প্লাস্টিক দূষণে বিষিয়ে উঠছে পরিবেশ

মানুষ হিসেবে আমরা নিজেদের শ্রেষ্ঠ দাবি করি ঠিকই কিন্তু মানবসৃষ্ট কারণেই ধীরে ধীরে বিষাক্ত হয়ে উঠছে চারপাশের পরিবেশ। ক্রমাগত প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতার ফলে পরিবেশ হারিয়ে ফেলছে স্বাভাবিক গতি। নিত্যদিন প্লাস্টিক দ্রব্যের অপব্যবহারের ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।

প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য অপচনশীল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এসব দ্রব্য মাটির নিচে গেলে ৫০০ বছর কিংবা তারও বেশি সময় ধরে অক্ষয় অবস্থায় টিকে থাকতে পারে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। দেশের ক্রমাগত বেড়েই চলেছে নিম্নমানের প্লাস্টিক দ্রব্য দিয়ে বিভিন্ন খাবার কিংবা পণ্য বিক্রির ধুম। কিন্তু এসব প্লাস্টিকের যথাযথ সংরক্ষণ ও বর্জ্য অব্যবস্থাপনার ফলে নানাভাবে ঘটছে দূষণ। রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অধিকাংশ প্লাস্টিক ও পলিথিন প্রথমে নালা এবং পরে নদীর মাধ্যমে সাগরে গিয়ে ঠাঁই হচ্ছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য।

সমুদ্রে দিন দিন প্লাস্টিকের পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রাণী খাদ্য মনে করে এসব প্লাস্টিক খেয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যুবরণ করছে। শুধু তাই নয়, এসব প্লাস্টিক বর্জ্য পুড়িয়ে ধ্বংস করতে গেলেও ঘটছে পরিবেশদূষণ। মূলত প্লাস্টিক বিড়ম্বনায় প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ ও মানবজীবন। শুধু পরিবেশ দূষণই নয় মানবজীবনকে ও হুমকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে প্লস্টিক। প্লাস্টিকের রসায়নিক পরিবর্তন ঘটে তাপের প্রভাবে। যার ফলে প্লাস্টিকের কন্টেইনার বা পাত্রে খেলে তা থেকে বিষক্রিয়ায় ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।

প্লাস্টিক দূষণ কমানোর লক্ষ্যে ২০০২ সাল থেকে পলিথিন (এক ধরনের প্লাস্টিক) নিষিদ্ধ করে আইন করেছে সরকার। কিন্তু এ আইনের বাস্তবায়ন দেখা যায় না। পরিবেশ ও মানবজীবন থেকে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনতে শুধু সচেতনতাই নয়, প্রয়োজন প্রশাসনিক কঠোর নজরদারি ও আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন।

প্রিন্স আচর্য্য

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২ , ২৭ পৌষ ১৪২৮ ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

প্লাস্টিক দূষণে বিষিয়ে উঠছে পরিবেশ

মানুষ হিসেবে আমরা নিজেদের শ্রেষ্ঠ দাবি করি ঠিকই কিন্তু মানবসৃষ্ট কারণেই ধীরে ধীরে বিষাক্ত হয়ে উঠছে চারপাশের পরিবেশ। ক্রমাগত প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতার ফলে পরিবেশ হারিয়ে ফেলছে স্বাভাবিক গতি। নিত্যদিন প্লাস্টিক দ্রব্যের অপব্যবহারের ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।

প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য অপচনশীল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এসব দ্রব্য মাটির নিচে গেলে ৫০০ বছর কিংবা তারও বেশি সময় ধরে অক্ষয় অবস্থায় টিকে থাকতে পারে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। দেশের ক্রমাগত বেড়েই চলেছে নিম্নমানের প্লাস্টিক দ্রব্য দিয়ে বিভিন্ন খাবার কিংবা পণ্য বিক্রির ধুম। কিন্তু এসব প্লাস্টিকের যথাযথ সংরক্ষণ ও বর্জ্য অব্যবস্থাপনার ফলে নানাভাবে ঘটছে দূষণ। রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অধিকাংশ প্লাস্টিক ও পলিথিন প্রথমে নালা এবং পরে নদীর মাধ্যমে সাগরে গিয়ে ঠাঁই হচ্ছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য।

সমুদ্রে দিন দিন প্লাস্টিকের পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রাণী খাদ্য মনে করে এসব প্লাস্টিক খেয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যুবরণ করছে। শুধু তাই নয়, এসব প্লাস্টিক বর্জ্য পুড়িয়ে ধ্বংস করতে গেলেও ঘটছে পরিবেশদূষণ। মূলত প্লাস্টিক বিড়ম্বনায় প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ ও মানবজীবন। শুধু পরিবেশ দূষণই নয় মানবজীবনকে ও হুমকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে প্লস্টিক। প্লাস্টিকের রসায়নিক পরিবর্তন ঘটে তাপের প্রভাবে। যার ফলে প্লাস্টিকের কন্টেইনার বা পাত্রে খেলে তা থেকে বিষক্রিয়ায় ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।

প্লাস্টিক দূষণ কমানোর লক্ষ্যে ২০০২ সাল থেকে পলিথিন (এক ধরনের প্লাস্টিক) নিষিদ্ধ করে আইন করেছে সরকার। কিন্তু এ আইনের বাস্তবায়ন দেখা যায় না। পরিবেশ ও মানবজীবন থেকে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনতে শুধু সচেতনতাই নয়, প্রয়োজন প্রশাসনিক কঠোর নজরদারি ও আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন।

প্রিন্স আচর্য্য