করোনার বিস্তার বাড়াচ্ছে মৃত্যু : নেই সচেতনতা

কিশোরগঞ্জে ৪ মাস পর

ডাবল ডিজিটে সংক্রমণ

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে একদিনে নতুন ১৫ জনের করোনা ধরা পড়েছে। প্রায় চারমাস পর একদিনে নতুন শনাক্ত ডাবল ডিজিটে উঠে গেল। এর আগে সর্বশেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর ১২ জনের করোনা ধরা পড়েছিল। পরের দিনগুলোতে কোনদিন সিঙ্গেল ডিজিট, কোনদিন কোন রোগিই শনাক্ত হয়নি।

সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমানের বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে প্রকাশ করা জেলার পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টার করোনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২৯১টি নমুনা পরীক্ষায় সদরে ৯ জন, ভৈরব ও অষ্টগ্রামে দু’জন করে, আর পাকুন্দিয়া ও কুলিয়ারচরে একজন করে নতুন রোগি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া অন্য জেলা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা দু’জনের নমুনা এবং পুরনো দুই রোগির নমুনাও পুনরায় পজিটিভ হয়েছে। ফলে নেগেটিভ হয়েছে ২৭১টি নমুনা। গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন ৪০ জন।

খুলনায় ৬৪ দিন

পর মৃত্যু

জেলা বার্তা পরিবেশক, খুলনা

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০০ শয্যাবিশিষ্ট ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে দীর্ঘ ৬৪ দিন পর করোনা সংক্রমণে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালের মুখপাত্র সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম নুরুল ইসলাম (৭০)। তার বাড়ি খুলনা নগরের ফারাজিপাড়া এলাকায়। গত ৯ জানুয়ারি কোভিড শনাক্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সর্বশেষ ৮ নভেম্বর একই ইউনিটে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানান ডা. সুহাস। তিনি বলেন, তিন মাসের মতো করোনা হাসপাতালে তেমন কোনো রোগী ছিল না। সম্প্রতি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এদিকে খুলনা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার ম-ল বলেন, নিষেধাজ্ঞার প্রথমদিন গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খুলনা নগরে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মাস্ক না থাকায় ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় অভিযানে ২৫ জনকে ১১ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে আরও একটি দল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।

২২ দিন পর

সিলেটে মৃত্যু ১

প্রতিনিধি, সিলেট

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষে সিলেটে দাপট কমেছিলো কোভিট-১৯ এর। তবে ওমিক্রন ও ডেল্টাক্রন রূপে তৃতীয় ঢেউ হয়ে বিশ্বে ফিরে এসেছে করোনা। সেই ধাক্কা লেগেছে সিলেটেও। মৃত্যুহীন ২২ দিন কাটানোর পর ২৩ দিনের মাথায় করোনায় মৃত্যু দেখেছে সিলেট বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গত বুধবার স­কাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার ৮টা পর্যন্ত- এই ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে মৃত্যু হয়েছে একজনের। তিনি সিলেট জেলার বাসিন্দা ছিলেন। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর সিলেট বিভাগে করোনায় মারা যান একজন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআর ল্যাব ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাবে ৯২১ টি নমুনা টেস্টে এই রোগী শনাক্ত হয়।

ভোলায় বন্ধ বুস্টার

ডোজ : ক্ষোভ

জেলা বার্তা পরিবেশক, ভোলা

ভোলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। গত দুই দিনে আক্রান্ত হয়েছে ৫ জন। করোনার এমন বিস্তারের মধ্যেও নেই সচেতনতা। রাস্তঘাট হাটবাজারে মাস্ক ব্যবহার করছে না কেউ। নেই দূরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা। এদিকে করোনা টিকার সংকটের কারণে বুস্টার ডোস দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে মানুষের মাঝে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তথ্য অফিস সতর্কতা জারি করে মাইকিং করতে শুরু করেছে। অপরদিকে টিকা সংকটে বুস্টার টিকা দেয়া বন্ধ রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গেল ১৫ দিন আক্রান্ত সংখ্যা কূণ্য ছিল। কিন্তু গত বুধবার কোড়ালিয়ার এক পরিবারে ৩ জন আক্রান্ত হন। ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় তিন জনের পজেটিভ আসে। এদের মধ্যে ১০ বছরের শিশু রয়েছে একজন । গত বৃহস্পতিবার ১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ জন। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যে এক মাসে আক্রান্ত ছিল না। নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত সংখ্যা ছিল ১১ জন। অপরদিকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেড় বছরে মোট আক্রান্ত ছিল ৬ হাজার ৮৫৫। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ছিল ৬ হাজার ৮৬৩ । ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৬ হাজার ৮৬৫। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৬ হাজার ৮ ৬৬ জন। নতুন বছরে আক্রান্ত সংখ্যা ছিল না। হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক ই লাহী চৌধুরী জানান, ঢাকায় করোনা আক্রান্ত বেড়ে গেলে, ভোলায়ও সতর্কতা বাড়াতে হয়। লঞ্চঘাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। টিকা সংকটের কারণে বুস্টার টিকা দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে গত বৃহস্পতিবার অনেকে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকা না পেয়ে ফিরে যান। ফলে অনেকেই ক্ষোভ জানান। জেলা প্রশাসক জানান, শিক্ষার্থীদের টিকা নেয়ার বিষয়টি অব্যাহত রয়েছে। বুস্টার টিকার ম্যাসেস আসাও বন্ধ রয়েছে। ম্যাসেস নিয়মিত হলে ফের টিকা দেয়া শুরু হবে।

