টিকেট সিন্ডিকেটে আটাব সদস্যরা জড়িত

উড়োজাহাজের টিকিটের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সদস্যরা। এই সংগঠনটির সাবেক সভাপতি এসএন মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব অভিযোগ তুলেছেন, বর্তমানে কমিটির দু-একজন সদস্য জড়িত। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

উড়োজাহাজের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও টিকিট নিয়ে সিন্ডিকেট বন্ধ করা। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাধারণ সদস্যদের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মোর্শেদ মাহবুবের অভিযোগ, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়হীনতা এবং চাহিদা ও জোগান সম্পর্কে কোন তথ্য বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যৎ চাহিদা নিরূপণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনুমতি নিয়ে এয়ারলাইনসগুলো পরিচালিত হয়। বেবিচক সব এয়ারলাইনসের বিভিন্ন রুটের ভাড়া অনুমোদন করে থাকে। কেন বেবিচক অস্বাভাবিক ভাড়া নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিচ্ছে না এবং ফ্লাইট সক্ষমতা ও অতিরিক্ত ফ্লাইটের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না, সেটা এক বড় রহস্য। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও এর ফলে জনগণের ক্ষতির দায় বেবিচক কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এখন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের টিকিটের দাম আকাশচুম্বী। গত বছরের অক্টোবর থেকে এই সংকট শুরু হয়ে চলতি জানুয়ারি পর্যন্ত টিকিটের মূল্য আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। রিয়াদ, জেদ্দা, মাসকাট ও দুবাই রুটে ইকোনমি ক্লাসের স্বাভাবিক সময়ে একমুখী ভাড়া ছিল ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এখন সেটা এক লাখ টাকা থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। এ ছাড়া এত বেশি টাকা দিয়েও এখন টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে দেশি ও বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এর ফলে প্রবাসী, শ্রমজীবী, বিদেশগামী যাত্রী, ওমরাহ যাত্রী, রিক্রুটিং এজেন্সি, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটরসহ সবাই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। পাশের দেশে এসব রুটে টিকিটের মূল্য ৪০ হাজার টাকার কম। এছাড়া একই গন্তব্যের ফিরতি পথের দূরত্ব একই হলেও টিকিটের দাম ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা মাত্র।

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২ , ৩০ পৌষ ১৪২৮ ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

টিকেট সিন্ডিকেটে আটাব সদস্যরা জড়িত

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

উড়োজাহাজের টিকিটের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সদস্যরা। এই সংগঠনটির সাবেক সভাপতি এসএন মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব অভিযোগ তুলেছেন, বর্তমানে কমিটির দু-একজন সদস্য জড়িত। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

উড়োজাহাজের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও টিকিট নিয়ে সিন্ডিকেট বন্ধ করা। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাধারণ সদস্যদের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মোর্শেদ মাহবুবের অভিযোগ, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়হীনতা এবং চাহিদা ও জোগান সম্পর্কে কোন তথ্য বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যৎ চাহিদা নিরূপণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনুমতি নিয়ে এয়ারলাইনসগুলো পরিচালিত হয়। বেবিচক সব এয়ারলাইনসের বিভিন্ন রুটের ভাড়া অনুমোদন করে থাকে। কেন বেবিচক অস্বাভাবিক ভাড়া নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিচ্ছে না এবং ফ্লাইট সক্ষমতা ও অতিরিক্ত ফ্লাইটের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না, সেটা এক বড় রহস্য। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও এর ফলে জনগণের ক্ষতির দায় বেবিচক কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এখন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের টিকিটের দাম আকাশচুম্বী। গত বছরের অক্টোবর থেকে এই সংকট শুরু হয়ে চলতি জানুয়ারি পর্যন্ত টিকিটের মূল্য আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। রিয়াদ, জেদ্দা, মাসকাট ও দুবাই রুটে ইকোনমি ক্লাসের স্বাভাবিক সময়ে একমুখী ভাড়া ছিল ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এখন সেটা এক লাখ টাকা থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। এ ছাড়া এত বেশি টাকা দিয়েও এখন টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে দেশি ও বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এর ফলে প্রবাসী, শ্রমজীবী, বিদেশগামী যাত্রী, ওমরাহ যাত্রী, রিক্রুটিং এজেন্সি, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটরসহ সবাই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। পাশের দেশে এসব রুটে টিকিটের মূল্য ৪০ হাজার টাকার কম। এছাড়া একই গন্তব্যের ফিরতি পথের দূরত্ব একই হলেও টিকিটের দাম ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা মাত্র।