পুলিশের নতুন সদস্যদের আচরণগত শিক্ষা শুরু

নতুন করে নিয়োগ দেয়া ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে আচরণগত শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণের শুরুতে প্রথমে এ আচরণ শিক্ষা দেয়া হয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পুলিশ কর্মকর্তাদের একাধিক সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, এ বছর মেধার ভিত্তিতে ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৬৭ ভাগই নিম্নবিত্ত পরিবারের। তারা পুলিশ সদস্য হিসেবে পরীক্ষা দিয়ে মেধা ও যোগ্যতার বলে নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগ প্রতিযোগিতার মধ্যে শতকরা ১১ ভাগ থেকে ১২ ভাগ সদস্য পূর্ববর্তী পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্রও রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে কঠোর কড়াকড়ি আরোপের কারণে এ বছর পুলিশ সদস্য নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নিয়োগপ্রাপ্তরা বেশিরভাগ দরিদ্র পরিবারের সন্তান। যাদের বয়সও কম। পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কর্মকর্তারা বলেন, কনস্টেবলদেরকে প্রশিক্ষণের শুরুতে সিলেবাস অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। হ্যান্ডবুকসহ নতুন নতুন কোর্সে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। পুলিশে নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যরা বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন পরিবেশ থেকে তারা পুলিশে যোগদান করেছে। তারা পেশাগত জীবনে এসে যাতে সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করে তার জন্য তাদেরকে আচরণগত শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মস্থলে গিয়ে যাতে ভালোভাবে মানুষের সেবা করতে পারে তার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে জোর দেয়া হয়েছে। ৬ মাসের এ প্রশিক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তির ট্রেনিং, মানবাধিকারসহ নতুন নতুন অপরাধ সম্পর্কে ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত অনেক সদস্যই কর্মস্থলে গিয়ে রহস্যজনক কারণে সেবাগ্রহীতার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। তাদের বাজে আচরণের কারণে অনেকেই পুলিশের কাছে যেতেই অনীহা রয়েছে। আবার পুলিশের কাছে গেলে বাড়তি ঝামেলা রয়েছে। অনেকেই বকশিসের দাবি করেন।

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২ , ২৭ পৌষ ১৪২৮ ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

পুলিশের নতুন সদস্যদের আচরণগত শিক্ষা শুরু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

নতুন করে নিয়োগ দেয়া ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে আচরণগত শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণের শুরুতে প্রথমে এ আচরণ শিক্ষা দেয়া হয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পুলিশ কর্মকর্তাদের একাধিক সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, এ বছর মেধার ভিত্তিতে ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৬৭ ভাগই নিম্নবিত্ত পরিবারের। তারা পুলিশ সদস্য হিসেবে পরীক্ষা দিয়ে মেধা ও যোগ্যতার বলে নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগ প্রতিযোগিতার মধ্যে শতকরা ১১ ভাগ থেকে ১২ ভাগ সদস্য পূর্ববর্তী পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্রও রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে কঠোর কড়াকড়ি আরোপের কারণে এ বছর পুলিশ সদস্য নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নিয়োগপ্রাপ্তরা বেশিরভাগ দরিদ্র পরিবারের সন্তান। যাদের বয়সও কম। পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কর্মকর্তারা বলেন, কনস্টেবলদেরকে প্রশিক্ষণের শুরুতে সিলেবাস অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। হ্যান্ডবুকসহ নতুন নতুন কোর্সে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। পুলিশে নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যরা বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন পরিবেশ থেকে তারা পুলিশে যোগদান করেছে। তারা পেশাগত জীবনে এসে যাতে সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করে তার জন্য তাদেরকে আচরণগত শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মস্থলে গিয়ে যাতে ভালোভাবে মানুষের সেবা করতে পারে তার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে জোর দেয়া হয়েছে। ৬ মাসের এ প্রশিক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তির ট্রেনিং, মানবাধিকারসহ নতুন নতুন অপরাধ সম্পর্কে ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত অনেক সদস্যই কর্মস্থলে গিয়ে রহস্যজনক কারণে সেবাগ্রহীতার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। তাদের বাজে আচরণের কারণে অনেকেই পুলিশের কাছে যেতেই অনীহা রয়েছে। আবার পুলিশের কাছে গেলে বাড়তি ঝামেলা রয়েছে। অনেকেই বকশিসের দাবি করেন।