করোনা ঠেকাতে বরিশাল

জেলা প্রশাসনের প্রচারণা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

দেশে ক্রমশ করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলেও জনসাধারনের মধ্যে সচেতনতা না থাকায় বরিশাল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহারে সচেতন হবার জন্য গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান পরিচালনা করেছে।

নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডে অশি^নী কুমার হল চত্বরে প্রচারনামূলক সমাবেশে জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন হায়দার বলেন, মাস্ক ব্যবহার না করলে জেল জরিমানার সরকারি নির্দেশনা আছে। কিন্তু আমরা প্রথমেই আইন প্রয়োগ না করে জনসাধারনকে নিজেদের স্বার্থে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি এবং বিনামূল্যে মাস্ক বিতরন করছি। এসময়ে তিনি বলেন, আপনারা সকলেই জানেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য চিকিৎসাকেন্দ্রে রোগী রাখার জায়গা দেওয়া যয়নি। প্রশাসন ও চিকিৎসকদের রোগীদের প্রাণ রক্ষার জন্য বেগ পেতে হয়েছে। করোনায় এখন পর্যন্ত ২৮ হজারেরও অধিক ব্যক্তি অকালে প্রাণ হারিয়েছেন। তাই নিজে বাঁচতে ও পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে মাস্ক ব্যবহারে সজাগ হবার তিনি সকলকে অনুরোধ করেন।

জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রজস্ব) গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুর রহমান খান, এনডিসি নাজমুল হুদা সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২ , ০১ মাঘ ১৪২৮ ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

করোনার বিস্তার বাড়াচ্ছে মৃত্যু : নেই সচেতনতা

কিশোরগঞ্জে ৪ মাস পর

ডাবল ডিজিটে সংক্রমণ

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে একদিনে নতুন ১৫ জনের করোনা ধরা পড়েছে। প্রায় চারমাস পর একদিনে নতুন শনাক্ত ডাবল ডিজিটে উঠে গেল। এর আগে সর্বশেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর ১২ জনের করোনা ধরা পড়েছিল। পরের দিনগুলোতে কোনদিন সিঙ্গেল ডিজিট, কোনদিন কোন রোগিই শনাক্ত হয়নি।

সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমানের বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে প্রকাশ করা জেলার পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টার করোনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২৯১টি নমুনা পরীক্ষায় সদরে ৯ জন, ভৈরব ও অষ্টগ্রামে দু’জন করে, আর পাকুন্দিয়া ও কুলিয়ারচরে একজন করে নতুন রোগি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া অন্য জেলা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা দু’জনের নমুনা এবং পুরনো দুই রোগির নমুনাও পুনরায় পজিটিভ হয়েছে। ফলে নেগেটিভ হয়েছে ২৭১টি নমুনা। গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন ৪০ জন।

খুলনায় ৬৪ দিন

পর মৃত্যু

জেলা বার্তা পরিবেশক, খুলনা

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০০ শয্যাবিশিষ্ট ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে দীর্ঘ ৬৪ দিন পর করোনা সংক্রমণে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালের মুখপাত্র সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম নুরুল ইসলাম (৭০)। তার বাড়ি খুলনা নগরের ফারাজিপাড়া এলাকায়। গত ৯ জানুয়ারি কোভিড শনাক্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সর্বশেষ ৮ নভেম্বর একই ইউনিটে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানান ডা. সুহাস। তিনি বলেন, তিন মাসের মতো করোনা হাসপাতালে তেমন কোনো রোগী ছিল না। সম্প্রতি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এদিকে খুলনা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার ম-ল বলেন, নিষেধাজ্ঞার প্রথমদিন গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খুলনা নগরে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মাস্ক না থাকায় ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় অভিযানে ২৫ জনকে ১১ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে আরও একটি দল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।

