বিমানবন্দরে হয়রানি কাম্য নয়

সম্প্রতি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা, যাত্রী হয়রানি এবং স্বজনদের ভোগান্তি বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিভাগ। প্রায় প্রতিদিনই বেশিরভাগ ফ্লাইট বিলম্বে ছাড়ছে। ফিরতি ফ্লাইটের যাত্রীরা লাগেজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বেল্টের সামনে অপেক্ষায় থাকছেন। এরপরও পাচ্ছেন না লাগেজ। এক বেল্টের লাগেজ চলে যাচ্ছে অন্য বেল্টে। এক এয়ারলাইন্সের লাগেজ চলে যাচ্ছে অন্য এয়ারলাইন্সের বেল্টে। পর্যাপ্ত ট্রলি থাকলেও প্রয়োজনের সময় পাওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীদের বোডিং কার্ড ইস্যু নিয়ে চলছে অব্যবস্থাপনা। সব মিলে প্রতিদিনই যাত্রীসেবার মানের অবনতি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, পুরো অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিভাগ। এ বিভাগের কর্মীদের অভিযোগ পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

আমরা চাই একটি দেশের প্রধান ও আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে কোন যাত্রীর ভোগান্তি যেন না হয়। তাই শাহাজালাল বিমানবন্দরের সব শাখা আধুনিক করা হোক। প্রযুক্তির ছোঁয়া আনা হোক। তবেই ডিজিটাল বাংলাদেশ সত্যিকারের ডিজিটাল সুবিধা পাবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ দেওয়া হোক। তাছাড় এখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে। যেন দেশে আসা কিংবা দেশ ছেড়ে যাওয়া কোনো যাত্রীকে তার অতি মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট করতে না হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার নজর দেওয়া জরুরি।

জেসমিন আক্তার

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২ , ২৮ পৌষ ১৪২৮ ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

বিমানবন্দরে হয়রানি কাম্য নয়

image

সম্প্রতি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা, যাত্রী হয়রানি এবং স্বজনদের ভোগান্তি বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিভাগ। প্রায় প্রতিদিনই বেশিরভাগ ফ্লাইট বিলম্বে ছাড়ছে। ফিরতি ফ্লাইটের যাত্রীরা লাগেজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বেল্টের সামনে অপেক্ষায় থাকছেন। এরপরও পাচ্ছেন না লাগেজ। এক বেল্টের লাগেজ চলে যাচ্ছে অন্য বেল্টে। এক এয়ারলাইন্সের লাগেজ চলে যাচ্ছে অন্য এয়ারলাইন্সের বেল্টে। পর্যাপ্ত ট্রলি থাকলেও প্রয়োজনের সময় পাওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীদের বোডিং কার্ড ইস্যু নিয়ে চলছে অব্যবস্থাপনা। সব মিলে প্রতিদিনই যাত্রীসেবার মানের অবনতি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, পুরো অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিভাগ। এ বিভাগের কর্মীদের অভিযোগ পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

আমরা চাই একটি দেশের প্রধান ও আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে কোন যাত্রীর ভোগান্তি যেন না হয়। তাই শাহাজালাল বিমানবন্দরের সব শাখা আধুনিক করা হোক। প্রযুক্তির ছোঁয়া আনা হোক। তবেই ডিজিটাল বাংলাদেশ সত্যিকারের ডিজিটাল সুবিধা পাবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ দেওয়া হোক। তাছাড় এখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে। যেন দেশে আসা কিংবা দেশ ছেড়ে যাওয়া কোনো যাত্রীকে তার অতি মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট করতে না হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার নজর দেওয়া জরুরি।

জেসমিন আক্তার