রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ইউএন উইমেন নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ২০২২ সালের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে ইউএন উইমেন নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সংস্থাটির ৫ সদস্য বিশিষ্ট ব্যুরোর এই নির্বাচন গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত আর্জেন্টিনা, ইউক্রেন, আইসল্যান্ড এবং সিয়েরালিওনের স্থায়ী প্রতিনিধিরা।

গতকাল জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ইউএন উইমেন নির্বাহী বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করল। নির্বাহী বোর্ড ইউএন উইমেনকে কৌশলগত দিক-নির্দেশনা প্রদান করে থাকে। জাতিসংঘের এই সংস্থাটি লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নিবেদিত। বোর্ডের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ ইউএন উইমেনের কাজকে আরও বেগবান করতে অবদান রাখার সুযোগ পাবে।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা তাকে নির্বাচিত করার জন্য বোর্ড সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। সারা বিশ্বে বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারীর এই সময়ে নারী ও মেয়েরা যেসব চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা মোকাবিলায় ইউএন উইমেনের বোর্ড সদস্যরা বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন, সে জন্যও তাদের ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

ফাতিমা বলেন, ‘এক মুহূর্ত বিলম্ব করার মতো সময় আমাদের হাতে নেই। আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, কোভিড-১৯ এর ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনায়ই লিঙ্গ-সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং সব অংশীজন অর্থাৎ সরকারি, বেসরকারি খাত ও এনজিওগুলো তা বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করছে। এ ছাড়া ইউএন উইমেনকে আমাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান ও সম্পদ সরবরাহ করতে হবে, যাতে প্রতিষ্ঠানটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সব প্রচেষ্টায় অগ্রভাগে থাকতে পারে।’

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা আশ্বস্ত করেন, নতুন নির্বাহী বোর্ড চ্যালেঞ্জিং এই সময়ে ইউএন উইমেনের কাজকে আরও এগিয়ে নিতে কঠোর পরিশ্রম করতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ। লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা এবং নারীর জন্য নিবেদিত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ও চ্যাম্পিয়ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার জন্য ইউএন উইমেনের প্রশংসা করেন। এর কাজের স্বীকৃতি প্রদান করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বিশ্বব্যাপী কর্মরত ইউএন উইমেনের কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। যারা মহামারীর এই চ্যালেঞ্জের মধ্যেও নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও সাহসের সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক রাষ্ট্রদূত সিমা বাহাউস নব-নির্বাচিত সভাপতিকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘ইউএন উইমেন নতুন সভাপতির অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞা থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। বাহাউস আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ব্যুরোর দিকনির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে ইউএন উইমেনের কাজে নেতৃত্ব প্রদান করবেন।’

এর আগে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ২০২০ সালে ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি এবং ২০২১ সালে ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএস-এর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২ , ২৯ পৌষ ১৪২৮ ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ইউএন উইমেন নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ২০২২ সালের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে ইউএন উইমেন নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সংস্থাটির ৫ সদস্য বিশিষ্ট ব্যুরোর এই নির্বাচন গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত আর্জেন্টিনা, ইউক্রেন, আইসল্যান্ড এবং সিয়েরালিওনের স্থায়ী প্রতিনিধিরা।

গতকাল জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ইউএন উইমেন নির্বাহী বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করল। নির্বাহী বোর্ড ইউএন উইমেনকে কৌশলগত দিক-নির্দেশনা প্রদান করে থাকে। জাতিসংঘের এই সংস্থাটি লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নিবেদিত। বোর্ডের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ ইউএন উইমেনের কাজকে আরও বেগবান করতে অবদান রাখার সুযোগ পাবে।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা তাকে নির্বাচিত করার জন্য বোর্ড সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। সারা বিশ্বে বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারীর এই সময়ে নারী ও মেয়েরা যেসব চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা মোকাবিলায় ইউএন উইমেনের বোর্ড সদস্যরা বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন, সে জন্যও তাদের ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

ফাতিমা বলেন, ‘এক মুহূর্ত বিলম্ব করার মতো সময় আমাদের হাতে নেই। আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, কোভিড-১৯ এর ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনায়ই লিঙ্গ-সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং সব অংশীজন অর্থাৎ সরকারি, বেসরকারি খাত ও এনজিওগুলো তা বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করছে। এ ছাড়া ইউএন উইমেনকে আমাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান ও সম্পদ সরবরাহ করতে হবে, যাতে প্রতিষ্ঠানটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সব প্রচেষ্টায় অগ্রভাগে থাকতে পারে।’

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা আশ্বস্ত করেন, নতুন নির্বাহী বোর্ড চ্যালেঞ্জিং এই সময়ে ইউএন উইমেনের কাজকে আরও এগিয়ে নিতে কঠোর পরিশ্রম করতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ। লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা এবং নারীর জন্য নিবেদিত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ও চ্যাম্পিয়ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার জন্য ইউএন উইমেনের প্রশংসা করেন। এর কাজের স্বীকৃতি প্রদান করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বিশ্বব্যাপী কর্মরত ইউএন উইমেনের কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। যারা মহামারীর এই চ্যালেঞ্জের মধ্যেও নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও সাহসের সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক রাষ্ট্রদূত সিমা বাহাউস নব-নির্বাচিত সভাপতিকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘ইউএন উইমেন নতুন সভাপতির অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞা থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। বাহাউস আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ব্যুরোর দিকনির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে ইউএন উইমেনের কাজে নেতৃত্ব প্রদান করবেন।’

এর আগে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ২০২০ সালে ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি এবং ২০২১ সালে ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএস-এর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।