২২ দিন পর

সিলেটে মৃত্যু ১

প্রতিনিধি, সিলেট

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষে সিলেটে দাপট কমেছিলো কোভিট-১৯ এর। তবে ওমিক্রন ও ডেল্টাক্রন রূপে তৃতীয় ঢেউ হয়ে বিশ্বে ফিরে এসেছে করোনা। সেই ধাক্কা লেগেছে সিলেটেও। মৃত্যুহীন ২২ দিন কাটানোর পর ২৩ দিনের মাথায় করোনায় মৃত্যু দেখেছে সিলেট বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গত বুধবার স­কাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার ৮টা পর্যন্ত- এই ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে মৃত্যু হয়েছে একজনের। তিনি সিলেট জেলার বাসিন্দা ছিলেন। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর সিলেট বিভাগে করোনায় মারা যান একজন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআর ল্যাব ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাবে ৯২১ টি নমুনা টেস্টে এই রোগী শনাক্ত হয়।

ভোলায় বন্ধ বুস্টার

ডোজ : ক্ষোভ

জেলা বার্তা পরিবেশক, ভোলা

ভোলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। গত দুই দিনে আক্রান্ত হয়েছে ৫ জন। করোনার এমন বিস্তারের মধ্যেও নেই সচেতনতা। রাস্তঘাট হাটবাজারে মাস্ক ব্যবহার করছে না কেউ। নেই দূরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা। এদিকে করোনা টিকার সংকটের কারণে বুস্টার ডোস দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে মানুষের মাঝে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তথ্য অফিস সতর্কতা জারি করে মাইকিং করতে শুরু করেছে। অপরদিকে টিকা সংকটে বুস্টার টিকা দেয়া বন্ধ রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গেল ১৫ দিন আক্রান্ত সংখ্যা কূণ্য ছিল। কিন্তু গত বুধবার কোড়ালিয়ার এক পরিবারে ৩ জন আক্রান্ত হন। ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় তিন জনের পজেটিভ আসে। এদের মধ্যে ১০ বছরের শিশু রয়েছে একজন । গত বৃহস্পতিবার ১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ জন। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যে এক মাসে আক্রান্ত ছিল না। নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত সংখ্যা ছিল ১১ জন। অপরদিকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেড় বছরে মোট আক্রান্ত ছিল ৬ হাজার ৮৫৫। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ছিল ৬ হাজার ৮৬৩ । ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৬ হাজার ৮৬৫। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৬ হাজার ৮ ৬৬ জন। নতুন বছরে আক্রান্ত সংখ্যা ছিল না। হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক ই লাহী চৌধুরী জানান, ঢাকায় করোনা আক্রান্ত বেড়ে গেলে, ভোলায়ও সতর্কতা বাড়াতে হয়। লঞ্চঘাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। টিকা সংকটের কারণে বুস্টার টিকা দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে গত বৃহস্পতিবার অনেকে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকা না পেয়ে ফিরে যান। ফলে অনেকেই ক্ষোভ জানান। জেলা প্রশাসক জানান, শিক্ষার্থীদের টিকা নেয়ার বিষয়টি অব্যাহত রয়েছে। বুস্টার টিকার ম্যাসেস আসাও বন্ধ রয়েছে। ম্যাসেস নিয়মিত হলে ফের টিকা দেয়া শুরু হবে।

করোনা ঠেকাতে বরিশাল

জেলা প্রশাসনের প্রচারণা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

দেশে ক্রমশ করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলেও জনসাধারনের মধ্যে সচেতনতা না থাকায় বরিশাল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহারে সচেতন হবার জন্য গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান পরিচালনা করেছে।

নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডে অশি^নী কুমার হল চত্বরে প্রচারনামূলক সমাবেশে জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন হায়দার বলেন, মাস্ক ব্যবহার না করলে জেল জরিমানার সরকারি নির্দেশনা আছে। কিন্তু আমরা প্রথমেই আইন প্রয়োগ না করে জনসাধারনকে নিজেদের স্বার্থে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি এবং বিনামূল্যে মাস্ক বিতরন করছি। এসময়ে তিনি বলেন, আপনারা সকলেই জানেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য চিকিৎসাকেন্দ্রে রোগী রাখার জায়গা দেওয়া যয়নি। প্রশাসন ও চিকিৎসকদের রোগীদের প্রাণ রক্ষার জন্য বেগ পেতে হয়েছে। করোনায় এখন পর্যন্ত ২৮ হজারেরও অধিক ব্যক্তি অকালে প্রাণ হারিয়েছেন। তাই নিজে বাঁচতে ও পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে মাস্ক ব্যবহারে সজাগ হবার তিনি সকলকে অনুরোধ করেন।

জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রজস্ব) গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুর রহমান খান, এনডিসি নাজমুল হুদা সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।