ছাত্রলীগের হামলা, ক্যাম্পাসে দিনভর প্রতিবাদ-বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) টিএসসির পায়রা চত্বরে কাওয়ালি গানের আসরে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে গতকাল দিনভর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি বিক্ষোভ-মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামজিক সংগঠন।

দুপুরে কাওয়ালি মিছিল করে বিভিন্ন বাম ছাত্রসংগঠনের নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হামলার স্থল (পায়রা চত্বর) থেকে মিছিল নিয়ে রোকেয়া হল-কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি হয়ে প্রক্টর অফিসের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী ফাহিম শিহাব রেওয়াজ ছাত্রলীগকে ইতিহাস ভালোভাবে পড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইতিহাসে দেখতে পাই বঙ্গবন্ধুও কাওয়ালিপ্রেমী ছিল। বাংলাদেশের মানুষের আন্দোলন কোন ভাষা বা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ছিল না, ছিল শোষণের বিরুদ্ধে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত যে যে কায়দায় পাকিস্তানি শাষকরা আমাদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে একই কায়দায় আওয়ামী সরকার আমাদের শোষণ করছে। তারই অংশ হিসেবে এই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ আমাদের গান, প্রেম ও সুরের ওপর হামলা করছে।

হামলার প্রতিবাদে বিকেল চারটায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ছাত্র ফেডারেশন।

বিকেলে শাহবাগে ‘ধিক্কার’ সমাবেশ করে পিপলস একটিভিস্ট কোয়ালিশন (প্যাক) নামের একটি সংগঠন। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সন্ধ্যা ৬টায় টিএসসিতে আবারও কাওয়ালি ও প্রতিবাদী গানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাওয়ালি ব্যান্ড ‘সিলসিলা’। একইসঙ্গে প্রতি বৃহস্পতিবার টিএসসিতে কাওয়ালি মাহফিল করার ঘোষণাও দেন তারা।

এর আগে গতকাল টিএসসিতে পায়রা চত্বরে আয়োজিত কাওয়ালি আসর ছাত্রলীগের হামলায় প- হয়ে যায়। পূর্ব নির্ধারিত সময় বুধবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এ গানের আসরে ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ হামলার ঘটনায় অনুষ্ঠানে আগত শ্রোতা-দর্শক, আয়োজক ও সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২ , ৩০ পৌষ ১৪২৮ ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

ঢাবিতে কাওয়ালি আসরে

ছাত্রলীগের হামলা, ক্যাম্পাসে দিনভর প্রতিবাদ-বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) টিএসসির পায়রা চত্বরে কাওয়ালি গানের আসরে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে গতকাল দিনভর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি বিক্ষোভ-মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামজিক সংগঠন।

দুপুরে কাওয়ালি মিছিল করে বিভিন্ন বাম ছাত্রসংগঠনের নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হামলার স্থল (পায়রা চত্বর) থেকে মিছিল নিয়ে রোকেয়া হল-কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি হয়ে প্রক্টর অফিসের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী ফাহিম শিহাব রেওয়াজ ছাত্রলীগকে ইতিহাস ভালোভাবে পড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইতিহাসে দেখতে পাই বঙ্গবন্ধুও কাওয়ালিপ্রেমী ছিল। বাংলাদেশের মানুষের আন্দোলন কোন ভাষা বা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ছিল না, ছিল শোষণের বিরুদ্ধে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত যে যে কায়দায় পাকিস্তানি শাষকরা আমাদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে একই কায়দায় আওয়ামী সরকার আমাদের শোষণ করছে। তারই অংশ হিসেবে এই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ আমাদের গান, প্রেম ও সুরের ওপর হামলা করছে।

হামলার প্রতিবাদে বিকেল চারটায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ছাত্র ফেডারেশন।

বিকেলে শাহবাগে ‘ধিক্কার’ সমাবেশ করে পিপলস একটিভিস্ট কোয়ালিশন (প্যাক) নামের একটি সংগঠন। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সন্ধ্যা ৬টায় টিএসসিতে আবারও কাওয়ালি ও প্রতিবাদী গানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাওয়ালি ব্যান্ড ‘সিলসিলা’। একইসঙ্গে প্রতি বৃহস্পতিবার টিএসসিতে কাওয়ালি মাহফিল করার ঘোষণাও দেন তারা।

এর আগে গতকাল টিএসসিতে পায়রা চত্বরে আয়োজিত কাওয়ালি আসর ছাত্রলীগের হামলায় প- হয়ে যায়। পূর্ব নির্ধারিত সময় বুধবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এ গানের আসরে ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ হামলার ঘটনায় অনুষ্ঠানে আগত শ্রোতা-দর্শক, আয়োজক ও সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।