বন বাঁচলে, বাঁচবে প্রাণ

পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য। দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৭-৮ শতাংশ। সেটুকুও আবার প্রতিনিয়ত নির্বিচারে উজার হচ্ছে। সংরক্ষিত বনভূমিগুলোও রেহাই পাচ্ছে না। এতে করে হ্রাস পাচ্ছে বনের ঘনত্ব। বন্যপ্রাণীগুলো তাদের বাসস্থান হারিয়ে আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হচ্ছে। এছাড়াও বহু প্রজাতির উদ্ভিদ বিরল প্রজাতিতে পরিণত হচ্ছে।

মাটির জৈব বিন্যাসের ক্ষতি ও অনুর্বরতা সৃষ্টি হচ্ছে। বনভূমি হ্রাসের প্রভাব পড়ছে মানুষ, জীবজন্তু তথা পৃথিবীর পরিবেশ ও আবহাওয়ার ওপর। পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বাড়ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতাও। বনভূমিগুলো অবৈধভাবে দখলের মাধ্যমে ঘরবাড়ি নির্মাণ, কৃষিকাজ থেকে শুরু করে তৈরি করা হচ্ছে বড় বড় শিল্পকারখানাসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। বনজ সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য উভয়ই বিনষ্ট হচ্ছে।

তাই আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য বনভূমি ধ্বংসরোধে সচেষ্ট হতে হবে। এজন্য প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। এতে করে মাটির ক্ষয়রোধের মাধ্যমে উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে। বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য তৈরি হবে। তবেই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। সঠিক এবং সুপরিকল্পিত বনায়ন গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমেই পরিবেশকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে । মনে রাখতে হবে, বন আছে বলেই পৃথিবী মানুষের জন্য বসবাসযোগ্য।

তীর্থ চন্দ্র দাস

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২ , ২৮ পৌষ ১৪২৮ ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

বন বাঁচলে, বাঁচবে প্রাণ

image

পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য। দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৭-৮ শতাংশ। সেটুকুও আবার প্রতিনিয়ত নির্বিচারে উজার হচ্ছে। সংরক্ষিত বনভূমিগুলোও রেহাই পাচ্ছে না। এতে করে হ্রাস পাচ্ছে বনের ঘনত্ব। বন্যপ্রাণীগুলো তাদের বাসস্থান হারিয়ে আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হচ্ছে। এছাড়াও বহু প্রজাতির উদ্ভিদ বিরল প্রজাতিতে পরিণত হচ্ছে।

মাটির জৈব বিন্যাসের ক্ষতি ও অনুর্বরতা সৃষ্টি হচ্ছে। বনভূমি হ্রাসের প্রভাব পড়ছে মানুষ, জীবজন্তু তথা পৃথিবীর পরিবেশ ও আবহাওয়ার ওপর। পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বাড়ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতাও। বনভূমিগুলো অবৈধভাবে দখলের মাধ্যমে ঘরবাড়ি নির্মাণ, কৃষিকাজ থেকে শুরু করে তৈরি করা হচ্ছে বড় বড় শিল্পকারখানাসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। বনজ সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য উভয়ই বিনষ্ট হচ্ছে।

তাই আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য বনভূমি ধ্বংসরোধে সচেষ্ট হতে হবে। এজন্য প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। এতে করে মাটির ক্ষয়রোধের মাধ্যমে উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে। বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য তৈরি হবে। তবেই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। সঠিক এবং সুপরিকল্পিত বনায়ন গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমেই পরিবেশকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে । মনে রাখতে হবে, বন আছে বলেই পৃথিবী মানুষের জন্য বসবাসযোগ্য।

তীর্থ চন্দ্র দাস