নাসিক নির্বাচন

দুই মেয়র প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের আর মাত্র ৫ দিন বাকি। দম ফেলার ফুরসত নেই মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের। দিনরাত প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এদিকে প্রচারণায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী প্রতিদিনই একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলছেন। ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আর স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার।

গতকাল দিনভর প্রচারণা চালিয়েছেন আইভী ও তৈমুর। আইভী নগরীর ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যেখানেই যাচ্ছেন জনগণের ‘ব্যাপক সাড়া’ পাচ্ছেন তিনি। দলে ‘কে কাকে সমর্থন দিলো কিংবা না দিলো’ তাতে ভোটারদের ‘মাথা ব্যাথা নেই’। দল তাকে নমিনেশন দিয়েছে এটাই বড় ব্যাপার। ভোটাররা তাকেই মেয়র হিসেবে বেছে নিবেন বলে মনে করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আবারও তৈমুর আলমকে শামীম ওসমানের প্রার্থী বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘তৈমুর আলম খন্দকারের কর্মকা-ে ফুটে উঠেছে উনি শামীম ওসমানের ক্যান্ডিডেট। উনি যদি তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় না দাঁড়াতেন তাহলে তাদের অনুসারী চারজন ইউপি চেয়ারম্যান তার পক্ষে দাঁড়াতো না।’

কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ না করলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাকে অসম্মান করে কথা বলছেন বলেও অভিযোগ আইভীর। তিনি বলেন, ‘উনি সম্পর্কে আমার চাচা। তাকে সম্মান করেই আমি নির্বাচন চালিয়ে যাবো।’

এদিকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালিয়েছেন তৈমুর আলম খন্দকার। তার পক্ষে তার স্ত্রী হালিমা ফারজানা ও কন্যা ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার সকালে ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও বিকেলে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালিয়েছেন। প্রচারণার সময় তৈমুর আলম অভিযোগ করেন, তার কর্মী-সমর্থকদের প্রশাসনিকভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।

তৈমুর বলেন, ‘একটা প্রবাদ আছে মসজিদ ভাঙলে গড়া যায় কিন্তু মন ভাঙলে গড়া যায় না। পুলিশ দিয়ে জোর করে নির্বাচন করলে এটা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একটা মেয়র নির্বাচনের জন্য একটা সরকার যদি নগ্নভাবে পুলিশকে ব্যবহার করে, ভয়ভীতি দেখায়। তাহলে সরকার প্রধানের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনটা নারায়ণগঞ্জের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। জনগণ যেটা চায় সেটাই হবে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত দশ বছরে সেলিনা হায়াৎ আইভী পরিকল্পিত উন্নয়ন করেননি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ তার প্রতি অসন্তুষ্ট।’

শামীম ওসমানের সমর্থন প্রসঙ্গে তৈমুর বলেন, ‘এখন নতুন আরেকটা কথা আসছে। আমি তো সবার সমর্থন কামনা করি। প্রতিটি ভোটারের সমর্থন চাই। আমার দল ঐক্যবদ্ধ। তার মন্তব্যের কারণে তার দলে যে বিশাল ফাটল এটা জনগণের কাছে পরিষ্কার। শহরে এখন আলেচনা তারাই তো তাদের লোকদের সমর্থন পাচ্ছে না। আর তৈমুর আলম খন্দকার সবাইকে নিয়ে মাঠে নেমেছে। আমার জয় হবে এটাই জনগণ বলছে।’

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২ , ২৭ পৌষ ১৪২৮ ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

নাসিক নির্বাচন

দুই মেয়র প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

image

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের আর মাত্র ৫ দিন বাকি। দম ফেলার ফুরসত নেই মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের। দিনরাত প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এদিকে প্রচারণায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী প্রতিদিনই একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলছেন। ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আর স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার।

গতকাল দিনভর প্রচারণা চালিয়েছেন আইভী ও তৈমুর। আইভী নগরীর ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যেখানেই যাচ্ছেন জনগণের ‘ব্যাপক সাড়া’ পাচ্ছেন তিনি। দলে ‘কে কাকে সমর্থন দিলো কিংবা না দিলো’ তাতে ভোটারদের ‘মাথা ব্যাথা নেই’। দল তাকে নমিনেশন দিয়েছে এটাই বড় ব্যাপার। ভোটাররা তাকেই মেয়র হিসেবে বেছে নিবেন বলে মনে করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আবারও তৈমুর আলমকে শামীম ওসমানের প্রার্থী বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘তৈমুর আলম খন্দকারের কর্মকা-ে ফুটে উঠেছে উনি শামীম ওসমানের ক্যান্ডিডেট। উনি যদি তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় না দাঁড়াতেন তাহলে তাদের অনুসারী চারজন ইউপি চেয়ারম্যান তার পক্ষে দাঁড়াতো না।’

কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ না করলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাকে অসম্মান করে কথা বলছেন বলেও অভিযোগ আইভীর। তিনি বলেন, ‘উনি সম্পর্কে আমার চাচা। তাকে সম্মান করেই আমি নির্বাচন চালিয়ে যাবো।’

এদিকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালিয়েছেন তৈমুর আলম খন্দকার। তার পক্ষে তার স্ত্রী হালিমা ফারজানা ও কন্যা ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার সকালে ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও বিকেলে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালিয়েছেন। প্রচারণার সময় তৈমুর আলম অভিযোগ করেন, তার কর্মী-সমর্থকদের প্রশাসনিকভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।

তৈমুর বলেন, ‘একটা প্রবাদ আছে মসজিদ ভাঙলে গড়া যায় কিন্তু মন ভাঙলে গড়া যায় না। পুলিশ দিয়ে জোর করে নির্বাচন করলে এটা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একটা মেয়র নির্বাচনের জন্য একটা সরকার যদি নগ্নভাবে পুলিশকে ব্যবহার করে, ভয়ভীতি দেখায়। তাহলে সরকার প্রধানের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনটা নারায়ণগঞ্জের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। জনগণ যেটা চায় সেটাই হবে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত দশ বছরে সেলিনা হায়াৎ আইভী পরিকল্পিত উন্নয়ন করেননি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ তার প্রতি অসন্তুষ্ট।’

শামীম ওসমানের সমর্থন প্রসঙ্গে তৈমুর বলেন, ‘এখন নতুন আরেকটা কথা আসছে। আমি তো সবার সমর্থন কামনা করি। প্রতিটি ভোটারের সমর্থন চাই। আমার দল ঐক্যবদ্ধ। তার মন্তব্যের কারণে তার দলে যে বিশাল ফাটল এটা জনগণের কাছে পরিষ্কার। শহরে এখন আলেচনা তারাই তো তাদের লোকদের সমর্থন পাচ্ছে না। আর তৈমুর আলম খন্দকার সবাইকে নিয়ে মাঠে নেমেছে। আমার জয় হবে এটাই জনগণ বলছে।’