করোনা : মৃত্যু পৌঁছালো দুই অঙ্কে সংক্রমণ ১২ শতাংশ পার

বিধিনিষেধ আরোপ, প্রশাসনের দায়সারা অবস্থান

ঢাকা মহানগরীতে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্তের হারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে হবিগঞ্জ; সেখানে তা প্রায় ৫৯ শতাংশ। হবিগঞ্জে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া একদিনে সীমান্তবর্তী প্রায় সবকটি জেলায় করোনা শনাক্ত বেড়েছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে তিন হাজার ৩৫৯ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে; যা গত চার মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর তিন মাস পর করোনায় মৃত্যু দুই অঙ্কে পৌঁছাল। ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন। জানতে চাইলে কোভিডবিষয়ক ‘জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি’র সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে; কিন্তু কে তা প্রয়োগ করবে, কে সমন্বয় করবে... এবং কেউ বিধিনিষেধ না মানলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সেই বিষয়ে কোন কিছু বলা হয়নি। এ সংক্রান্ত কোন পরিকল্পনাও প্রকাশ করা হয়নি। বিধিনিষেধ আরোপের পর প্রশাসনের দায়সারা অবস্থান দেখা যাচ্ছে।’ এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না- মন্তব্য করে এই জনস্বাস্থ্যবিদ বলেন, ‘দিনদিন পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকবে। তাছাড়া এবার মানুষের ঢিলেমি ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, ওমিক্রন মারাত্মক ক্ষতিকর নয়; এ কারণে মানুষ যেমনে খুশি চলাফেরা করছে, স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এতে মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে।’

তিনি বলেন, ‘ওমিক্রন হয়ত মারাত্মক নয়; কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস আছে, হৃদরোগ বা অন্যান্য জটিল রোগ আছে, তাদের মধ্যে যদি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে তখন অনেকের অবস্থা খারাপ হবে। তাদের হাসপাতালে দৌরাতে হবে। কাজেই আমরা যদি এটিকে প্রতিরোধ না করি তাহলে পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যেতে থাকবে।’

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গত ১০ জানুয়ারি ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে। এই বিধিনিষেধ গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে। এতে মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করলে জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ট্রেন, বাস এবং লঞ্চ অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবহন ব্যবসায়ীদের চাপে সরকারের সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাসে যত আসন তত যাত্রী উঠানো যাবে। তবে সব যানবাহনে চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার কথাও বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীদের নিয়ে সারা দেশে এ পর্যন্ত ১৬ লাখ চার হাজার ৬৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিন মৃত্যু হওয়া ১২ জনকে নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ হাজার ১২৩ জন।

এদিন সুস্থ হয়েছেন ৩০২ জন। এ নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৫ জন সুস্থ হয়েছেন। তবে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর মধ্যে সুস্থ হওয়া এবং মারা যাওয়া রোগী বাদ দিলে এখন চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৫৮৬ জন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৩৪৯ জনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

একদিনে এর চেয়ে বেশি কোভিড শনাক্ত হয়েছিল গত ২ সেপ্টেম্বর; ওইদিন তিন হাজার ৪৩৬ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর একদিনে ১২ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছিল গত ১৬ অক্টোবর; ওইদিন ১৬ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদপ্তর। গত ২১ অক্টোবর ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল; এরপর দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা এক অঙ্কের মধ্যেই ছিল।

ঢাকায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ

মহানগরসহ ঢাকা জেলায় একদিনে ১৮ হাজার ৭৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ৬৬৭ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। ঢাকায় পরীক্ষা অনুপাতে কোভিড শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ।

এছাড়া একদিনে আরও কয়েকটি জেলায় উচ্চ সংক্রমণ হার ছিল। এর মধ্যে চট্টগ্রামে দুই হাজার ৫৩২টি নমুনা পরীক্ষায় ২৬০ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। এই জেলায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ।

যশোরে ৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে; শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ। রংপুর জেলায় ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের দেহে জীবাণু পাওয়া গেছে। রংপুরে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। কুমিল্লায় ৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। এই জেলায় কোভিড শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

অন্য জেলার মধ্যে একদিনে গাজীপুরে ১৬ জন, নারায়ণগঞ্জে ২৫ জন, নরসিংদীতে ১৪ জন, ময়মনসিংহে ২১ জন, কক্সবাজারে ২৩ জন, ফেনীতে ১৫ জন, রাজশাহীতে ২২ জন, পাবনায় ২০ জন, বগুড়ায় ২৩ জন, কুষ্টিয়ায় ১৩ জন, সিলেটে ৪৪ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

বিভাগওয়ারি কোভিড শনাক্ত

একদিনে ঢাকা বিভাগে দুই হাজার ৭৫২ জন, ময়মনসিংহে ৩০ জন, চট্টগ্রামে ৩৪৯ জন, রাজশাহীতে ৮১ জন, রংপুরে ১৮ জন, খুলনায় ৫৪ জন, বরিশালে ১৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ৬১ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

শনাক্তের হার ১২ শতাংশ ছাড়াল

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে ২৭ হাজার ৯২০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আর এ পর্যন্ত মোট এক কোটি ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ২২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় কোভিড শনাক্তের হার ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।

তবে মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার ৯৬ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৫ শতাংশ।

একদিনে মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, একজনের বয়স ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে, দুইজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, চারজনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, চারজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

বিভাগভিত্তিক তথ্যে দেখা যায়, মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রামে একজন, খুলনায় একজন, বরিশালে একজন এবং ময়মনসিংহে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২ , ৩০ পৌষ ১৪২৮ ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

