শীতের মৌসুমে গরম কাপড়ের ব্যবসা জমে ওঠার কথা থাকলেও জমেনি এবারের শীতের কাপড়ের ব্যবসা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজার খুব একটা জমছে না। এবার শীত কম তাই বেচাকেনা কম। শুরুর দিকে কিছুটা বেচাকেনা হলেও এখন কমে গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ফুটপাত ও মার্কেটগুলোতে সোয়েটার, উলের পোশাক, ব্লেজার, ট্রাউজার, জ্যাকেট, চাদর, মাফলার, কানটুপিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্রের দাম এখন তুলনামূলক বেশি। তাই ক্রেতারা এই ধরনের পোশাক কিনছেন না। যেহেতু বিক্রি খুব বেশি হচ্ছে না তাই ভালো মানের সোয়েটার বাজারে আনছেন না তারা। আর এবার শীতও কম। তাই বেচাকেনা বিগত বছরগুলোর চেয়ে কম বলেও জানিয়েছেন তারা।
বর্তমান সময়ে ফ্যাশনেবল সোয়েটার পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সবাই। এবার ছেলেমেয়ে উভয়ই হুডির প্রতি বেশি আকৃষ্ট। তাছাড়া মেয়েদের বেশি পছন্দ লং সোয়েটার। উলের সোয়েটার সব বয়সের মানুষই পছন্দ করে।
মহসিন নামে একে ব্যবসায়ী বলেন, ‘উলের সুতার দাম বেশি তাই উলের সোয়েটারেরও দাম বেশি। এর আগে আটশ’ টাকা দিয়ে একটা সোয়েটার বিক্রি করেছি কিন্তু এখন ৫০০ টাকায় দিয়ে কেউ কিনছে না।’
সকাল থেকে মধ্যদুপুর পর্যন্ত কোন বিক্রি নেই। ক্রেতা আসছে কিন্তু দামে মিলছে না যার কারণে তারা ফিরে যাচ্ছে আর আমরাও তাদের দিতে পারছি না। ভেবেছিলাম এবছর ভালো ব্যবসা হলে করোনার ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারব। তবে বাজারে সব জিনিসের দাম এত বেশি ব্যবসায়ীরা তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারছে না।
ব্যবসায়ী জামিল বলেন, আমরা কদিন আগে যে দামে বিক্রি করেছি তা এখন নেই। এখন শীত কমে গেছে তাই দামও কমে গেছে। সাধারণত ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় থাকে। কিন্তু চড়া দামের কারণে সেখান থেকেও অনেককে খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যতই বলুক দাম কমেছে কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে চড়াই মনে হচ্ছে।
গুলিস্তানে ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে আসা ক্রেতা আফজাল হোসেন সংবাদকে বলেন, আমি এই খোলা বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছি কিন্তু দাম এত বেশি হাঁকাচ্ছে। যেটা পছন্দ হচ্ছে সেটা দামে মিলছে না।
আরেক ক্রেতা সামিমা আক্তার বলেন, আমি এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটা দোকান ঘুরেছি কিন্তু দামে মিলছে না। তাই আর কেনা হচ্ছে না। যেগুলো দামে মিলছে সেগুলো মানসম্মত মনে হচ্ছে না। এখন কেনাকাটা না করেই ফিরে যাচ্ছি।
মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২ , ২৭ পৌষ ১৪২৮ ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
মাধবী কুজুর
শীতের মৌসুমে গরম কাপড়ের ব্যবসা জমে ওঠার কথা থাকলেও জমেনি এবারের শীতের কাপড়ের ব্যবসা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজার খুব একটা জমছে না। এবার শীত কম তাই বেচাকেনা কম। শুরুর দিকে কিছুটা বেচাকেনা হলেও এখন কমে গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ফুটপাত ও মার্কেটগুলোতে সোয়েটার, উলের পোশাক, ব্লেজার, ট্রাউজার, জ্যাকেট, চাদর, মাফলার, কানটুপিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্রের দাম এখন তুলনামূলক বেশি। তাই ক্রেতারা এই ধরনের পোশাক কিনছেন না। যেহেতু বিক্রি খুব বেশি হচ্ছে না তাই ভালো মানের সোয়েটার বাজারে আনছেন না তারা। আর এবার শীতও কম। তাই বেচাকেনা বিগত বছরগুলোর চেয়ে কম বলেও জানিয়েছেন তারা।
বর্তমান সময়ে ফ্যাশনেবল সোয়েটার পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সবাই। এবার ছেলেমেয়ে উভয়ই হুডির প্রতি বেশি আকৃষ্ট। তাছাড়া মেয়েদের বেশি পছন্দ লং সোয়েটার। উলের সোয়েটার সব বয়সের মানুষই পছন্দ করে।
মহসিন নামে একে ব্যবসায়ী বলেন, ‘উলের সুতার দাম বেশি তাই উলের সোয়েটারেরও দাম বেশি। এর আগে আটশ’ টাকা দিয়ে একটা সোয়েটার বিক্রি করেছি কিন্তু এখন ৫০০ টাকায় দিয়ে কেউ কিনছে না।’
সকাল থেকে মধ্যদুপুর পর্যন্ত কোন বিক্রি নেই। ক্রেতা আসছে কিন্তু দামে মিলছে না যার কারণে তারা ফিরে যাচ্ছে আর আমরাও তাদের দিতে পারছি না। ভেবেছিলাম এবছর ভালো ব্যবসা হলে করোনার ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারব। তবে বাজারে সব জিনিসের দাম এত বেশি ব্যবসায়ীরা তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারছে না।
ব্যবসায়ী জামিল বলেন, আমরা কদিন আগে যে দামে বিক্রি করেছি তা এখন নেই। এখন শীত কমে গেছে তাই দামও কমে গেছে। সাধারণত ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় থাকে। কিন্তু চড়া দামের কারণে সেখান থেকেও অনেককে খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যতই বলুক দাম কমেছে কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে চড়াই মনে হচ্ছে।
গুলিস্তানে ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে আসা ক্রেতা আফজাল হোসেন সংবাদকে বলেন, আমি এই খোলা বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছি কিন্তু দাম এত বেশি হাঁকাচ্ছে। যেটা পছন্দ হচ্ছে সেটা দামে মিলছে না।
আরেক ক্রেতা সামিমা আক্তার বলেন, আমি এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটা দোকান ঘুরেছি কিন্তু দামে মিলছে না। তাই আর কেনা হচ্ছে না। যেগুলো দামে মিলছে সেগুলো মানসম্মত মনে হচ্ছে না। এখন কেনাকাটা না করেই ফিরে যাচ্ছি।