জকোভিচের ভিসা বাতিলের কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়া

বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না নোভাক জকোভিচের। এবার সার্বিয়ান টেনিস তারকা নিজেই পুরনো বিতর্ক উসকে দিলেন। স্বীকার করে নিলেন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। মাস্ক ছাড়া ছবি তোলার কথঠর মেনে নিয়েছেন বিশ্বের এক নম্বও টেনিস তারকা। শুধু তাই নয়, জকোভিচ মেনে নিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় ভিসার আবেদনের সময়ও তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন। যদিও, সবটাই অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে দাবি টেনিস তারকার। সেজন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।

দিন চারেক আগেই বিশ্ব টেনিসের শীর্ষে থাকা খেলোয়াড়ের আইনজীবী অস্ট্রেলিয়ার আদালতে জানিয়েছেন, নোভাক গত ১৬ ডিসেম্বর করোনায় আক্রান্ত হন। তাই কোভিড টিকা নিতে পারেননি। সেই সঙ্গে আদালতে আরও জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যেই সেই ঘটনার ১৪ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কোন উপসর্গ তার শরীওে নেই। অস্ট্রেলিয়ায় আসার জন্য যাবতীয় শর্ত তিনি পূরণ করেছেন। এমনকি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ দুটি স্বাধীন মেডিকেল প্যানেলের মাধ্যমে জকোভিচকে দেশে ঢোকার অনুমতিও দিয়েছে। আইনজীবীর সেই যুক্তিতে নোভাক অস্ট্রেলিয়া ওপেনে খেলার সুযোগ পেয়ে গেলেও নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

যেদিন তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সেদিনই তাকে দেখা গিয়েছে সার্বিয়ার একটি অনুষ্ঠানে। সেই দিন তার নামে একটি স্ট্যাম্প উন্মোচন হয়। অথচ সেদিন বিনা মাস্কেই সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন। এমনকি অনেকের সঙ্গে তাকে কথাও বলতে দেখা যায়। পরের দিন আবার একটি অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন। সেইদিন আবার বেশ কিছু খুদে খেলোয়াড় উপস্থিত ছিল। সেই একইভাবে মাস্ক বিহীন জকোভিচকে দেখা যায় অনুষ্ঠানে ঘুওে বেড়াতে। করোনা হয়েছেন জেনেও কেন তিনি এভাবে ঘুওে বেড়ালেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে টেনিস বিশ্বে। জকোভিচের দাবি, এসবের কোন কিছুই তিনি করেননি। সবটাই ভিত্তিহীন অভিযোগ। তবে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেরদিন ফ্রান্সের এক সংবাদমাধ্যমকে যে তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সেটা স্বীকার করেছেন বিশ্বের এক নম্বও টেনিস তারকা। জকোভিচের বক্তব্য, ‘আমি পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলাম। কারণ ওই সাংবাদিককে হতাশ করতে চাইনি। তবে গোটা সাক্ষাৎকারটি আমি দিয়েছিলাম দূরত্ব বিধি মেনে এবং মাস্ক পরে। শুধুমাত্র ছবি তোলার আগে মাস্ক খুলেছিলাম।’ নিজের এই আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন জোকার। কিন্তু ক্ষমা চাইলেও এই স্বীকারোক্তি তাকে নতুন করে বিপাকে ফেলতে পারে। শোনা যাচ্ছে, আরও একবার জকোভিচের ভিসা বাতিল করার কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। ঠিক অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরুর কয়েকদিন আগে নয়া সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। এবার অস্ট্রেলিয়া সরকার জকোভিচের ভিসা বাতিল করতে পারে, তার কোয়ারেন্টিন না মানার এই ইতিহাস তুলে ধরে। যদিও সরকারিভাবে এ নিয়ে এষনও কেউ মুখ খোলেনি।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২ , ২৯ পৌষ ১৪২৮ ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

জকোভিচের ভিসা বাতিলের কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়া

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না নোভাক জকোভিচের। এবার সার্বিয়ান টেনিস তারকা নিজেই পুরনো বিতর্ক উসকে দিলেন। স্বীকার করে নিলেন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। মাস্ক ছাড়া ছবি তোলার কথঠর মেনে নিয়েছেন বিশ্বের এক নম্বও টেনিস তারকা। শুধু তাই নয়, জকোভিচ মেনে নিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় ভিসার আবেদনের সময়ও তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন। যদিও, সবটাই অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে দাবি টেনিস তারকার। সেজন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।

দিন চারেক আগেই বিশ্ব টেনিসের শীর্ষে থাকা খেলোয়াড়ের আইনজীবী অস্ট্রেলিয়ার আদালতে জানিয়েছেন, নোভাক গত ১৬ ডিসেম্বর করোনায় আক্রান্ত হন। তাই কোভিড টিকা নিতে পারেননি। সেই সঙ্গে আদালতে আরও জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যেই সেই ঘটনার ১৪ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কোন উপসর্গ তার শরীওে নেই। অস্ট্রেলিয়ায় আসার জন্য যাবতীয় শর্ত তিনি পূরণ করেছেন। এমনকি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ দুটি স্বাধীন মেডিকেল প্যানেলের মাধ্যমে জকোভিচকে দেশে ঢোকার অনুমতিও দিয়েছে। আইনজীবীর সেই যুক্তিতে নোভাক অস্ট্রেলিয়া ওপেনে খেলার সুযোগ পেয়ে গেলেও নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

যেদিন তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সেদিনই তাকে দেখা গিয়েছে সার্বিয়ার একটি অনুষ্ঠানে। সেই দিন তার নামে একটি স্ট্যাম্প উন্মোচন হয়। অথচ সেদিন বিনা মাস্কেই সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন। এমনকি অনেকের সঙ্গে তাকে কথাও বলতে দেখা যায়। পরের দিন আবার একটি অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন। সেইদিন আবার বেশ কিছু খুদে খেলোয়াড় উপস্থিত ছিল। সেই একইভাবে মাস্ক বিহীন জকোভিচকে দেখা যায় অনুষ্ঠানে ঘুওে বেড়াতে। করোনা হয়েছেন জেনেও কেন তিনি এভাবে ঘুওে বেড়ালেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে টেনিস বিশ্বে। জকোভিচের দাবি, এসবের কোন কিছুই তিনি করেননি। সবটাই ভিত্তিহীন অভিযোগ। তবে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেরদিন ফ্রান্সের এক সংবাদমাধ্যমকে যে তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সেটা স্বীকার করেছেন বিশ্বের এক নম্বও টেনিস তারকা। জকোভিচের বক্তব্য, ‘আমি পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলাম। কারণ ওই সাংবাদিককে হতাশ করতে চাইনি। তবে গোটা সাক্ষাৎকারটি আমি দিয়েছিলাম দূরত্ব বিধি মেনে এবং মাস্ক পরে। শুধুমাত্র ছবি তোলার আগে মাস্ক খুলেছিলাম।’ নিজের এই আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন জোকার। কিন্তু ক্ষমা চাইলেও এই স্বীকারোক্তি তাকে নতুন করে বিপাকে ফেলতে পারে। শোনা যাচ্ছে, আরও একবার জকোভিচের ভিসা বাতিল করার কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। ঠিক অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরুর কয়েকদিন আগে নয়া সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। এবার অস্ট্রেলিয়া সরকার জকোভিচের ভিসা বাতিল করতে পারে, তার কোয়ারেন্টিন না মানার এই ইতিহাস তুলে ধরে। যদিও সরকারিভাবে এ নিয়ে এষনও কেউ মুখ খোলেনি।