বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহ

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গত শনিবার দুপুরে শ্বাসকষ্ট রোগীদের সালবিটামল গ্রুপের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। গত ১৫ দিন যাবত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সালবিটামল গ্রুপের এই মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত শনিবার দুপুরে এমন অভিযোগ করেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শ্বাসকষ্টের রোগী বেগম সুলতানা খানমের ছেলে শাহানূর ইসলাম ।

শাহানূর ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে আমার মায়ের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। শ্বাসকষ্ট বেশি হওয়ায় শনিবার দুপুরের দিকে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমার মাকে নিয়ে আসি। চিকিৎসক তার অবস্থা দেখে তাকে গ্যাস দিতে বলেন। এ সময় গ্যাস দেয়া নেবুলাইজারে তরল সলিউশন সালবিটামল গ্রুপের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সলিউশনের গায়ে লেখা তারিখ অনুযায়ী দেখা যায়, গত প্রায় ১৫ দিন আগেই সেই ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে।

শাহানূর আরও বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মায়ের আগে আরেক রোগীকেও শ্বাসকষ্টের ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছিল। সেটিরও মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। এরপর বিষয়টি আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা সেই ওষুধ রোগীকে প্রয়োগ করা বন্ধ করেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা রোগীরা বলেন, এই হাসপাতালে এলাকার বেশিরভাগ সাধারণ, অশিক্ষিত মানুষেরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। আর সেখানে যদি রোগীদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রয়োগ করা হয় তাহলে আমরা এখানে কোন ভরসায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসবো? তারা আরো বলেন, আমরা শুনেছি মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভুল ওষুধ প্রয়োগের কারণে রোগীদের মৃত্যু হয়।

এ ব?্যাপারে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ সংরক্ষণাগারের স্টোরকিপার রুহুল আমিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জরুরী বিভাগের লোকজনের ওপর দায় চাপিয়ে বলেন, ওষুধের স্টোর থেকে এই ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি। জরুরী বিভাগের লোকজন কোথা থেকে এই ওষুধ পেয়েছেন ও তা প্রয়োগ করছেন তা আমার জানা নেই। তবে এমন ঘটনার কথা তিনিও নাকি শুনেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. কানিজ ফারহানার সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে হাসপাতালে। জানার পরে সেই ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২ , ০৩ মাঘ ১৪২৮ ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহ

প্রতিনিধি, বদলগাছী (নওগাঁ)

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গত শনিবার দুপুরে শ্বাসকষ্ট রোগীদের সালবিটামল গ্রুপের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। গত ১৫ দিন যাবত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সালবিটামল গ্রুপের এই মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত শনিবার দুপুরে এমন অভিযোগ করেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শ্বাসকষ্টের রোগী বেগম সুলতানা খানমের ছেলে শাহানূর ইসলাম ।

শাহানূর ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে আমার মায়ের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। শ্বাসকষ্ট বেশি হওয়ায় শনিবার দুপুরের দিকে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমার মাকে নিয়ে আসি। চিকিৎসক তার অবস্থা দেখে তাকে গ্যাস দিতে বলেন। এ সময় গ্যাস দেয়া নেবুলাইজারে তরল সলিউশন সালবিটামল গ্রুপের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সলিউশনের গায়ে লেখা তারিখ অনুযায়ী দেখা যায়, গত প্রায় ১৫ দিন আগেই সেই ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে।

শাহানূর আরও বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মায়ের আগে আরেক রোগীকেও শ্বাসকষ্টের ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছিল। সেটিরও মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। এরপর বিষয়টি আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা সেই ওষুধ রোগীকে প্রয়োগ করা বন্ধ করেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা রোগীরা বলেন, এই হাসপাতালে এলাকার বেশিরভাগ সাধারণ, অশিক্ষিত মানুষেরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। আর সেখানে যদি রোগীদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রয়োগ করা হয় তাহলে আমরা এখানে কোন ভরসায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসবো? তারা আরো বলেন, আমরা শুনেছি মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভুল ওষুধ প্রয়োগের কারণে রোগীদের মৃত্যু হয়।

এ ব?্যাপারে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ সংরক্ষণাগারের স্টোরকিপার রুহুল আমিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জরুরী বিভাগের লোকজনের ওপর দায় চাপিয়ে বলেন, ওষুধের স্টোর থেকে এই ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি। জরুরী বিভাগের লোকজন কোথা থেকে এই ওষুধ পেয়েছেন ও তা প্রয়োগ করছেন তা আমার জানা নেই। তবে এমন ঘটনার কথা তিনিও নাকি শুনেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. কানিজ ফারহানার সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে হাসপাতালে। জানার পরে সেই ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।