যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সেনা মহড়া ‘এক্সারসাইজ নবদিগন্ত’

রাত থেকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নে উদ্বেগ। এ ইউনিয়নের দানাকুড়া গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। শত্রুদেশের সেনাদের আক্রমণ। ভূখন্ড রক্ষায় রাতভর প্রস্তুতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর। রাতের আঁধার কেটে ভোরের আলো ফুটতেই সেই প্রস্তুতিতে যুক্ত হয় অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক, এপিসিসহ সাজোয়া যানগুলো। আকাশে এপাচে হেলিকপ্টার প্রস্তুত। সকাল ১০টায় শুরু হয় আক্রমণ। সেনাবাহিনীর যোদ্ধারা প্রথমে পুঁতে রাখা মাইনগুলো বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর আসতে থাকে ট্যাঙ্ক ও এপিসিসহ সাজোয়া যানের বহর। একটি ট্যাঙ্কে করে টার্গেট পয়েন্টে আসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এরপরই চূড়ান্ত আক্রমণ শুরু করে সেনাবাহিনী। কামানের গোলা, ট্যাঙ্ক থেকে শক্রদলকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে সেনারা।

এভাবে চূড়ান্ত আক্রমণে বিজয় লাভের মধ্য দিয়ে গত বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার দানাকুড়া গ্রামে প্রকৃত যুদ্ধের আদলেই আয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ ‘এক্সারসাইজ নব দিগন্ত’ শেষ হয়েছে।

সেনাবাহিনীর এ যুদ্ধ মহড়ায় বৃহস্পতিবার দিনটি অন্যরকম ছিল স্থানীয় গ্রামবাসীর কাছে। স্বাধীনতার পর (৫০ বছরে) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এমন যুদ্ধাবস্থায় দেখেনি গ্রামবাসী। শীতকালীন প্রশিক্ষণ মহড়া এক্সারসাইজ নব দিগন্তের সুবাধে সেনাবাহিনীর সক্ষমতাও দারুণভাবে উপভোগ করেছে গ্রামবাসী। বললেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যে কঠোর প্রশিক্ষণ দেখলাম তাতে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তারা খুবই পরিশ্রমী এবং দেশরক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে সেনাবাহিনীর কাল্পনিক এ যুদ্ধে যুক্ত হয়েছে প্যারাকমান্ডো বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী। চূড়ান্ত আক্রমণের শুরুতে বিমান থেকে প্যারাসুটে করে ভূমিতে নামে প্যারাকমান্ডো বাহিনী। পৌনে ১২টার দিকে সাজোয়া যানের বহর নিয়ে এগিয়ে যান সেনাপ্রধান এস এম শফিউল হক। এই মহড়া যুদ্ধের নেতৃত্বে ছিলেন সেনাপ্রধান নিজেই।

এই অনুশীলনে দূরপাল্লার এমএলআরএস এর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ছত্রীসেনা এবং বিমানবাহিনীর মিগ-২৯ জঙ্গি বিমানও অংশগ্রহণ করে।

এক মাসব্যাপী এ এই শীতকালীন অনুশীলন আয়োজন করা হয়েছে এবার সারাদেশে। সেনাবাহিনীর লজিস্টিকস এর উপরে ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ (এফটিএক্স) এবারই প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়। এবার সেনাবাহিনীর সব স্তরের সদস্য অংশ নেয়।

বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তাগাছায় অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত অনুশীলন পর্বে অংশ নেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন। এর আগে সেনা সদরের আর্মি কমান্ড পোস্ট ও সাপোর্ট সেন্টার পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান এবং ডিফেন্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিজাব) সদস্যরা।

গত ৯ জানুয়ারি সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জলসিঁড়ি আবাসন এলাকায় প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির আদলেই তৈরি করা হয় সাপোর্ট সেন্টার। সেখানে মাটির নিচে বাঙ্কার কক্ষ। মাটির নিচে বিশাল এলাকাজুড়ে যুদ্ধবন্দীদের রাখার জায়গা। এমনকি সেখানে বন্দীদের জন্য জেনেভা কনভেনশন অনুসারে নেয়া হয় সার্বিক উদ্যোগ। সেখানে সেনাসদর দপ্তরের প্রতিটি উইংয়ের ফিল্ড কমান্ড সেন্টার স্থাপন করা হয়েছিল।

সাভারে মিলিটারি ফার্মের মাটির নিচে বিশেষ প্রযুক্তিতে বিশাল আয়তনে স্থাপন করা হয় সেনাসদর। সেনাসদরে যেসব কর্মকা- পরিচালিত হয় তার একটি বহিরাঙ্গন চিত্র দেখা যায় সেখানে।

