করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি

একদিনে বাড়লো ৩০ শতাংশ

করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতির আরও অবনতি, একদিনেই বাড়লো ৩০ শতাংশের বেশি রোগী। ফলে করোনাভাইরাস মহামারীতে বাংলাদেশ ফিরে গেল ২০ সপ্তাহ পেছনে। বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে রোগী ও শনাক্তের হার বাড়লেও কমেছে মৃত্যু।

এদিকে আগের দিন ১২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হলেও গত এক দিনে তা কমে হয়েছে ছয়জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ২৮ হাজার ১২৯ জন। এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত এক লাফে চার হাজার ৩৭৮ জন। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশে।

একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ গত বছরের ২৬ অগাস্ট, সেদিন চার হাজার ৬৯৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় দেশে রোগী পাওয়া যায় তিন হাজার ৩৫৯ জন। অর্থাৎ এক দিনেই রোগী বেড়েছে এক হাজার ৩৩৯ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৯ হাজার ৪২ জনে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বাড়ছে। করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে গত বছরের মাঝামাঝি দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বেড়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।

গত মাসের প্রথম দিকেও দেশে করোনা শনাক্তের হার এক শতাংশের ঘরেই ছিল। তবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে এসে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। গত মাসের শেষ দিকে যেখানে দৈনিক রোগী শনাক্ত ৫০০-এর ঘরে ছিল, সেখানে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে এই সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায় গত সোমবার। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই দৈনিক রোগী শনাক্ত চার হাজার ছাড়িয়ে গেল।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত বৃহস্পতিবার দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৫১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৩০৬ জন। এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ৩৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৯ হাজার ৮৭১টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে দুইজন পুরুষ, চারজন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন তিনজন। চট্টগ্রাম বিভাগে দুইজন এবং রাজশাহী বিভাগে একজন মারা গেছেন। মৃত ছয়জনের পাঁচজন সরকারি হাসপাতালে ও একজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২ , ০১ মাঘ ১৪২৮ ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি

একদিনে বাড়লো ৩০ শতাংশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতির আরও অবনতি, একদিনেই বাড়লো ৩০ শতাংশের বেশি রোগী। ফলে করোনাভাইরাস মহামারীতে বাংলাদেশ ফিরে গেল ২০ সপ্তাহ পেছনে। বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে রোগী ও শনাক্তের হার বাড়লেও কমেছে মৃত্যু।

এদিকে আগের দিন ১২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হলেও গত এক দিনে তা কমে হয়েছে ছয়জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ২৮ হাজার ১২৯ জন। এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত এক লাফে চার হাজার ৩৭৮ জন। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশে।

একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ গত বছরের ২৬ অগাস্ট, সেদিন চার হাজার ৬৯৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় দেশে রোগী পাওয়া যায় তিন হাজার ৩৫৯ জন। অর্থাৎ এক দিনেই রোগী বেড়েছে এক হাজার ৩৩৯ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৯ হাজার ৪২ জনে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বাড়ছে। করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে গত বছরের মাঝামাঝি দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বেড়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।

গত মাসের প্রথম দিকেও দেশে করোনা শনাক্তের হার এক শতাংশের ঘরেই ছিল। তবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে এসে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। গত মাসের শেষ দিকে যেখানে দৈনিক রোগী শনাক্ত ৫০০-এর ঘরে ছিল, সেখানে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে এই সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায় গত সোমবার। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই দৈনিক রোগী শনাক্ত চার হাজার ছাড়িয়ে গেল।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত বৃহস্পতিবার দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৫১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৩০৬ জন। এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ৩৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৯ হাজার ৮৭১টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে দুইজন পুরুষ, চারজন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন তিনজন। চট্টগ্রাম বিভাগে দুইজন এবং রাজশাহী বিভাগে একজন মারা গেছেন। মৃত ছয়জনের পাঁচজন সরকারি হাসপাতালে ও একজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।