বিসিএল : ফেরার ম্যাচে নিষ্প্রভ তামিম

বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) ওয়ানডে সংস্করণের টুর্নামেন্ট ইন্ডিপেন্ডন্স কাপে গতকাল দক্ষিণাঞ্চলের জয় ৭ উইকেটে। পূর্বাঞ্চলের ১৯২ রান তারা ছাড়িয়ে যায় ২৫ বল বাকি থাকতে।

আঙুলের চোটে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে ছিলেন তামিম। বিসিএলের নতুন এই টুর্নামেন্ট দিয়ে ফিরে তিনি করলেন কেবল ৯ রান। মেহেদি হাসানের বলে হন স্টাম্পড।

প্রতিপক্ষকে দু’শর আগে থামিয়ে দেয়ার কারিগরদের একজন মোস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসার ৪৪ রানে নেন ৩ উইকেট। নাহিদুলের শিকার দুই উইকেট। পরে ব্যাট হাতে ২৭ রান করে তিনিই ম্যাচের সেরা।

সিলেট স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে টস হেরে ব্যাটিং পায় পূর্বাঞ্চল। চতুর্থ ওভারেই তারা হারায় রনি তালুকদারকে। তামিম বিদায় নেন উইকেটে কিছুটা সময় কাটিয়ে।

২১ রানে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন ইমরুল ও আশরাফুল। দুইজনে গড়েন ৬১ রানের জুটি, যেখানে অগ্রণী ইমরুল। ১৫ রান করতে ৫৭ বল খেলা আশরাফুল ফেরেন নাসুমের বলে ক্যাচ দিয়ে।

৮০ বলে ফিফটি করা ইমরুল বড় করতে পারেননি ইনিংস। এক ছক্কা ও ৫ চারে ৬৯ রান করে ফেরেন নাহিদুলের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে এনে।

আফিফ ও ইরফান ব্যাটে দেড়শ’ পার করে পূর্বাঞ্চল। জমে ওঠা ৪৮ রানের এই জুটি ভাঙে মোস্তাফিজের বলে আফিফের বাজে শটে। ফুলটস বল স্কুপ খেলতে গিয়ে আফিফ বোল্ড হন ২৯ রান করে।

শেষ ওভারে এসে পরপর দুই বলে ইরফান (২ চারে ৩৩) ও রেজাউর রহমানকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজ।

রান তাড়ায় টানা দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারায় দক্ষিণাঞ্চল। নাঈমের বলে সিøপে পিনাক ঘোষের দারুণ ক্যাচ ধরেন ইমরুল। তানভির ইসলামকে বেরিয়ে এসে মারার চেষ্টায় ক্যাচ তুলে দেন এনামুল হক।

শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে পথে ফেরান মাইশুকুর ও তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু জুটির রান পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগে তৌহিদকে ফিরিয়ে দেন নাঈম। পরে এই অফ স্পিনারের শিকার মাইশুকুরও।

জাকির ও নাইদুলের ব্যাটে আরেকটি ছোট তবে কার্যকর জুটি পায় দক্ষিণাঞ্চল। তাদের ৪১ রানের জুটি ভাঙে এক ছক্কা ২ চারে ২৯ বলে ২৭ করা নাহিদুল ফিরলে। আফিফকে উড়িয়ে লং-অনে ধরা পড়েন তিনি। জাকিরও ২৭ করে ফেরেন আফিফের স্পিনে। তবে লক্ষ্য ছোট হওয়ায় দুর্ভাবনায় পড়তে হয়নি দক্ষিণাঞ্চলকে। ম্যাচ যখন টাই, আফিফকে ছক্কা মারার চেষ্টায় আউট হন ফরহাদ রেজা। মেহেদি জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ৩ ছক্কা ও এক চারে ৩৭ রান করে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: পূর্বাঞ্চল ১৯২/৮ (তামিম ৯, রনি ৩, ইমরুল ৬৯, আশরাফুল ১৫, আফিফ ২৯, ইরফান ৩৩, সোহরাওয়ার্দী ২২*; মোস্তাফিজ ৩/৪৪, নাহিদুল ২/১৭)। দক্ষিণাঞ্চল ৪৫.৫ ওভারে ১৯৩/৭ (পিনাক ৯, এনামুল ১৫, মাইশুকুর ২৭, হৃদয় ২৩, জাকির ২৭, নাহিদুল ২৭, মেহেদি ৩৭*, ফরহাদ ১৬, নাঈম ৩/৩৫, আফিফ ৩/২৬)।

ম্যাচ সেরা : নাহিদুল ইসলাম।

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২ , ২৮ পৌষ ১৪২৮ ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

