কক্সবাজারে হত্যা মামলায় আবদুল খালেক (৪৮) নামের এক ব্যক্তির ফাসির আদেশ ও ৪ জনের যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেছে আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়াও উক্ত মামলা থেকে ৩ জনকে খালাস প্রদান করেন আদালত।
গতকাল কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালত এ রায় প্রদান করেন। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন, মো. কাজল, আমির হামজা, সেলিম উল্লাহ ও আবদুল গফফার।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী অতিরিক্ত পিপি মোজাফফর আহমদ হেলালী জানান, গত ২০০২ সালের ২৯ জুন কক্সবাজার বাস টার্মিনালস্থ লারপাড়া এলাকায় ক্যাফে হায়দার হোটেলের সামনে একটি গাড়ির চাবি দেয়া-নেয়াকে কেন্দ্র করে উখিয়া উপজেলার রতœাপালং ইউনিয়নের জমির আহমদের ছেলে আক্তার হোসেনকে (৩৫) গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় মৃত্যুদ- প্রাপ্ত আসামি আবদুল খালেক। এই ঘটনায় নিহত আক্তার হোসেনের বড় ভাই আব্বাস উদ্দিন বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে ২০০৩ সালে মামলার চার্জ গঠন করেন। পরবর্তীতে ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে আসামি আবদুল খালেককে মৃত্যুদ-াদেশ ও মো. কাজল, আমির হামজা, সেলিম উল্লাহ ও আবদুল গফফারকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেছে আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। এছাড়া আবদুল জলিল, আশরাফুল সিদ্দিকী ও ওবায়দুল হককে খালাস প্রদান করেন আদালত।
শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২ , ৩০ পৌষ ১৪২৮ ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, কক্সবাজার
কক্সবাজারে হত্যা মামলায় আবদুল খালেক (৪৮) নামের এক ব্যক্তির ফাসির আদেশ ও ৪ জনের যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেছে আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়াও উক্ত মামলা থেকে ৩ জনকে খালাস প্রদান করেন আদালত।
গতকাল কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালত এ রায় প্রদান করেন। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন, মো. কাজল, আমির হামজা, সেলিম উল্লাহ ও আবদুল গফফার।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী অতিরিক্ত পিপি মোজাফফর আহমদ হেলালী জানান, গত ২০০২ সালের ২৯ জুন কক্সবাজার বাস টার্মিনালস্থ লারপাড়া এলাকায় ক্যাফে হায়দার হোটেলের সামনে একটি গাড়ির চাবি দেয়া-নেয়াকে কেন্দ্র করে উখিয়া উপজেলার রতœাপালং ইউনিয়নের জমির আহমদের ছেলে আক্তার হোসেনকে (৩৫) গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় মৃত্যুদ- প্রাপ্ত আসামি আবদুল খালেক। এই ঘটনায় নিহত আক্তার হোসেনের বড় ভাই আব্বাস উদ্দিন বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে ২০০৩ সালে মামলার চার্জ গঠন করেন। পরবর্তীতে ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে আসামি আবদুল খালেককে মৃত্যুদ-াদেশ ও মো. কাজল, আমির হামজা, সেলিম উল্লাহ ও আবদুল গফফারকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেছে আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। এছাড়া আবদুল জলিল, আশরাফুল সিদ্দিকী ও ওবায়দুল হককে খালাস প্রদান করেন আদালত।