মালিকরা চান ৫০ শতাংশ ভাড়া সমন্বয়

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনে ৫০ শতাংশ ভাড়া সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ সংবাদকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ভাড়া সমন্বয়ের জন্য আগের যে নির্দেশনা রয়েছে তাই অনুসরণ করতে হবে। তা না হলে তেলের পয়সাও উঠবে না। ৬০ শতাংশ না হয়ে ৫০ শতাংশ হলেও কিছু উপকার হবে বলে জানান তিনি।

করোনা মহামারীর মধ্যে গত বছর এবং তার আগের বছর অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার সময় ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। এবারও তেমনটি চান বাস ও লঞ্চ মালিকরা, যদিও ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর গত বছরের শেষভাগে বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ এবং লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবের পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে গতকাল নতুন করে কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ট্রেন, বাস ও লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেয়া যাবে। সব ধরনের যানের চালক ও সহকারীদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকার সনদধারী হতে হবে। আগামী ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া অবধি এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মোহম্মদ নূর মোহাম্মদ মজুমদার সংবাদকে বলেন, ‘বিধি-নিষেধের নির্দেশনা কার্যকরের বিষয়ে এখনও দুটি সময় হাতে আছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

অর্ধেক যাত্রী পরিবহনে লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি প্রস্তাব করেছে লঞ্চ মালিকরা। লঞ্চ মালিক সমিতি (যাত্রী সংস্থা)’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘অতীতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়তে হয়েছে, কিন্তু ব্যবসার বারোটা বেজেছে তখন। ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নেয়া হয়েছে, কিন্তু যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আর অনেক গরিব যাত্রী লঞ্চে উঠে বলেছে, এত টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই।’

তবে লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো বা সমন্বয়ের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (নৌ-নিটা) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমরা এখনও কোন নির্দেশনা পাইনি। সরকারিভাবে নির্দেশনা পেলে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন করে আবার ভাড়া বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২ , ২৭ পৌষ ১৪২৮ ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রীবহন

মালিকরা চান ৫০ শতাংশ ভাড়া সমন্বয়

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনে ৫০ শতাংশ ভাড়া সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ সংবাদকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ভাড়া সমন্বয়ের জন্য আগের যে নির্দেশনা রয়েছে তাই অনুসরণ করতে হবে। তা না হলে তেলের পয়সাও উঠবে না। ৬০ শতাংশ না হয়ে ৫০ শতাংশ হলেও কিছু উপকার হবে বলে জানান তিনি।

করোনা মহামারীর মধ্যে গত বছর এবং তার আগের বছর অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার সময় ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। এবারও তেমনটি চান বাস ও লঞ্চ মালিকরা, যদিও ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর গত বছরের শেষভাগে বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ এবং লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবের পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে গতকাল নতুন করে কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ট্রেন, বাস ও লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেয়া যাবে। সব ধরনের যানের চালক ও সহকারীদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকার সনদধারী হতে হবে। আগামী ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া অবধি এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মোহম্মদ নূর মোহাম্মদ মজুমদার সংবাদকে বলেন, ‘বিধি-নিষেধের নির্দেশনা কার্যকরের বিষয়ে এখনও দুটি সময় হাতে আছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

অর্ধেক যাত্রী পরিবহনে লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি প্রস্তাব করেছে লঞ্চ মালিকরা। লঞ্চ মালিক সমিতি (যাত্রী সংস্থা)’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘অতীতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়তে হয়েছে, কিন্তু ব্যবসার বারোটা বেজেছে তখন। ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নেয়া হয়েছে, কিন্তু যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আর অনেক গরিব যাত্রী লঞ্চে উঠে বলেছে, এত টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই।’

তবে লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো বা সমন্বয়ের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (নৌ-নিটা) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমরা এখনও কোন নির্দেশনা পাইনি। সরকারিভাবে নির্দেশনা পেলে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন করে আবার ভাড়া বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম বলে জানান তিনি।