সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চাই

আমাদের দেশের স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)। শুরু থেকেই এবারের নির্বাচনে সহিংসতা, পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, জোরপূর্বক কেন্দ্র দখলসহ নাানন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে; এমনকি ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের নির্বাচনেও সহিংসতা, মারামারি, কেন্দ্র দখল, সাংবাদিক ও পুলিশের গাড়ি ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকটি স্থানে নারীসহ ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে আমরা গণমাধ্যমে সূত্রে জানতে পেরেছি।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলোতে এমন সহিংস ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে অনেকটা বিতর্কিত করে তুলেছে। নির্বাচনে সহিংসতা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার প্রার্থীদের দায়ী করেছেন। কিন্তু মূল সমস্যাটি কী তা নির্বাচন কমিশন এখনো অনুধাবন করতে পারেনি। আর তা হলো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন আয়োজন করা। অতীতে দেখা গেছে যে ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় নির্বাচনগুলো নির্দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হতো। ফলে এত অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতো না। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার বহিঃপ্রকাশ এসব ঘটনা। নির্বাচনে এত প্রাণহানি ঘটলো, পঞ্চম ধাপে ১২ জন নিহত হলো, যা সচেতন মানুষকে অনেকটা ভাবিয়ে তুলছে, বিবেকসম্পন্ন মানুষের হৃদয়কে করছে রক্তক্ষরণ। এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা কখনই কাম্য হতে পারে না।

তাই পূর্বের মতো নির্দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। এ ব্যাপারে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ইয়ামিন খান

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২ , ২৮ পৌষ ১৪২৮ ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চাই

আমাদের দেশের স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)। শুরু থেকেই এবারের নির্বাচনে সহিংসতা, পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, জোরপূর্বক কেন্দ্র দখলসহ নাানন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে; এমনকি ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের নির্বাচনেও সহিংসতা, মারামারি, কেন্দ্র দখল, সাংবাদিক ও পুলিশের গাড়ি ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকটি স্থানে নারীসহ ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে আমরা গণমাধ্যমে সূত্রে জানতে পেরেছি।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলোতে এমন সহিংস ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে অনেকটা বিতর্কিত করে তুলেছে। নির্বাচনে সহিংসতা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার প্রার্থীদের দায়ী করেছেন। কিন্তু মূল সমস্যাটি কী তা নির্বাচন কমিশন এখনো অনুধাবন করতে পারেনি। আর তা হলো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন আয়োজন করা। অতীতে দেখা গেছে যে ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় নির্বাচনগুলো নির্দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হতো। ফলে এত অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতো না। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার বহিঃপ্রকাশ এসব ঘটনা। নির্বাচনে এত প্রাণহানি ঘটলো, পঞ্চম ধাপে ১২ জন নিহত হলো, যা সচেতন মানুষকে অনেকটা ভাবিয়ে তুলছে, বিবেকসম্পন্ন মানুষের হৃদয়কে করছে রক্তক্ষরণ। এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা কখনই কাম্য হতে পারে না।

তাই পূর্বের মতো নির্দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। এ ব্যাপারে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ইয়ামিন খান