অনুশীলনের সমাপনীতে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লজিস্টিকসের উপরে ‘এফটিএক্স’ পরিচালনা করল। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে এটা সেনাবাহিনীর জন্য একটি মাইলফলক। আমরা সক্ষমতার একটা ধাপে আগালাম। ভবিষ্যতে এটাকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবো।’

সেনাপ্রধান বলেন, আমরা ওই মন্ত্রে গভীরভাবে বিশ্বাস করি, ‘কঠিন প্রশিক্ষণ, সহজ যুদ্ধ’।

এক প্রশ্নের জবাবে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, ‘এই আবহাওয়ায় অনেক সময় অনেক ফ্লাইট চলাচল করে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উড়োজাহাজ কিন্তু এই আবহাওয়ার মধ্যেই ৩৬ সেনা সদস্য নিয়ে এখানে এসেছে ও অবতরণ করেছে। বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে গেছে।’

অন্য প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাইবার ক্যাপাবিলিটি বাড়ানোর ব্যাপারে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এ আমাদের পরিকল্পনা আছে। সেই অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আপনারা মনে রাখবেন একটা প্রশিক্ষণেই সমস্ত কিছু ধারণ করা যায় না। এবারের প্রশিক্ষণ আমাদের লজিস্টিকসের উপর। সক্ষমতাটা কেমন। সে দিক থেকে আমি অত্যন্ত খুশি, অনেক ভালো হয়েছে।’

সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন-উর-রশিদ বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ শীতকালীন প্রশিক্ষণের উদ্দেশে সেনাসদর ও সেনাবাহিনীর সব ফরমেশন পূর্ণাঙ্গরূপে নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫০ বছর পূর্তিতে এবার প্রথমবারের মতো লজিস্টিকস ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ পরিচালনা করা হয়। সাম্প্রতিককালে নতুন সংযোজিত অস্ত্র ও সরঞ্জাম এবারের অনুশীলনে ব্যবহৃত হয়।

সমাপনী এই আয়োজনে এই অনুশীলন পর্যবেক্ষণ করতে আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাসদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসাররা, জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড এবং অন্য জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা।

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২ , ০১ মাঘ ১৪২৮ ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সেনা মহড়া ‘এক্সারসাইজ নবদিগন্ত’

সাইফ বাবলু ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে ফিরে

image

মহড়া চলাকালে একটি ট্যাঙ্কে করে টার্গেট পয়েন্টে আসেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ -সংবাদ

রাত থেকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নে উদ্বেগ। এ ইউনিয়নের দানাকুড়া গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। শত্রুদেশের সেনাদের আক্রমণ। ভূখন্ড রক্ষায় রাতভর প্রস্তুতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর। রাতের আঁধার কেটে ভোরের আলো ফুটতেই সেই প্রস্তুতিতে যুক্ত হয় অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক, এপিসিসহ সাজোয়া যানগুলো। আকাশে এপাচে হেলিকপ্টার প্রস্তুত। সকাল ১০টায় শুরু হয় আক্রমণ। সেনাবাহিনীর যোদ্ধারা প্রথমে পুঁতে রাখা মাইনগুলো বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর আসতে থাকে ট্যাঙ্ক ও এপিসিসহ সাজোয়া যানের বহর। একটি ট্যাঙ্কে করে টার্গেট পয়েন্টে আসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এরপরই চূড়ান্ত আক্রমণ শুরু করে সেনাবাহিনী। কামানের গোলা, ট্যাঙ্ক থেকে শক্রদলকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে সেনারা।

এভাবে চূড়ান্ত আক্রমণে বিজয় লাভের মধ্য দিয়ে গত বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার দানাকুড়া গ্রামে প্রকৃত যুদ্ধের আদলেই আয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ ‘এক্সারসাইজ নব দিগন্ত’ শেষ হয়েছে।

সেনাবাহিনীর এ যুদ্ধ মহড়ায় বৃহস্পতিবার দিনটি অন্যরকম ছিল স্থানীয় গ্রামবাসীর কাছে। স্বাধীনতার পর (৫০ বছরে) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এমন যুদ্ধাবস্থায় দেখেনি গ্রামবাসী। শীতকালীন প্রশিক্ষণ মহড়া এক্সারসাইজ নব দিগন্তের সুবাধে সেনাবাহিনীর সক্ষমতাও দারুণভাবে উপভোগ করেছে গ্রামবাসী। বললেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যে কঠোর প্রশিক্ষণ দেখলাম তাতে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তারা খুবই পরিশ্রমী এবং দেশরক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে সেনাবাহিনীর কাল্পনিক এ যুদ্ধে যুক্ত হয়েছে প্যারাকমান্ডো বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী। চূড়ান্ত আক্রমণের শুরুতে বিমান থেকে প্যারাসুটে করে ভূমিতে নামে প্যারাকমান্ডো বাহিনী। পৌনে ১২টার দিকে সাজোয়া যানের বহর নিয়ে এগিয়ে যান সেনাপ্রধান এস এম শফিউল হক। এই মহড়া যুদ্ধের নেতৃত্বে ছিলেন সেনাপ্রধান নিজেই।

