ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান প্রিয়শপ ডটকমের মালিক আশিকুল আলম খান সুজন ও তার পরিবারের আট সদস্যের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দেশের সব ব্যাংকগুলোকে চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ব্যাংক ও প্রিয়শপকে ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেনের সব ভাউচার ও প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে প্রিয়শপসহ ২৩ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব চেয়েছিল বিএফআইইউ। চিঠিতে আশিকুল, তার স্ত্রী ও পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যদের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরও দিয়েছে বিএফআইইউ। এসব নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য দিতে হবে বলা হয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে। আশিকুলের রাজধানীর বাসা ও প্রিয়শপ ডটকমের অফিসেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে সব তথ্য দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে। বর্তমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পণ্য কিনে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত চলছে। অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ইতোমধ্যে ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পণ্য কেনার জন্য জমা দেয়া টাকা এখনও ফেরত পাননি গ্রাহকরা।
এসব অনিয়ম ও জালিয়াতি রুখতে ই-কমার্স বিশেষ করে পণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা। এর জের ধরেই প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২ , ০১ মাঘ ১৪২৮ ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান প্রিয়শপ ডটকমের মালিক আশিকুল আলম খান সুজন ও তার পরিবারের আট সদস্যের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দেশের সব ব্যাংকগুলোকে চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ব্যাংক ও প্রিয়শপকে ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেনের সব ভাউচার ও প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে প্রিয়শপসহ ২৩ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব চেয়েছিল বিএফআইইউ। চিঠিতে আশিকুল, তার স্ত্রী ও পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যদের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরও দিয়েছে বিএফআইইউ। এসব নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য দিতে হবে বলা হয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে। আশিকুলের রাজধানীর বাসা ও প্রিয়শপ ডটকমের অফিসেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে সব তথ্য দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে। বর্তমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পণ্য কিনে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত চলছে। অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ইতোমধ্যে ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পণ্য কেনার জন্য জমা দেয়া টাকা এখনও ফেরত পাননি গ্রাহকরা।
এসব অনিয়ম ও জালিয়াতি রুখতে ই-কমার্স বিশেষ করে পণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা। এর জের ধরেই প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।