বাঁচার জন্যই অসুস্থ হয়ে মানুষ চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু সেই চিকিৎসক যদি মৃত্যু ও যন্ত্রণার কারণ হন তাহলে এ বেদনা রাখার জায়গা থাকে না। এমনি একটি নির্মম ঘটনার জন্ম দিয়েছেন মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার রাজা ক্লিনিকের চিকিৎসক মিজানুর রহমান। অস্ত্রোপচারের পর বাচেনা (৫০) নামে এক রোগিনীর পেটে সার্জিকেল কাঁচি রেখেই সেলাই করে দেন।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা হাঁপানিয়া গ্রামের ওই মহিলা ২০ বছর ধরে অমানসিক কষ্ট-যন্ত্রণা ভোগ করে আসছেন। যন্ত্রণাকাতর ওই রোগী বলেছেন, ‘চিকিৎসকদের ভুলের খেসারত দিতে হয় আমাকে ২০টি বছর। রাজা ক্লিনিকেও এক্স-রে করে কাঁচির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা করবে বলে দায়িত্ব নিয়েছে। তবে আমি যে ২০টি বছর পেটে কাঁচি রেখে কষ্ট করলাম তার দায়ভার কে নেবে?’
শুধু রাজা ক্লিনিকেই নয়, দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে অবলীলায় ঘটে চলেছে এ রকম ন্যক্কারজনক-অমানবিক ঘটনা। প্রায়ই চিকিৎসকরা রোগীর পেটে কাঁচি, ব্যান্ডেজ, গজ, সুঁই অন্যান্য যন্ত্রপাতি রেখে সেলাই করে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন। চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার কারণে অনেক রোগী মারাও গেছে। যারা বেঁচে গেছে তাদের বাচেনার মতো কষ্ট ও যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিকÑ চিকিৎসকরা এমন অমার্জনীয় ভুল করবেন কেন? তাদের ভুলের কারণে রোগীরা যন্ত্রণা ভোগ করবে কার অপরাধে? নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল ও দায়িত্বরত চিকিৎসক এ ভুলের জন্য দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে; কিন্তু শাস্তি হয় খুব কমই।
আজম জহিরুল ইসলাম
বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২ , ২৮ পৌষ ১৪২৮ ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
বাঁচার জন্যই অসুস্থ হয়ে মানুষ চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু সেই চিকিৎসক যদি মৃত্যু ও যন্ত্রণার কারণ হন তাহলে এ বেদনা রাখার জায়গা থাকে না। এমনি একটি নির্মম ঘটনার জন্ম দিয়েছেন মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার রাজা ক্লিনিকের চিকিৎসক মিজানুর রহমান। অস্ত্রোপচারের পর বাচেনা (৫০) নামে এক রোগিনীর পেটে সার্জিকেল কাঁচি রেখেই সেলাই করে দেন।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা হাঁপানিয়া গ্রামের ওই মহিলা ২০ বছর ধরে অমানসিক কষ্ট-যন্ত্রণা ভোগ করে আসছেন। যন্ত্রণাকাতর ওই রোগী বলেছেন, ‘চিকিৎসকদের ভুলের খেসারত দিতে হয় আমাকে ২০টি বছর। রাজা ক্লিনিকেও এক্স-রে করে কাঁচির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা করবে বলে দায়িত্ব নিয়েছে। তবে আমি যে ২০টি বছর পেটে কাঁচি রেখে কষ্ট করলাম তার দায়ভার কে নেবে?’
শুধু রাজা ক্লিনিকেই নয়, দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে অবলীলায় ঘটে চলেছে এ রকম ন্যক্কারজনক-অমানবিক ঘটনা। প্রায়ই চিকিৎসকরা রোগীর পেটে কাঁচি, ব্যান্ডেজ, গজ, সুঁই অন্যান্য যন্ত্রপাতি রেখে সেলাই করে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন। চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার কারণে অনেক রোগী মারাও গেছে। যারা বেঁচে গেছে তাদের বাচেনার মতো কষ্ট ও যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিকÑ চিকিৎসকরা এমন অমার্জনীয় ভুল করবেন কেন? তাদের ভুলের কারণে রোগীরা যন্ত্রণা ভোগ করবে কার অপরাধে? নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল ও দায়িত্বরত চিকিৎসক এ ভুলের জন্য দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে; কিন্তু শাস্তি হয় খুব কমই।
আজম জহিরুল ইসলাম