এই অনুশীলনে দূরপাল্লার এমএলআরএস এর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ছত্রীসেনা এবং বিমানবাহিনীর মিগ-২৯ জঙ্গি বিমানও অংশগ্রহণ করে।

এক মাসব্যাপী এ এই শীতকালীন অনুশীলন আয়োজন করা হয়েছে এবার সারাদেশে। সেনাবাহিনীর লজিস্টিকস এর উপরে ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ (এফটিএক্স) এবারই প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়। এবার সেনাবাহিনীর সব স্তরের সদস্য অংশ নেয়।

বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তাগাছায় অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত অনুশীলন পর্বে অংশ নেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন। এর আগে সেনা সদরের আর্মি কমান্ড পোস্ট ও সাপোর্ট সেন্টার পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান এবং ডিফেন্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিজাব) সদস্যরা।

গত ৯ জানুয়ারি সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জলসিঁড়ি আবাসন এলাকায় প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির আদলেই তৈরি করা হয় সাপোর্ট সেন্টার। সেখানে মাটির নিচে বাঙ্কার কক্ষ। মাটির নিচে বিশাল এলাকাজুড়ে যুদ্ধবন্দীদের রাখার জায়গা। এমনকি সেখানে বন্দীদের জন্য জেনেভা কনভেনশন অনুসারে নেয়া হয় সার্বিক উদ্যোগ। সেখানে সেনাসদর দপ্তরের প্রতিটি উইংয়ের ফিল্ড কমান্ড সেন্টার স্থাপন করা হয়েছিল।

সাভারে মিলিটারি ফার্মের মাটির নিচে বিশেষ প্রযুক্তিতে বিশাল আয়তনে স্থাপন করা হয় সেনাসদর। সেনাসদরে যেসব কর্মকা- পরিচালিত হয় তার একটি বহিরাঙ্গন চিত্র দেখা যায় সেখানে।

অনুশীলনের সমাপনীতে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লজিস্টিকসের উপরে ‘এফটিএক্স’ পরিচালনা করল। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে এটা সেনাবাহিনীর জন্য একটি মাইলফলক। আমরা সক্ষমতার একটা ধাপে আগালাম। ভবিষ্যতে এটাকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবো।’

সেনাপ্রধান বলেন, আমরা ওই মন্ত্রে গভীরভাবে বিশ্বাস করি, ‘কঠিন প্রশিক্ষণ, সহজ যুদ্ধ’।

এক প্রশ্নের জবাবে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, ‘এই আবহাওয়ায় অনেক সময় অনেক ফ্লাইট চলাচল করে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উড়োজাহাজ কিন্তু এই আবহাওয়ার মধ্যেই ৩৬ সেনা সদস্য নিয়ে এখানে এসেছে ও অবতরণ করেছে। বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে গেছে।’

অন্য প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাইবার ক্যাপাবিলিটি বাড়ানোর ব্যাপারে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এ আমাদের পরিকল্পনা আছে। সেই অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আপনারা মনে রাখবেন একটা প্রশিক্ষণেই সমস্ত কিছু ধারণ করা যায় না। এবারের প্রশিক্ষণ আমাদের লজিস্টিকসের উপর। সক্ষমতাটা কেমন। সে দিক থেকে আমি অত্যন্ত খুশি, অনেক ভালো হয়েছে।’

সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন-উর-রশিদ বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ শীতকালীন প্রশিক্ষণের উদ্দেশে সেনাসদর ও সেনাবাহিনীর সব ফরমেশন পূর্ণাঙ্গরূপে নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫০ বছর পূর্তিতে এবার প্রথমবারের মতো লজিস্টিকস ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ পরিচালনা করা হয়। সাম্প্রতিককালে নতুন সংযোজিত অস্ত্র ও সরঞ্জাম এবারের অনুশীলনে ব্যবহৃত হয়।

সমাপনী এই আয়োজনে এই অনুশীলন পর্যবেক্ষণ করতে আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাসদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসাররা, জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড এবং অন্য জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা।