বাড়ছে সংক্রমণ, একদিনে শনাক্তের হার ৯ শতাংশ

কোভিড শনাক্ত বেড়েই চলছে। সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। এক সপ্তাহ আগে গত ৪ জানুয়ারি নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার ছিল চার শতাংশেরও কম। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দাঁড়াল নয় শতাংশে। সরকারের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। খুব শীঘ্রই কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়তে পারে। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত এক হাজার ৩৪৯ জনের শারীরিক অবস্থা ‘গুরুতর’ ছিল। সবমিলিয়ে এখনও চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজার।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, শীষ মৌসুমে মানুষের ‘মুভমেন্ট’ (চলাফেরা) বেড়ে যাওয়ার কারণেই করোনা সংক্রমণ পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে ঢাকা মহানগরীতে। ঢাকা বিভাগের অন্য জেলাগুলোতেও সংক্রমণ বাড়ছে। শনাক্ত রোগী বাড়লেও ঢাকার ‘কোভিড ডেডিকেটেড’ হাসপাতালগুলোতে এখনও তেমন ভিড় হচ্ছে না বলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে।

দেশে সর্বশেষ একদিনে দুই হাজার ৪৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৯৭৯ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট শনাক্তের ৮০ শতাংশের বেশি। এদিন ১৩টি জেলায় কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। দুই সপ্তাহ আগেও দেশের প্রায় অর্ধেক জেলা করোনা শূন্য ছিল।

কী কারণে সংক্রমণ বাড়ছে- জানতে চাইলে ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘শীত সিজনে করোনার প্রকোপ এমনিতেই বেশি হয়। শীতে মানুষের মুভমেন্ট বেশি হয়, মানুষ ঘুরতে যায়। এছাড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কিছু প্রভাব আছে, ওমিক্রনও কিছু শনাক্ত হয়েছে।’

তবে ওমিক্রন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ এখনও মেলেনি জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘মূলত মানুষের মুভমেন্ট ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে।’

শনাক্তের হার ৯ শতাংশ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দুই হাজার ৪৫৮ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন করোনার দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৯ সেপ্টেম্বর, ওইদিন দুই হাজার ৫৮৮ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানিয়েছিল অধিদপ্তর।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার আট দশমিক ৯৭ শতাংশ। আগের দিন দুই হাজার ২৩১ জনের করোনা শনাক্ত এবং শনাক্তের হার ছিল আট দশমিক ৫৩ শতাংশ।

একদিনে শনাক্ত হওয়া দুই হাজার ৪৫৮ জনকে নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮৯ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হল। এদিন করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট ২৮ হাজার ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৭ জন।

বাড়ছে সক্রিয় রোগী

প্রায় প্রতিদিনই দেশে করোনা শনাক্ত বাড়তে থাকায় সক্রিয় বা চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর মধ্যে সুস্থ হওয়া রোগী এবং মারা যাওয়ার সংখ্যা বাদ দিলে এখন অ্যাক্টিভ কেস বা চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৮৯৫ জন। তাদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত গুরুতর অসুস্থ বা ‘সিরিয়াস ক্রিটিক্যাল’ রোগী ছিল এক হাজার ৩৪৯ জন। অথচ দুই সপ্তাহ আগে ওই সংখ্যা অর্ধেকেরও কম ছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৩৯৯টি। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৩৩৭টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ লাখ ছয় হাজার ৪৪টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৬ লাখ ১৯ হাজার ২৯৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

মোট নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে দেশে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ছয় শতাংশ এবং মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।

একদিনে মৃত্যু হওয়া দু’জনই পুরুষ। তাদের নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৯৭৫ জন এবং দশ হাজার ১৩২ জন ছিলেন নারী।

একদিনে মারা যাওয়া দুজনের বয়সই ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সের মধ্যে ছিল। তারা চট্টগ্রাম এবং খুলনা বিভাগের বাসিন্দা।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর ওই বছরের জুন-জুলাইয়ে সংক্রমণ পিকে (চূড়ায়) উঠে। এরপর কমতে থাকে সংক্রমণ।

পরবর্তীতে গত বছরের মার্চের শুরুতে দেশে পূনরায় বাড়তে সংক্রমণ। শুরু হয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ওই সময় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে সংক্রমণ আবারও পিকে উঠে।

গতবছরের জুলাই-আগস্ট দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ শতাংশও ছাড়িয়ে যায়। এরপর নিয়মিত কমতে থাকে সংক্রমণ। গত ডিসেম্বরের প্রথমদিকে দৈনিক শনাক্তের হার এক শতাংশে নেমে এসেছিল।

কিন্তু ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত শনাক্তের হার এক থেকে দুই শতাংশের মধ্যেই ছিল। এর আগে গত নভেম্বরের শেষে দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয় করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রামক ধরন ‘ওমিক্রন’।

দেশে গত ১১ ডিসেম্বর প্রথম দুজনের ওমিক্রন শনাক্তের ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল পর্যন্ত দেশে ৩০ জনের দেহে ওমিক্রন শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, যাকে বলা হচ্ছে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ।

