙ্গে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন রহমতগঞ্জের বিভিন্ন বয়সের ফুটবলপ্রেমীরা। স্বপ্নপূরণের শেষ সিড়িতে পা দেয়া পুরান ঢাকার ক্লাবটির সমর্থকরা ম্যাচের পুরো সময়ই মাতিয়ে রাখে কমলাপুর স্টেডিয়ামকে।

কিন্তু সেই উৎসবের গ্যালারিকে স্তব্ধ করে দেন দানিয়েল কলিনদ্রেস। দুই বছর আগে যে কলিনদ্রেস জাদুতে প্রথমবারের মতো বড় কোন টুর্নামেন্টের ট্রফি জয়ের স্বপ্নভেঙে গিয়েছিল রহমতগঞ্জের। সেই ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবারও পুরান ঢাকার ক্লাব সমথর্কদের হƒদয় ভেঙেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা কোস্টারিকান এ ফরোয়ার্ড।

২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংসকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন কলিনদ্র্রেস। এবার জার্সি বদলে জেতালেন আবাহনীকে। অন্যদিকে নতুন মৌসুমে বদলে যাওয়া আবাহনী সমর্থকরা ঢাক ঢোল পিটিয়ে শিরোপা উৎসব করেছেন।

ইনজুরির কারণে শিরোপামঞ্চে ছিলেন না আবাহনীর দুই বিদেশি রাফায়েল অগাস্তো এবং ডরিয়েলটন। কিংসের বিপক্ষে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে এ দুই বিদেশির সঙ্গে কলিনদ্রেস জাদুতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী। কিন্তু গতকাল রাফায়েল ও ডরিয়েলটন না থাকায় শুরুতে কিছুটা এলোমেলো ছিল মারিও লেমোসের দল। তবে সময়ের সঙ্গে গুছিয়ে ওঠে তারা।

রহমতগঞ্জের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবাও খুব একটা কারিশমা দেখাতে পারেননি। প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে রাকিব হোসেনের শট রহমতগঞ্জের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে সামনে আসে। ফিরতি শট নেন রাকিব। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টে চলে যায় কলিনদ্রেসের কাছে। বক্সের মাথা থেকে বাঁ পায়ের প্লেসিং শটে রহমতগঞ্জের জাল কাঁপান তিনি (১-০)। ৬৪ মিনিটে কলিনদ্রেসের পাস খুঁজে নেয় নুরুল নাঈম ফয়সালকে।

তার শট রহমতগঞ্জের গোলকিপার রাকিবুল হাসান তুষার ফিস্ট করলেও চলে যায় বক্সের মধ্যে দাঁড়ানো রাকিবের কাছে। ঠা-া মাথায় প্লেসিং শটে গোল করেন তিনি (২-০)। দ্বিতীয় গোল হজম করলেও হাল ছাড়েনি পুরান ঢাকার ক্লাবটি। পাঁচ মিনিট পর ফিলিপ আদজাহ এক গোল পরিশোধ করলে জমে ওঠে ম্যাচটি (১-২)। তবে এবার আর সেমিফাইনালে মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচের পূনরাবৃত্তি করতে পারেনি রহমতগঞ্জ। ২০১৯-২০ মৌসুমের পর আরেকবার স্বপ্নভঙ্গ হলো তাদের। ম্যান অব দ্য ফাইনাল : দানিয়েল কলিনদ্রেস।

সর্বোচ্চ গোলদাতা : যুগ্মভাবে ডোরেয়লটন ও ফিলিপ (৪ গোল)।

প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট : দানিয়েল কলিনদ্রেস।

ফেয়ার প্লে ট্রফি : আবাহনী লিমিটেড