খালেদার উপদেষ্টা ঢাবি শিক্ষক তাজমেরী ইসলাম কারাগারে

মুক্তি দাবি সাদা দলের

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাজমেরী এস ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয় বলে মহিলা কারাগারের সুপার হালিমা খাতুন জানান। এর আগে সকালে রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের বাসা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও রোকেয়া হলের প্রভোস্ট তাজমেরী ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, একটি রাজনৈতিক মামলায় তাজমেরী এস ইসলামকে তার উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়। এ সময় তার জামিন আবেদন করা হলে বিচারক তা নাকচ করে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস জানান, তাজমেরী এস ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। ওয়ারেন্ট তামিল টিম তাকে আদালতে হাজির করালে আদালত কারাগারে পাঠান। কোন মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়েরেন্টে অত বিস্তারিত লেখা থাকে না। আর উনি নেতা বা খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাও জানা ছিল না। এখন বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি। তাজমেরী ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক শিক্ষক এবং বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক।

মুক্তি দাবি সাদা দলের

ঢাবি প্রতিনিধি জানান, গতকাল বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাদা দলের শিক্ষকেরা অধ্যাপক তাজমেরীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন সাদা দলের বর্তমান আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান। তাজমেরী এস ইসলাম একসময় সাদা দলের আহ্বায়ক ছিলেন।

সাদা দলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তাজমেরী এস ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খ্যাতিমান ও সফল শিক্ষকই শুধু ছিলেন না, ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিক্ষক নেতা। একজন রসায়নবিদ হিসেবে তিনি কেবল দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সমানভাবে পরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান অনুষদের একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত ডিন, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এমন একজন কৃতী শিক্ষাবিদকে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মারপিটসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় উত্তরা পশ্চিম থানায় হওয়া মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার ও জামিন বাতিল করে কারান্তরীণ করার ঘটনাকে আমরা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করি।

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২ , ০১ মাঘ ১৪২৮ ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

খালেদার উপদেষ্টা ঢাবি শিক্ষক তাজমেরী ইসলাম কারাগারে

মুক্তি দাবি সাদা দলের

আদালত বার্তা পরিবেশক

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাজমেরী এস ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয় বলে মহিলা কারাগারের সুপার হালিমা খাতুন জানান। এর আগে সকালে রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের বাসা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও রোকেয়া হলের প্রভোস্ট তাজমেরী ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, একটি রাজনৈতিক মামলায় তাজমেরী এস ইসলামকে তার উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়। এ সময় তার জামিন আবেদন করা হলে বিচারক তা নাকচ করে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস জানান, তাজমেরী এস ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। ওয়ারেন্ট তামিল টিম তাকে আদালতে হাজির করালে আদালত কারাগারে পাঠান। কোন মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়েরেন্টে অত বিস্তারিত লেখা থাকে না। আর উনি নেতা বা খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাও জানা ছিল না। এখন বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি। তাজমেরী ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক শিক্ষক এবং বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক।

মুক্তি দাবি সাদা দলের

ঢাবি প্রতিনিধি জানান, গতকাল বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাদা দলের শিক্ষকেরা অধ্যাপক তাজমেরীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন সাদা দলের বর্তমান আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান। তাজমেরী এস ইসলাম একসময় সাদা দলের আহ্বায়ক ছিলেন।

সাদা দলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তাজমেরী এস ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খ্যাতিমান ও সফল শিক্ষকই শুধু ছিলেন না, ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিক্ষক নেতা। একজন রসায়নবিদ হিসেবে তিনি কেবল দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সমানভাবে পরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান অনুষদের একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত ডিন, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এমন একজন কৃতী শিক্ষাবিদকে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মারপিটসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় উত্তরা পশ্চিম থানায় হওয়া মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার ও জামিন বাতিল করে কারান্তরীণ করার ঘটনাকে আমরা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করি।