বিসিএল : ফেরার ম্যাচে নিষ্প্রভ তামিম

image

বিসিএল ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরলেন তামিম

বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) ওয়ানডে সংস্করণের টুর্নামেন্ট ইন্ডিপেন্ডন্স কাপে গতকাল দক্ষিণাঞ্চলের জয় ৭ উইকেটে। পূর্বাঞ্চলের ১৯২ রান তারা ছাড়িয়ে যায় ২৫ বল বাকি থাকতে।

আঙুলের চোটে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে ছিলেন তামিম। বিসিএলের নতুন এই টুর্নামেন্ট দিয়ে ফিরে তিনি করলেন কেবল ৯ রান। মেহেদি হাসানের বলে হন স্টাম্পড।

প্রতিপক্ষকে দু’শর আগে থামিয়ে দেয়ার কারিগরদের একজন মোস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসার ৪৪ রানে নেন ৩ উইকেট। নাহিদুলের শিকার দুই উইকেট। পরে ব্যাট হাতে ২৭ রান করে তিনিই ম্যাচের সেরা।

সিলেট স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে টস হেরে ব্যাটিং পায় পূর্বাঞ্চল। চতুর্থ ওভারেই তারা হারায় রনি তালুকদারকে। তামিম বিদায় নেন উইকেটে কিছুটা সময় কাটিয়ে।

২১ রানে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন ইমরুল ও আশরাফুল। দুইজনে গড়েন ৬১ রানের জুটি, যেখানে অগ্রণী ইমরুল। ১৫ রান করতে ৫৭ বল খেলা আশরাফুল ফেরেন নাসুমের বলে ক্যাচ দিয়ে।

৮০ বলে ফিফটি করা ইমরুল বড় করতে পারেননি ইনিংস। এক ছক্কা ও ৫ চারে ৬৯ রান করে ফেরেন নাহিদুলের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে এনে।

আফিফ ও ইরফান ব্যাটে দেড়শ’ পার করে পূর্বাঞ্চল। জমে ওঠা ৪৮ রানের এই জুটি ভাঙে মোস্তাফিজের বলে আফিফের বাজে শটে। ফুলটস বল স্কুপ খেলতে গিয়ে আফিফ বোল্ড হন ২৯ রান করে।

শেষ ওভারে এসে পরপর দুই বলে ইরফান (২ চারে ৩৩) ও রেজাউর রহমানকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজ।

রান তাড়ায় টানা দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারায় দক্ষিণাঞ্চল। নাঈমের বলে সিøপে পিনাক ঘোষের দারুণ ক্যাচ ধরেন ইমরুল। তানভির ইসলামকে বেরিয়ে এসে মারার চেষ্টায় ক্যাচ তুলে দেন এনামুল হক।

শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে পথে ফেরান মাইশুকুর ও তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু জুটির রান পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগে তৌহিদকে ফিরিয়ে দেন নাঈম। পরে এই অফ স্পিনারের শিকার মাইশুকুরও।

জাকির ও নাইদুলের ব্যাটে আরেকটি ছোট তবে কার্যকর জুটি পায় দক্ষিণাঞ্চল। তাদের ৪১ রানের জুটি ভাঙে এক ছক্কা ২ চারে ২৯ বলে ২৭ করা নাহিদুল ফিরলে। আফিফকে উড়িয়ে লং-অনে ধরা পড়েন তিনি। জাকিরও ২৭ করে ফেরেন আফিফের স্পিনে। তবে লক্ষ্য ছোট হওয়ায় দুর্ভাবনায় পড়তে হয়নি দক্ষিণাঞ্চলকে। ম্যাচ যখন টাই, আফিফকে ছক্কা মারার চেষ্টায় আউট হন ফরহাদ রেজা। মেহেদি জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ৩ ছক্কা ও এক চারে ৩৭ রান করে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: পূর্বাঞ্চল ১৯২/৮ (তামিম ৯, রনি ৩, ইমরুল ৬৯, আশরাফুল ১৫, আফিফ ২৯, ইরফান ৩৩, সোহরাওয়ার্দী ২২*; মোস্তাফিজ ৩/৪৪, নাহিদুল ২/১৭)। দক্ষিণাঞ্চল ৪৫.৫ ওভারে ১৯৩/৭ (পিনাক ৯, এনামুল ১৫, মাইশুকুর ২৭, হৃদয় ২৩, জাকির ২৭, নাহিদুল ২৭, মেহেদি ৩৭*, ফরহাদ ১৬, নাঈম ৩/৩৫, আফিফ ৩/২৬)।

ম্যাচ সেরা : নাহিদুল ইসলাম।