পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, অনেক হতাহতের আশঙ্কা

পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ি ওভারব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়। রেল সূত্রে খবর বিকানের থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ইঞ্জিনের পর থেকে দশটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ঘটনায় হতাহত বহু যাত্রী। বেসরকারিভাবে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে উদ্ধারকারী দল। এখন পর্যন্ত আহত তিন শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধরা করা হয়েছে বলে কুচবিহারের জেলাশাসক মৌমিতা গোদরা বসু জানিয়েছেন। তবে ঘটনার যে ছবি সামনে আসছে তাতে স্পষ্ট বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও সরকারিভাবে এখনও কোন তথ্য জানানো হয়নি। রেলের তরফে শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের পাশাপাশি আহতদের উদ্ধারের কাজ শুরু করেছেন স্থানীয়রাও। জানা গেছে, আহতদের উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তবে সঠিক কী কারণে এই ট্রেন দুর্ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই বিষয়ে রেলের তরফে কোন কিছু স্পষ্ট করা হয়নি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, যে জায়গাতে এই ঘটনা ঘটেছে সেটি হলো দোমোহনি এলাকা। বিকেল পাঁচটা নাগাদ এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় মানুষজন জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই প্রবল একটি শব্দ শোনা যায়। আর সেই শব্দ শোনার পরেই রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয় লোকজন। ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য। যেখানে বিকানের-গৌহাটি এক্সপ্রেসের একটি বগির উপর উঠে গিয়েছে আরও বেশ কয়েকটি। শুধু তাই নয়, লাইন থেকে ছিটকে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি বগি। ঘটনার পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনে থাকা যাত্রীরা। অনেকেই অভিশপ্ত ট্রেন থেকে নেমে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। ট্রেনটির ৪ থেকে ৫টি বগি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। তার জেরে হতাহতের বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার সময় ৫০ কিলোমিটার গতিবেগ ছিল ট্রেনটির। কিন্তু কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। রেলের চালক কিংবা সিগন্যালিংয়ে কোন সমস্যা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখছে রেলের উচ্চপদস্থ তদন্ত দল। তবে এই ঘটনার পর ওই লাইনে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে রেল চলাচল। শীতের সন্ধ্যায় তাড়াতাড়ি অন্ধকার নেমে আসার ফলে উদ্ধারকাজে রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলটিকে। যদিও বাড়তি আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২ , ৩০ পৌষ ১৪২৮ ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, অনেক হতাহতের আশঙ্কা

প্রতিনিধি, কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ি ওভারব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়। রেল সূত্রে খবর বিকানের থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ইঞ্জিনের পর থেকে দশটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ঘটনায় হতাহত বহু যাত্রী। বেসরকারিভাবে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে উদ্ধারকারী দল। এখন পর্যন্ত আহত তিন শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধরা করা হয়েছে বলে কুচবিহারের জেলাশাসক মৌমিতা গোদরা বসু জানিয়েছেন। তবে ঘটনার যে ছবি সামনে আসছে তাতে স্পষ্ট বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও সরকারিভাবে এখনও কোন তথ্য জানানো হয়নি। রেলের তরফে শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের পাশাপাশি আহতদের উদ্ধারের কাজ শুরু করেছেন স্থানীয়রাও। জানা গেছে, আহতদের উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তবে সঠিক কী কারণে এই ট্রেন দুর্ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই বিষয়ে রেলের তরফে কোন কিছু স্পষ্ট করা হয়নি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, যে জায়গাতে এই ঘটনা ঘটেছে সেটি হলো দোমোহনি এলাকা। বিকেল পাঁচটা নাগাদ এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় মানুষজন জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই প্রবল একটি শব্দ শোনা যায়। আর সেই শব্দ শোনার পরেই রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয় লোকজন। ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য। যেখানে বিকানের-গৌহাটি এক্সপ্রেসের একটি বগির উপর উঠে গিয়েছে আরও বেশ কয়েকটি। শুধু তাই নয়, লাইন থেকে ছিটকে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি বগি। ঘটনার পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনে থাকা যাত্রীরা। অনেকেই অভিশপ্ত ট্রেন থেকে নেমে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। ট্রেনটির ৪ থেকে ৫টি বগি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। তার জেরে হতাহতের বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার সময় ৫০ কিলোমিটার গতিবেগ ছিল ট্রেনটির। কিন্তু কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। রেলের চালক কিংবা সিগন্যালিংয়ে কোন সমস্যা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখছে রেলের উচ্চপদস্থ তদন্ত দল। তবে এই ঘটনার পর ওই লাইনে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে রেল চলাচল। শীতের সন্ধ্যায় তাড়াতাড়ি অন্ধকার নেমে আসার ফলে উদ্ধারকাজে রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলটিকে। যদিও বাড়তি আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।