করোনা : মৃত্যু পৌঁছালো দুই অঙ্কে সংক্রমণ ১২ শতাংশ পার

বিধিনিষেধ আরোপ, প্রশাসনের দায়সারা অবস্থান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, মানুষ মানছে না বিধিনিষেধ, অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক নেই। গতকাল রাজধানীর নিউমার্কেট থেকে তোলা ছবি -সংবাদ

ঢাকা মহানগরীতে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্তের হারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে হবিগঞ্জ; সেখানে তা প্রায় ৫৯ শতাংশ। হবিগঞ্জে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া একদিনে সীমান্তবর্তী প্রায় সবকটি জেলায় করোনা শনাক্ত বেড়েছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে তিন হাজার ৩৫৯ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে; যা গত চার মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর তিন মাস পর করোনায় মৃত্যু দুই অঙ্কে পৌঁছাল। ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন। জানতে চাইলে কোভিডবিষয়ক ‘জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি’র সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে; কিন্তু কে তা প্রয়োগ করবে, কে সমন্বয় করবে... এবং কেউ বিধিনিষেধ না মানলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সেই বিষয়ে কোন কিছু বলা হয়নি। এ সংক্রান্ত কোন পরিকল্পনাও প্রকাশ করা হয়নি। বিধিনিষেধ আরোপের পর প্রশাসনের দায়সারা অবস্থান দেখা যাচ্ছে।’ এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না- মন্তব্য করে এই জনস্বাস্থ্যবিদ বলেন, ‘দিনদিন পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকবে। তাছাড়া এবার মানুষের ঢিলেমি ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, ওমিক্রন মারাত্মক ক্ষতিকর নয়; এ কারণে মানুষ যেমনে খুশি চলাফেরা করছে, স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এতে মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে।’

তিনি বলেন, ‘ওমিক্রন হয়ত মারাত্মক নয়; কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস আছে, হৃদরোগ বা অন্যান্য জটিল রোগ আছে, তাদের মধ্যে যদি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে তখন অনেকের অবস্থা খারাপ হবে। তাদের হাসপাতালে দৌরাতে হবে। কাজেই আমরা যদি এটিকে প্রতিরোধ না করি তাহলে পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যেতে থাকবে।’

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গত ১০ জানুয়ারি ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে। এই বিধিনিষেধ গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে। এতে মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করলে জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ট্রেন, বাস এবং লঞ্চ অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবহন ব্যবসায়ীদের চাপে সরকারের সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাসে যত আসন তত যাত্রী উঠানো যাবে। তবে সব যানবাহনে চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার কথাও বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীদের নিয়ে সারা দেশে এ পর্যন্ত ১৬ লাখ চার হাজার ৬৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিন মৃত্যু হওয়া ১২ জনকে নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ হাজার ১২৩ জন।

এদিন সুস্থ হয়েছেন ৩০২ জন। এ নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৫ জন সুস্থ হয়েছেন। তবে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর মধ্যে সুস্থ হওয়া এবং মারা যাওয়া রোগী বাদ দিলে এখন চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৫৮৬ জন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৩৪৯ জনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

একদিনে এর চেয়ে বেশি কোভিড শনাক্ত হয়েছিল গত ২ সেপ্টেম্বর; ওইদিন তিন হাজার ৪৩৬ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর একদিনে ১২ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছিল গত ১৬ অক্টোবর; ওইদিন ১৬ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদপ্তর। গত ২১ অক্টোবর ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল; এরপর দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা এক অঙ্কের মধ্যেই ছিল।

ঢাকায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ

মহানগরসহ ঢাকা জেলায় একদিনে ১৮ হাজার ৭৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ৬৬৭ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। ঢাকায় পরীক্ষা অনুপাতে কোভিড শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ।

এছাড়া একদিনে আরও কয়েকটি জেলায় উচ্চ সংক্রমণ হার ছিল। এর মধ্যে চট্টগ্রামে দুই হাজার ৫৩২টি নমুনা পরীক্ষায় ২৬০ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। এই জেলায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ।

যশোরে ৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে; শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ। রংপুর জেলায় ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের দেহে জীবাণু পাওয়া গেছে। রংপুরে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। কুমিল্লায় ৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। এই জেলায় কোভিড শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

অন্য জেলার মধ্যে একদিনে গাজীপুরে ১৬ জন, নারায়ণগঞ্জে ২৫ জন, নরসিংদীতে ১৪ জন, ময়মনসিংহে ২১ জন, কক্সবাজারে ২৩ জন, ফেনীতে ১৫ জন, রাজশাহীতে ২২ জন, পাবনায় ২০ জন, বগুড়ায় ২৩ জন, কুষ্টিয়ায় ১৩ জন, সিলেটে ৪৪ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

বিভাগওয়ারি কোভিড শনাক্ত

একদিনে ঢাকা বিভাগে দুই হাজার ৭৫২ জন, ময়মনসিংহে ৩০ জন, চট্টগ্রামে ৩৪৯ জন, রাজশাহীতে ৮১ জন, রংপুরে ১৮ জন, খুলনায় ৫৪ জন, বরিশালে ১৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ৬১ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

শনাক্তের হার ১২ শতাংশ ছাড়াল

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে ২৭ হাজার ৯২০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আর এ পর্যন্ত মোট এক কোটি ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ২২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় কোভিড শনাক্তের হার ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।

তবে মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার ৯৬ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৫ শতাংশ।

একদিনে মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, একজনের বয়স ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে, দুইজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, চারজনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, চারজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

বিভাগভিত্তিক তথ্যে দেখা যায়, মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রামে একজন, খুলনায় একজন, বরিশালে একজন এবং ময়মনসিংহে একজনের মৃত্যু হয়েছে।