ভোটের মাঠে কখনো বাড়তি সুবিধা নেননি বললেন আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের প্রচারণার আর মাত্র একদিন বাকি। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সব প্রার্থী। মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার গতকাল দিনভর প্রচারণা চালিয়েছেন। তারা দু’জনেই ভোটারদের নির্দ্বিধায় ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। যদিও তৈমুর আলম অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে তার পক্ষে যারা কাজ করছেন তাদের হয়রানি করছে পুলিশ। অন্যদিকে সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ভোটের মাঠে কখনই বাড়তি সুবিধা তিনি নেননি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে ভোটে বিশৃঙ্খলা হলে প্রশাসন দেখবে।

সকাল ১০টায় নগরীর দেওভোগ এলাকার নিজ বাসা থেকে প্রচারণা শুরু করেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান। বিকেলে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান তিনি। প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুইবারের নির্বাচিত এই মেয়র বলেন, ‘প্রশাসন সব পরিস্থিতি দেখভাল করবে। তবে ভোটারদের বলবো, তারা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে। নারায়ণগঞ্জে এর আগে ৩টা নির্বাচন হয়েছে। টানটান উত্তেজনা ছিল। সবাই ভোট দিতে গেছেন, পরিবেশ খুবই সুন্দর ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করবো যেন নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ এমন সুন্দর থাকে, উৎসবমুখর থাকে। সেই ব্যবস্থা যেন তারা করেন।’

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কাকে কোথায় ধরা হচ্ছে। বিএনপির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এটা শুনেছি। ওনার নামে হেফাজতের মামলা ছিল। আর কোথায় কী হচ্ছে তা আমি জানি না, আর আমার জানার ব্যাপারও না। ওইটা প্রশাসন দেখবে, শহরে যদি কোন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তাহলে তা দেখবে প্রশাসন। আমি তো সারাদিন ব্যস্ত। আমি কোন সহিংসতার সঙ্গে জড়িত না। কখনো কাউকে বলিনি ওকে ধরেন, ওইটা করেন। আমি চাই ভোটকেন্দ্র যেন পরিষ্কার থাকে, কোন সন্ত্রাসী যেন ঝামেলা লাগাতে না পারে। ভোটাররা যেন ঠিকমত ভোট দিতে যেতে পারে।’

তরুণ ভোটারদের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষ যেমন চায় সেভাবেই কাজ করেছেন। তরুণ যারা রয়েছেন তাদের চাহিদা অনুযায়ীও কাজ করেছেন তিনি। নিজেকে সব সময় স্বচ্ছ রেখেছেন এবং মিথ্যার আশ্রয় নেননি। তার এমন চরিত্রের কারণেই তরুণ ভোটাররা তাকে ভোট দিবে বলে মনে করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে কখনো কোন বাড়তি সুবিধা পাই নাই, আর বাড়তি সুবিধা নিতে আমি পছন্দও করি না। জনস্রোত যখন আমার আশে আছে আমি কেন বাড়তি সুবিধা নিতে যাবো! আমি তো জনবিচ্ছিন্ন কেউ না। প্রশাসন কখনো আমার হাতের মুঠোয় ছিল না, নেয়ার চেষ্টাও করিনি। সব সময় মানুষের দোরগোড়ায় গিয়েছি, আমি আমার জনগণকে পাশে রাখার চেষ্টা করেছি।’

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাদির, আদিনাথ বসু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম কল্পনাসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সকালে আইভীর পক্ষে মিছিল করেন স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা। বিকেলে মিছিল করেন মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা। উভয় মিছিলে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২ , ৩০ পৌষ ১৪২৮ ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

ভোটের মাঠে কখনো বাড়তি সুবিধা নেননি বললেন আইভী

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের প্রচারণার আর মাত্র একদিন বাকি। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সব প্রার্থী। মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার গতকাল দিনভর প্রচারণা চালিয়েছেন। তারা দু’জনেই ভোটারদের নির্দ্বিধায় ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। যদিও তৈমুর আলম অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে তার পক্ষে যারা কাজ করছেন তাদের হয়রানি করছে পুলিশ। অন্যদিকে সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ভোটের মাঠে কখনই বাড়তি সুবিধা তিনি নেননি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে ভোটে বিশৃঙ্খলা হলে প্রশাসন দেখবে।

সকাল ১০টায় নগরীর দেওভোগ এলাকার নিজ বাসা থেকে প্রচারণা শুরু করেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান। বিকেলে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান তিনি। প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুইবারের নির্বাচিত এই মেয়র বলেন, ‘প্রশাসন সব পরিস্থিতি দেখভাল করবে। তবে ভোটারদের বলবো, তারা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে। নারায়ণগঞ্জে এর আগে ৩টা নির্বাচন হয়েছে। টানটান উত্তেজনা ছিল। সবাই ভোট দিতে গেছেন, পরিবেশ খুবই সুন্দর ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করবো যেন নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ এমন সুন্দর থাকে, উৎসবমুখর থাকে। সেই ব্যবস্থা যেন তারা করেন।’

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কাকে কোথায় ধরা হচ্ছে। বিএনপির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এটা শুনেছি। ওনার নামে হেফাজতের মামলা ছিল। আর কোথায় কী হচ্ছে তা আমি জানি না, আর আমার জানার ব্যাপারও না। ওইটা প্রশাসন দেখবে, শহরে যদি কোন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তাহলে তা দেখবে প্রশাসন। আমি তো সারাদিন ব্যস্ত। আমি কোন সহিংসতার সঙ্গে জড়িত না। কখনো কাউকে বলিনি ওকে ধরেন, ওইটা করেন। আমি চাই ভোটকেন্দ্র যেন পরিষ্কার থাকে, কোন সন্ত্রাসী যেন ঝামেলা লাগাতে না পারে। ভোটাররা যেন ঠিকমত ভোট দিতে যেতে পারে।’

তরুণ ভোটারদের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষ যেমন চায় সেভাবেই কাজ করেছেন। তরুণ যারা রয়েছেন তাদের চাহিদা অনুযায়ীও কাজ করেছেন তিনি। নিজেকে সব সময় স্বচ্ছ রেখেছেন এবং মিথ্যার আশ্রয় নেননি। তার এমন চরিত্রের কারণেই তরুণ ভোটাররা তাকে ভোট দিবে বলে মনে করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে কখনো কোন বাড়তি সুবিধা পাই নাই, আর বাড়তি সুবিধা নিতে আমি পছন্দও করি না। জনস্রোত যখন আমার আশে আছে আমি কেন বাড়তি সুবিধা নিতে যাবো! আমি তো জনবিচ্ছিন্ন কেউ না। প্রশাসন কখনো আমার হাতের মুঠোয় ছিল না, নেয়ার চেষ্টাও করিনি। সব সময় মানুষের দোরগোড়ায় গিয়েছি, আমি আমার জনগণকে পাশে রাখার চেষ্টা করেছি।’

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাদির, আদিনাথ বসু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম কল্পনাসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সকালে আইভীর পক্ষে মিছিল করেন স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা। বিকেলে মিছিল করেন মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা। উভয় মিছিলে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।