আফগানিস্তানে পাকিস্তানি তালেবান কমান্ডারকে হত্যা

নিহত খোরাসানির সত্যিকার নাম খালিদ বালটি। তার বয়স ৪৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তিনি শুধু অপারেশনাল কমান্ডারই ছিলেন না; তিনি ছিলেন তেহরিক-ই-তালেবানের মুখপাত্র।

আফগান তালেবানের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) সঙ্গে কয়েক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। তবে টিটিপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আফগানিস্তানে হত্যার শিকার হওয়ায় আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুহাম্মদ খুরাসানি নামের একজন তেহরিক-ই-তালেবান কমান্ডার আফগানিস্তানের নাগাহার প্রদেশে হত্যা করা হয়েছে। যিনি সংগঠনটির অপারেশনাল কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

তবে কারা ও কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।

তার মৃত্যুর খবর এমন সময় এলো যখন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) প্রধান মেজর জেনারেল বাবর ইফতেখার জানিয়েছিলেন, টিটিপির সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

গত সপ্তাহে মেজর জেনারেল ইফতেখার বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী যে কোনো সহিংস কর্মকা-ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে পাকিস্তান। যতক্ষণ পর্যন্ত না হুমকির অবসান হচ্ছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী লড়াই করে যাবে।

নিহত খোরাসানির সত্যিকার নাম খালিদ বালটি। তার বয়স ৪৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তিনি শুধু অপারেশনাল কমান্ডারই ছিলেন না; তিনি ছিলেন তেহরিক-ই-তালেবানের মুখপাত্র। তার সঙ্গে টিটিপির সাবেক প্রধান মোল্লা ফাজাল উল্লাহর ভালো সম্পর্ক ছিল। পাকিস্তান যখন উপজাতীয় এলাকাগুলোতে সামরিক অভিযান শুরু করে, তখন তিনি আফগানিস্তান পালিয়ে যান। এরপর থেকেই তাকে টিটিপির অঘোষিত মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।

তবে খোরাসানি হত্যার ঘটনায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে টিটিপির আলোচনা কঠিন হয়ে পড়বে। সর্বশেষ আফগান তালেবানের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয় টিটিপির।

টিটিপি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী সিনিয়র নেতাদের মুক্তি চান। দেশটিতে রাজনৈতিক কার্যালয় খুলতে চায় এবং শরিয়াহ কায়েমের জন্য কাজ করে যেতে চায়।

তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতে, এসব দাবি বাস্তবসম্মত নয়। পাকিস্তান চায় টিটিপি অস্ত্র ত্যাগ করুক। তাহলে আগের কর্মকা-ের জন্য তাদের ক্ষমা করা হবে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে তারা ফেরত যেতে পারবে।

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২ , ২৮ পৌষ ১৪২৮ ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

আফগানিস্তানে পাকিস্তানি তালেবান কমান্ডারকে হত্যা

নিহত খোরাসানির সত্যিকার নাম খালিদ বালটি। তার বয়স ৪৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তিনি শুধু অপারেশনাল কমান্ডারই ছিলেন না; তিনি ছিলেন তেহরিক-ই-তালেবানের মুখপাত্র।

আফগান তালেবানের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) সঙ্গে কয়েক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। তবে টিটিপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আফগানিস্তানে হত্যার শিকার হওয়ায় আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুহাম্মদ খুরাসানি নামের একজন তেহরিক-ই-তালেবান কমান্ডার আফগানিস্তানের নাগাহার প্রদেশে হত্যা করা হয়েছে। যিনি সংগঠনটির অপারেশনাল কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

তবে কারা ও কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।

তার মৃত্যুর খবর এমন সময় এলো যখন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) প্রধান মেজর জেনারেল বাবর ইফতেখার জানিয়েছিলেন, টিটিপির সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

গত সপ্তাহে মেজর জেনারেল ইফতেখার বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী যে কোনো সহিংস কর্মকা-ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে পাকিস্তান। যতক্ষণ পর্যন্ত না হুমকির অবসান হচ্ছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী লড়াই করে যাবে।

নিহত খোরাসানির সত্যিকার নাম খালিদ বালটি। তার বয়স ৪৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তিনি শুধু অপারেশনাল কমান্ডারই ছিলেন না; তিনি ছিলেন তেহরিক-ই-তালেবানের মুখপাত্র। তার সঙ্গে টিটিপির সাবেক প্রধান মোল্লা ফাজাল উল্লাহর ভালো সম্পর্ক ছিল। পাকিস্তান যখন উপজাতীয় এলাকাগুলোতে সামরিক অভিযান শুরু করে, তখন তিনি আফগানিস্তান পালিয়ে যান। এরপর থেকেই তাকে টিটিপির অঘোষিত মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।

তবে খোরাসানি হত্যার ঘটনায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে টিটিপির আলোচনা কঠিন হয়ে পড়বে। সর্বশেষ আফগান তালেবানের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয় টিটিপির।

টিটিপি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী সিনিয়র নেতাদের মুক্তি চান। দেশটিতে রাজনৈতিক কার্যালয় খুলতে চায় এবং শরিয়াহ কায়েমের জন্য কাজ করে যেতে চায়।

তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতে, এসব দাবি বাস্তবসম্মত নয়। পাকিস্তান চায় টিটিপি অস্ত্র ত্যাগ করুক। তাহলে আগের কর্মকা-ের জন্য তাদের ক্ষমা করা হবে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে তারা ফেরত যেতে পারবে।