অনেকে পরলেও থুতনির নিচে রেখে দেন
করোনাসহ এর নতুন ধরন ওমিক্রন বেড়ে যাওয়ায় সরকারি বিধিনিষেধেও মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে না রাজধানীর অধিকাংশ মানুষকে। বিধিনিষেধের প্রথম দিনের মতোই গতকাল দ্বিতীয় দিন রাজধানীর সর্বত্রই ‘অসচেতন’ মানুষের মাঝে এ প্রবণতা দেখা গেছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন চিত্রে দেখা গেছে, রাস্তা-ঘাট, বাজার-মার্কেট, হোটেল ও চায়ের দোকান অন্যান্য স্থানে প্রতিদিনের মতো মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা থাকলেও কারো মুখে মাস্ক নেই। তবে দু-চারজন ‘সচেতন’ মানুষেরা মাস্ক পরিধান করলেও তাদের কেউ থুতনির নিচে পরিধান করেছেন। আবার কেউ কেউ মাস্ক খুলে শার্ট-প্যান্টের পকেটে রেখেছেন। কেউ আবার হাতে নিয়ে ঘুরছেন। তাদের দেখে এতটা উদাসীন মনে হয়েছে যে, মাস্ক পরলে তাদের দম বন্ধ হয়ে আসবে’। গতকাল বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও রেললাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের মোড়ের পাশের্^ রাস্তার ওপর ফুটপাত (ওপেন প্লেসে) দিয়ে মো. আরিফ নামের এক পথচারী তার ব্যক্তিগত কাজে পোস্তগোলার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু তার মুখে মাস্ক ছিল না প্রশ্ন করতেই শারীরিক অসুস্থতার দোহাই দিয়ে মাস্ক না পরার কথা জানান। তবে নানা বচন-ভঙ্গি শেষে ‘মাস্ক’ পরিধান করা উচিত বলে তিনিও জানান। খিলগাঁও রেললাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের মোড়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখা গেছে, পথচারী থেকে শুরু করে বাস, লেগুনা, রিকশা এবং ভাড়ায় চালিত মোটরবাইকে থাকা যাত্রীদের অধিকাংশের মুখেই মাস্ক ছিল না। এ প্রবণতা শুধু খিলগাঁওয়েই নয়, রাজধানীর মালিবাগ, কাকরাইল, পল্টন, ফকিরাপুল, মতিঝিল, গুলিস্তান, মৌচাক, মগবাজার, শাহজানপুর, শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, মোহাম্মাদপুর, শ্যামলী এলাকাসহ অন্যান্য স্থানেও।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রতিরোধে সরকার যে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে এর প্রথম দিন গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল ছিল দ্বিতীয় দিন। ওই বিধিনিষেধে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘরের বাইরে সর্বত্র অবশ্যই মুখে মাস্ক পরিধান করার নির্দেশনা। মাস্ক না পরলে আর্থিক জরিমানা এমনকি জেলও হতে পারে উল্লেখ করা হয়। এদিকে গতকাল বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনও বাজারÑমার্কেট, খাবার হোটেল ও চায়ের দোকানসহ পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে আড্ডায় অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি থাকলেও কারো মুখে মাস্ক পরে থাকতে দেখা তো দূরের কথা তাদের মধ্যে সচেতণতাও লক্ষ্য করা যায়নি।
জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশ ঊর্ধ্বমুখী। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার দুই শতাংশের নিচে থাকলেও ১ জানুয়ারির পর থেকে অব্যাহতভাবে বেড়ে তা ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটির পরামর্শ অনুসারে ১১ দফার বিধিনিষেধের নির্দেশনা জারি করে সরকার।
শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২ , ০১ মাঘ ১৪২৮ ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
অনেকে পরলেও থুতনির নিচে রেখে দেন
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
করোনাসহ এর নতুন ধরন ওমিক্রন বেড়ে যাওয়ায় সরকারি বিধিনিষেধেও মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে না রাজধানীর অধিকাংশ মানুষকে। বিধিনিষেধের প্রথম দিনের মতোই গতকাল দ্বিতীয় দিন রাজধানীর সর্বত্রই ‘অসচেতন’ মানুষের মাঝে এ প্রবণতা দেখা গেছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন চিত্রে দেখা গেছে, রাস্তা-ঘাট, বাজার-মার্কেট, হোটেল ও চায়ের দোকান অন্যান্য স্থানে প্রতিদিনের মতো মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা থাকলেও কারো মুখে মাস্ক নেই। তবে দু-চারজন ‘সচেতন’ মানুষেরা মাস্ক পরিধান করলেও তাদের কেউ থুতনির নিচে পরিধান করেছেন। আবার কেউ কেউ মাস্ক খুলে শার্ট-প্যান্টের পকেটে রেখেছেন। কেউ আবার হাতে নিয়ে ঘুরছেন। তাদের দেখে এতটা উদাসীন মনে হয়েছে যে, মাস্ক পরলে তাদের দম বন্ধ হয়ে আসবে’। গতকাল বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও রেললাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের মোড়ের পাশের্^ রাস্তার ওপর ফুটপাত (ওপেন প্লেসে) দিয়ে মো. আরিফ নামের এক পথচারী তার ব্যক্তিগত কাজে পোস্তগোলার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু তার মুখে মাস্ক ছিল না প্রশ্ন করতেই শারীরিক অসুস্থতার দোহাই দিয়ে মাস্ক না পরার কথা জানান। তবে নানা বচন-ভঙ্গি শেষে ‘মাস্ক’ পরিধান করা উচিত বলে তিনিও জানান। খিলগাঁও রেললাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের মোড়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখা গেছে, পথচারী থেকে শুরু করে বাস, লেগুনা, রিকশা এবং ভাড়ায় চালিত মোটরবাইকে থাকা যাত্রীদের অধিকাংশের মুখেই মাস্ক ছিল না। এ প্রবণতা শুধু খিলগাঁওয়েই নয়, রাজধানীর মালিবাগ, কাকরাইল, পল্টন, ফকিরাপুল, মতিঝিল, গুলিস্তান, মৌচাক, মগবাজার, শাহজানপুর, শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, মোহাম্মাদপুর, শ্যামলী এলাকাসহ অন্যান্য স্থানেও।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রতিরোধে সরকার যে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে এর প্রথম দিন গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল ছিল দ্বিতীয় দিন। ওই বিধিনিষেধে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘরের বাইরে সর্বত্র অবশ্যই মুখে মাস্ক পরিধান করার নির্দেশনা। মাস্ক না পরলে আর্থিক জরিমানা এমনকি জেলও হতে পারে উল্লেখ করা হয়। এদিকে গতকাল বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনও বাজারÑমার্কেট, খাবার হোটেল ও চায়ের দোকানসহ পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে আড্ডায় অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি থাকলেও কারো মুখে মাস্ক পরে থাকতে দেখা তো দূরের কথা তাদের মধ্যে সচেতণতাও লক্ষ্য করা যায়নি।
জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশ ঊর্ধ্বমুখী। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার দুই শতাংশের নিচে থাকলেও ১ জানুয়ারির পর থেকে অব্যাহতভাবে বেড়ে তা ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটির পরামর্শ অনুসারে ১১ দফার বিধিনিষেধের নির্দেশনা জারি করে সরকার।