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২ , ২৮ পৌষ ১৪২৮ ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

বাড়ছে সংক্রমণ, একদিনে শনাক্তের হার ৯ শতাংশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

কোভিড শনাক্ত বেড়েই চলছে। সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। এক সপ্তাহ আগে গত ৪ জানুয়ারি নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার ছিল চার শতাংশেরও কম। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দাঁড়াল নয় শতাংশে। সরকারের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। খুব শীঘ্রই কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়তে পারে। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত এক হাজার ৩৪৯ জনের শারীরিক অবস্থা ‘গুরুতর’ ছিল। সবমিলিয়ে এখনও চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজার।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, শীষ মৌসুমে মানুষের ‘মুভমেন্ট’ (চলাফেরা) বেড়ে যাওয়ার কারণেই করোনা সংক্রমণ পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে ঢাকা মহানগরীতে। ঢাকা বিভাগের অন্য জেলাগুলোতেও সংক্রমণ বাড়ছে। শনাক্ত রোগী বাড়লেও ঢাকার ‘কোভিড ডেডিকেটেড’ হাসপাতালগুলোতে এখনও তেমন ভিড় হচ্ছে না বলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে।

দেশে সর্বশেষ একদিনে দুই হাজার ৪৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৯৭৯ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট শনাক্তের ৮০ শতাংশের বেশি। এদিন ১৩টি জেলায় কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। দুই সপ্তাহ আগেও দেশের প্রায় অর্ধেক জেলা করোনা শূন্য ছিল।

কী কারণে সংক্রমণ বাড়ছে- জানতে চাইলে ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘শীত সিজনে করোনার প্রকোপ এমনিতেই বেশি হয়। শীতে মানুষের মুভমেন্ট বেশি হয়, মানুষ ঘুরতে যায়। এছাড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কিছু প্রভাব আছে, ওমিক্রনও কিছু শনাক্ত হয়েছে।’

তবে ওমিক্রন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ এখনও মেলেনি জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘মূলত মানুষের মুভমেন্ট ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে।’

শনাক্তের হার ৯ শতাংশ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দুই হাজার ৪৫৮ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন করোনার দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৯ সেপ্টেম্বর, ওইদিন দুই হাজার ৫৮৮ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানিয়েছিল অধিদপ্তর।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার আট দশমিক ৯৭ শতাংশ। আগের দিন দুই হাজার ২৩১ জনের করোনা শনাক্ত এবং শনাক্তের হার ছিল আট দশমিক ৫৩ শতাংশ।

একদিনে শনাক্ত হওয়া দুই হাজার ৪৫৮ জনকে নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮৯ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হল। এদিন করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট ২৮ হাজার ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৭ জন।

বাড়ছে সক্রিয় রোগী

প্রায় প্রতিদিনই দেশে করোনা শনাক্ত বাড়তে থাকায় সক্রিয় বা চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর মধ্যে সুস্থ হওয়া রোগী এবং মারা যাওয়ার সংখ্যা বাদ দিলে এখন অ্যাক্টিভ কেস বা চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৮৯৫ জন। তাদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত গুরুতর অসুস্থ বা ‘সিরিয়াস ক্রিটিক্যাল’ রোগী ছিল এক হাজার ৩৪৯ জন। অথচ দুই সপ্তাহ আগে ওই সংখ্যা অর্ধেকেরও কম ছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৩৯৯টি। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৩৩৭টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ লাখ ছয় হাজার ৪৪টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৬ লাখ ১৯ হাজার ২৯৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

মোট নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে দেশে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ছয় শতাংশ এবং মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।

একদিনে মৃত্যু হওয়া দু’জনই পুরুষ। তাদের নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৯৭৫ জন এবং দশ হাজার ১৩২ জন ছিলেন নারী।

একদিনে মারা যাওয়া দুজনের বয়সই ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সের মধ্যে ছিল। তারা চট্টগ্রাম এবং খুলনা বিভাগের বাসিন্দা।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর ওই বছরের জুন-জুলাইয়ে সংক্রমণ পিকে (চূড়ায়) উঠে। এরপর কমতে থাকে সংক্রমণ।

পরবর্তীতে গত বছরের মার্চের শুরুতে দেশে পূনরায় বাড়তে সংক্রমণ। শুরু হয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ওই সময় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে সংক্রমণ আবারও পিকে উঠে।

গতবছরের জুলাই-আগস্ট দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ শতাংশও ছাড়িয়ে যায়। এরপর নিয়মিত কমতে থাকে সংক্রমণ। গত ডিসেম্বরের প্রথমদিকে দৈনিক শনাক্তের হার এক শতাংশে নেমে এসেছিল।

কিন্তু ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত শনাক্তের হার এক থেকে দুই শতাংশের মধ্যেই ছিল। এর আগে গত নভেম্বরের শেষে দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয় করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রামক ধরন ‘ওমিক্রন’।

দেশে গত ১১ ডিসেম্বর প্রথম দুজনের ওমিক্রন শনাক্তের ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল পর্যন্ত দেশে ৩০ জনের দেহে ওমিক্রন শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, যাকে বলা হচ্ছে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ।