শিরোপা খরা ভালোভাবেই কাটাল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। চলতি মৌসুমে স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপের টানা দুটি শিরোপাই ঘরে তুলেছে। এক মাসের কম সময়ের ব্যবধানে দুটি ট্রফি জয়ের আনন্দ ঘটা করে উদযাপন করেছে আবাহনী। ধানমন্ডিতে আবাহনী ক্লাবের বিপরীতে একটি হোটেলে গতকাল এই অনুষ্ঠান হয়। স্বাধীনতা কাপ ট্রফির জন্য ২৫ লাখ ও ফেডারেশন কাপের জন্য ৫০ লাখসহ ৭৫ লাখ টাকার বোনাস অর্থের চেক ফুটবলারদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
আবাহনীর ফুটবল দলের এই শিরোপা উদযাপনে হাজির হয়েছিলেন এক সময় আকাশী হলুদ জার্সিতে খেলা অনেক সাবেক তারকা ফুটবলার, ক্রিকেটার ও হকি খেলোয়াড়। আবাহনীর প্রবাসী সংগঠক জিএস হাসান তামিম দেশে এসেই যোগ দিয়েছেন এই অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক জালাল ইউনুস, আবাহনীর দীর্ঘদিনের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, ’৭৭ সালে ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক শেখ আশরাফ আলী, ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইকবাল হোসেন, আবদুল গাফফারসহ অনেকেই এসেছিলেন এই উদযাপনে।
শিরোপা উদযাপন অনুষ্ঠানে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ এই মিলনমেলাকে আবাহনী পরিবার হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘ফুটবল দলের এই সাফল্যে আমরা আবাহনী পরিবার এক হয়েছি। এজন্য বর্তমান কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই। যারা সাবেক তারাও এসেছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই।’ ক্লাবটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘এই মৌসুমের শুরুতে আমরা অত্যন্তÍবদ্ধ পরিকর ছিলাম, যেভাবেই হোক চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে। এখন পর্যন্ত আমরা সফল। লীগেও এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।’ আবাহনীর এবারের সাফল্যের অন্যতম কারিগর কোস্টারিকার দানিয়েল কলিনদ্রেস। এই কোস্টারিকানকে আবাহনীতে খেলার প্রথম প্রস্তাবটি নাকি দিয়েছিলেন রুপুর ছেলে তন্ময়। রুপুর কথায়, ‘সত্যিকার অর্থে আমার ছেলে তন্ময় সেই প্রথম তাকে আবাহনীতে খেলার প্রস্তাব দেয়। এরপর আমি কথা বলি। ডিরেক্টর ইনচার্জ আমাকে অর্থের অংক বলেছিলেন, সেই অংক অতিক্রম করলেও তিনি আমার ওপর আস্থা রেখেছিল। শেষ বিদেশি হিসেবে আমরা তাকে দলভুক্ত করি। এটা যে ভুল ছিল না, তা প্রমাণ করলো কলিনদ্রেস।’
বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২ , ২৮ পৌষ ১৪২৮ ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক
শিরোপা খরা ভালোভাবেই কাটাল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। চলতি মৌসুমে স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপের টানা দুটি শিরোপাই ঘরে তুলেছে। এক মাসের কম সময়ের ব্যবধানে দুটি ট্রফি জয়ের আনন্দ ঘটা করে উদযাপন করেছে আবাহনী। ধানমন্ডিতে আবাহনী ক্লাবের বিপরীতে একটি হোটেলে গতকাল এই অনুষ্ঠান হয়। স্বাধীনতা কাপ ট্রফির জন্য ২৫ লাখ ও ফেডারেশন কাপের জন্য ৫০ লাখসহ ৭৫ লাখ টাকার বোনাস অর্থের চেক ফুটবলারদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
আবাহনীর ফুটবল দলের এই শিরোপা উদযাপনে হাজির হয়েছিলেন এক সময় আকাশী হলুদ জার্সিতে খেলা অনেক সাবেক তারকা ফুটবলার, ক্রিকেটার ও হকি খেলোয়াড়। আবাহনীর প্রবাসী সংগঠক জিএস হাসান তামিম দেশে এসেই যোগ দিয়েছেন এই অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক জালাল ইউনুস, আবাহনীর দীর্ঘদিনের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, ’৭৭ সালে ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক শেখ আশরাফ আলী, ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইকবাল হোসেন, আবদুল গাফফারসহ অনেকেই এসেছিলেন এই উদযাপনে।
শিরোপা উদযাপন অনুষ্ঠানে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ এই মিলনমেলাকে আবাহনী পরিবার হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘ফুটবল দলের এই সাফল্যে আমরা আবাহনী পরিবার এক হয়েছি। এজন্য বর্তমান কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই। যারা সাবেক তারাও এসেছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই।’ ক্লাবটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘এই মৌসুমের শুরুতে আমরা অত্যন্তÍবদ্ধ পরিকর ছিলাম, যেভাবেই হোক চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে। এখন পর্যন্ত আমরা সফল। লীগেও এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।’ আবাহনীর এবারের সাফল্যের অন্যতম কারিগর কোস্টারিকার দানিয়েল কলিনদ্রেস। এই কোস্টারিকানকে আবাহনীতে খেলার প্রথম প্রস্তাবটি নাকি দিয়েছিলেন রুপুর ছেলে তন্ময়। রুপুর কথায়, ‘সত্যিকার অর্থে আমার ছেলে তন্ময় সেই প্রথম তাকে আবাহনীতে খেলার প্রস্তাব দেয়। এরপর আমি কথা বলি। ডিরেক্টর ইনচার্জ আমাকে অর্থের অংক বলেছিলেন, সেই অংক অতিক্রম করলেও তিনি আমার ওপর আস্থা রেখেছিল। শেষ বিদেশি হিসেবে আমরা তাকে দলভুক্ত করি। এটা যে ভুল ছিল না, তা প্রমাণ করলো কলিনদ্রেস।’