উদ্বোধনের আড়াই মাসেও চালু হয়নি কমিউনিটি সেন্টার

সেবাবঞ্চিত এলাকাবাসী, আয় হারাচ্ছে পৌরসভা

সৈয়দপুর পৌরসভার নবনির্মিত আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন করা হলেও এটি কাজে আসছে না পৌরবাসীর। পৌর এলাকায় কমিউনিটি সেন্টারের অভাব দূর করতে এবং সর্বসাধারণের ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল সাশ্রয়ী ভাড়ায় শহরে সভা-সেমিনার, বিয়ে ও সামাজিক অনুষ্ঠান করবে শহরবাসী। কিন্তু উদ্বোধনের দীর্ঘ আড়াই মাস গত হলেও এটি চালু করার কোন উদ্যোগই গ্রহণ করেনি পৌরসভা। ফলে এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌর বাসিন্দারা। একই সঙ্গে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকার আয় হারাচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন ও সাশ্রয়ী ভাড়ায় উন্নত কোন কমিউনিটি মিলনায়তন নেই সৈয়দপুর শহরে। পৌরবাসীর এ অভাব পূরণ এবং পৌরসভার আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাঁচতলা বিশিষ্ট আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। মোট ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৮ হাজার ৩২৫ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনে ২টি কমিউনিটি মিলনায়তনসহ বিভিন্ন পাবলিক কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে শহরবাসীর অতি প্রয়োজনীয় কমিউনিটি মিলনায়তন ২টি চালু না করায় জনসাধারণের কোন উপকারে আসছে না। এটি ব্যবহারের জন্য লোকজন পৌরসভায় যোগাযোগ করে নিরাশ হয়ে ফিরে আসছেন। মিলনায়তন ব্যবহার ইচ্ছুক লোকজন সাশ্রয়ী ভাড়ায় আশায় প্রতিদিনই ভীড় করছেন পৌরসভায়। কিন্তু পৌরসভার পক্ষ থেকে সদুত্তোর দিতে পারছে না কেউ। এই অবস্থায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে সাধারণ পৌরবাসীকে বেসরকারী কমিউনিটি সেন্টারে বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।

এদিকে পৌরসভার নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা যায়, পৌর কমিউনিটি সেন্টারের নির্মাণ শেষ হওয়ার এক বছর পর গত অক্টোবর মাসে এর উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এটি চালু করার কোন কার্যক্রম নেই পৌরসভার। ইতোপূর্বে পৌর পরিষদের মাসিক সভায় সেন্টারটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এমনকি পৌর মেয়রের নেতৃত্বে এটি পরিচালনার করণীয় ঠিক করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও এটি চালু করার কোন পদক্ষেপই নেয়নি পৌরসভা। ফলে কমিউনিটি সেন্টার চালু করার উদ্যোগ অন্ধকারে রয়ে গেছে। চালুর বিষয়টি আটকে থাকায় মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে পৌরসভা। একই সঙ্গে কমিউনিটি মিলনায়তনের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ পৌরবাসী।

জানতে চাইলে, সৈয়দপুর পৌরসভার সচিব সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কমিউনিটি মিলনায়তন প্রস্তুত থাকলেও এর আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। এটি চালু করার জন্য পৌর পরিষদের সিদ্ধান্তও প্রয়োজন। তবে এটি অপারেট কিভাবে, কারা করবে বা কি প্রক্রিয়ায় অপারেট করা হবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। এসব করণীয় ঠিক না হওয়ায় কমিউনিটি মিলনায়তন চালু করা বিলম্বিত হচ্ছে।

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২ , ০১ মাঘ ১৪২৮ ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

উদ্বোধনের আড়াই মাসেও চালু হয়নি কমিউনিটি সেন্টার

সেবাবঞ্চিত এলাকাবাসী, আয় হারাচ্ছে পৌরসভা

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

image

সৈয়দপুর পৌরসভার নবনির্মিত আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন করা হলেও এটি কাজে আসছে না পৌরবাসীর। পৌর এলাকায় কমিউনিটি সেন্টারের অভাব দূর করতে এবং সর্বসাধারণের ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল সাশ্রয়ী ভাড়ায় শহরে সভা-সেমিনার, বিয়ে ও সামাজিক অনুষ্ঠান করবে শহরবাসী। কিন্তু উদ্বোধনের দীর্ঘ আড়াই মাস গত হলেও এটি চালু করার কোন উদ্যোগই গ্রহণ করেনি পৌরসভা। ফলে এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌর বাসিন্দারা। একই সঙ্গে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকার আয় হারাচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন ও সাশ্রয়ী ভাড়ায় উন্নত কোন কমিউনিটি মিলনায়তন নেই সৈয়দপুর শহরে। পৌরবাসীর এ অভাব পূরণ এবং পৌরসভার আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাঁচতলা বিশিষ্ট আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। মোট ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৮ হাজার ৩২৫ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনে ২টি কমিউনিটি মিলনায়তনসহ বিভিন্ন পাবলিক কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে শহরবাসীর অতি প্রয়োজনীয় কমিউনিটি মিলনায়তন ২টি চালু না করায় জনসাধারণের কোন উপকারে আসছে না। এটি ব্যবহারের জন্য লোকজন পৌরসভায় যোগাযোগ করে নিরাশ হয়ে ফিরে আসছেন। মিলনায়তন ব্যবহার ইচ্ছুক লোকজন সাশ্রয়ী ভাড়ায় আশায় প্রতিদিনই ভীড় করছেন পৌরসভায়। কিন্তু পৌরসভার পক্ষ থেকে সদুত্তোর দিতে পারছে না কেউ। এই অবস্থায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে সাধারণ পৌরবাসীকে বেসরকারী কমিউনিটি সেন্টারে বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।

এদিকে পৌরসভার নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা যায়, পৌর কমিউনিটি সেন্টারের নির্মাণ শেষ হওয়ার এক বছর পর গত অক্টোবর মাসে এর উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এটি চালু করার কোন কার্যক্রম নেই পৌরসভার। ইতোপূর্বে পৌর পরিষদের মাসিক সভায় সেন্টারটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এমনকি পৌর মেয়রের নেতৃত্বে এটি পরিচালনার করণীয় ঠিক করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও এটি চালু করার কোন পদক্ষেপই নেয়নি পৌরসভা। ফলে কমিউনিটি সেন্টার চালু করার উদ্যোগ অন্ধকারে রয়ে গেছে। চালুর বিষয়টি আটকে থাকায় মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে পৌরসভা। একই সঙ্গে কমিউনিটি মিলনায়তনের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ পৌরবাসী।

জানতে চাইলে, সৈয়দপুর পৌরসভার সচিব সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কমিউনিটি মিলনায়তন প্রস্তুত থাকলেও এর আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। এটি চালু করার জন্য পৌর পরিষদের সিদ্ধান্তও প্রয়োজন। তবে এটি অপারেট কিভাবে, কারা করবে বা কি প্রক্রিয়ায় অপারেট করা হবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। এসব করণীয় ঠিক না হওয়ায় কমিউনিটি মিলনায়তন চালু করা বিলম্বিত হচ্ছে।