পর্যটন কেন্দ্রে ছবির ফাঁদ

দেশের প্রতিটি জেলাতেই রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় ও পর্যটন স্থান। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রতি বছর ভিড় জমিয়ে থাকেন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যুগে যুগে ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করেছে। এসবের মধ্যে প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন, ঐতিহাসিক মসজিদ এবং মিনার, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, অরণ্য, বিস্তীর্ণ হাওর, চা বাগান, এমনকি মেঘের রাজ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মতো চোখ জুড়ানো স্থান রয়েছে।

এসব জায়গায় বেড়াতে গেলে আনন্দঘন স্মৃতি ফ্রেমে বন্দী করতে অনেকেই মেতে ওঠেন ফটোসেশনে। পর্যটকদের এ চাহিদাকে পুঁজি করে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দিন দিন বাড়ছে ফটোগ্রাফারের সংখ্যা। পর্যটকদের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে হর-হামেশাই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা।

জানা যায়, ছিন্নমূল ও অনভিজ্ঞ কিছু কিশোর স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ফটোগ্রাফি করছে। এর মধ্যে অনেকেরই ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা তো নেই-ই বরং আদব-কায়দারও কোন বালাই নেই। একজন পর্যটকের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়, কীভাবে আচরণ করতে হয় সেটাও তারা জানে না। আবার এদের মধ্যে অনেকেই ফটোগ্রাফির আড়ালে পর্যটকদের মালামাল চুরির সাথেও জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অন্যদিকে না বলা সত্ত্বেও একাধিক ছবি তুলে পর্যটকদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করা তাদের নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফটোগ্রাফারদের প্রতারণা এড়াতে পেশাদার ফটোগ্রাফারদের ডাটাবেজের আওতায় আনতে হবে। আর কোনো পর্যটক হয়রানির শিকার হলে কর্তৃপক্ষের কাছে তৎক্ষণাৎ অভিযোগ করতে হবে। কেননা অভিযোগ না করে এড়িয়ে গেলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। বরং আরও বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর নজরদারি ও যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।

আল-মামুন

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২ , ২৮ পৌষ ১৪২৮ ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

পর্যটন কেন্দ্রে ছবির ফাঁদ

দেশের প্রতিটি জেলাতেই রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় ও পর্যটন স্থান। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রতি বছর ভিড় জমিয়ে থাকেন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যুগে যুগে ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করেছে। এসবের মধ্যে প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন, ঐতিহাসিক মসজিদ এবং মিনার, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, অরণ্য, বিস্তীর্ণ হাওর, চা বাগান, এমনকি মেঘের রাজ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মতো চোখ জুড়ানো স্থান রয়েছে।

এসব জায়গায় বেড়াতে গেলে আনন্দঘন স্মৃতি ফ্রেমে বন্দী করতে অনেকেই মেতে ওঠেন ফটোসেশনে। পর্যটকদের এ চাহিদাকে পুঁজি করে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দিন দিন বাড়ছে ফটোগ্রাফারের সংখ্যা। পর্যটকদের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে হর-হামেশাই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা।

জানা যায়, ছিন্নমূল ও অনভিজ্ঞ কিছু কিশোর স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ফটোগ্রাফি করছে। এর মধ্যে অনেকেরই ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা তো নেই-ই বরং আদব-কায়দারও কোন বালাই নেই। একজন পর্যটকের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়, কীভাবে আচরণ করতে হয় সেটাও তারা জানে না। আবার এদের মধ্যে অনেকেই ফটোগ্রাফির আড়ালে পর্যটকদের মালামাল চুরির সাথেও জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অন্যদিকে না বলা সত্ত্বেও একাধিক ছবি তুলে পর্যটকদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করা তাদের নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফটোগ্রাফারদের প্রতারণা এড়াতে পেশাদার ফটোগ্রাফারদের ডাটাবেজের আওতায় আনতে হবে। আর কোনো পর্যটক হয়রানির শিকার হলে কর্তৃপক্ষের কাছে তৎক্ষণাৎ অভিযোগ করতে হবে। কেননা অভিযোগ না করে এড়িয়ে গেলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। বরং আরও বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর নজরদারি ও যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।

আল-মামুন