মতলব উত্তরের আশ্রয়ণ নানা সমস্যায় জর্জরিত

মতলব উত্তরের সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ হওয়া ১১টি ঘরে প্রয়োজন বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা। ঘর নির্মাণের পর সেখানে প্রবেশ করা ১১টি পরিবারের সবাই বিদ্যুৎ না থাকা, পানি সঙ্কট, শীতবস্ত্র সঙ্কটময় ভোগান্তিতে রয়েছেন। ২৩ জানুয়ারি রোববার সরেজমিনে গেলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আছিয়া, প্রিয়াঙ্কা, মঞ্জু রানী, আরিফ, তছি বেগমসহ অন্যান্যরা এসব দুর্ভোগের কথা বলেন।

তারা আরও বলেন, ঘরে বিদ্যুতের মিটার সংযোগ নেই। ঘরে উঠার পর কিছুদিন অন্ধকারে থেকে বাধ্য হয়ে সাইড লাইন দিয়ে আলো জ্বালাচ্ছি। ১১টি পরিবারের সবার জন্য স্থাপন করা হয়েছে মাত্র ২টি গভীর নলকূপ।

এরমধ্যে দায়সারাভাবে নলকূপ স্থাপন করায় এখানের একটি নলকূপ প্রথম থেকেই বিকল এবং অন্যটিতে পরিমাণ মতো পানি উঠে না। যার কারণে সুপেয় পানির অভাবে আমরা ভুগছি। কেউ আমাদের খোঁজ খবর নিতে চাচ্ছে না এবং এমনকি উপজেলা প্রশাসন থেকেও এসব বিষয়ে যেন তদারকি নেই।

প্রিয়াঙ্কা, মঞ্জু রানী ও তছি বেগম বলেন, আমাদের ঘরে বিদ্যুতের মিটার না থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। পরে পাশের ঘর থেকে সাইডলাইন এনে কোন রকম চলছি। খাবারের পানি নাই, গোসলের পানি নাই, টয়লেটের ট্যাঙ্কের অবস্থা ভালো না। তাই এখানকার স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিয়তই বাগবিত-া করতে হয়। কেউই আমাদের এমন শীতেও প্রধানমন্ত্রীর উপহার শীতবস্ত্র দেয়নি।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মতলব উত্তরের ছেঙ্গারচর পৌরসভায় ৫টি, গজরা ইউনিয়নে ৫টি ও সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে ১১টি সহ মোট ২১টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গতবছরের জানুয়ারিতে এই ঘরগুলো মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বরাদ্দ করা হয় ভূমি ও আশ্রয়হীন মানুষের জন্য। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। বাসস্থানহীন পরিবারের মাঝে ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া শেষে দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান বলেন, ঘরগুলো নির্মাণ করে আমরা প্রতিটি ঘরের থাকা বাসিন্দাদের কাছে দলিল করে হস্তান্তর করেছি। টিউবয়েল, বিদ্যুত ও টয়লেট সমস্যা থাকলে অবশ্যই আমরা সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। শীতবস্ত্রের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সমস্যা সমাধান করে দেয়া হবে।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২ , ১০ মাঘ ১৪২৮ ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

মতলব উত্তরের আশ্রয়ণ নানা সমস্যায় জর্জরিত

প্রতিনিধি, চাঁদপুর

image

চাঁদপুর : মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্লাপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ -সংবাদ

মতলব উত্তরের সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ হওয়া ১১টি ঘরে প্রয়োজন বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা। ঘর নির্মাণের পর সেখানে প্রবেশ করা ১১টি পরিবারের সবাই বিদ্যুৎ না থাকা, পানি সঙ্কট, শীতবস্ত্র সঙ্কটময় ভোগান্তিতে রয়েছেন। ২৩ জানুয়ারি রোববার সরেজমিনে গেলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আছিয়া, প্রিয়াঙ্কা, মঞ্জু রানী, আরিফ, তছি বেগমসহ অন্যান্যরা এসব দুর্ভোগের কথা বলেন।

তারা আরও বলেন, ঘরে বিদ্যুতের মিটার সংযোগ নেই। ঘরে উঠার পর কিছুদিন অন্ধকারে থেকে বাধ্য হয়ে সাইড লাইন দিয়ে আলো জ্বালাচ্ছি। ১১টি পরিবারের সবার জন্য স্থাপন করা হয়েছে মাত্র ২টি গভীর নলকূপ।

এরমধ্যে দায়সারাভাবে নলকূপ স্থাপন করায় এখানের একটি নলকূপ প্রথম থেকেই বিকল এবং অন্যটিতে পরিমাণ মতো পানি উঠে না। যার কারণে সুপেয় পানির অভাবে আমরা ভুগছি। কেউ আমাদের খোঁজ খবর নিতে চাচ্ছে না এবং এমনকি উপজেলা প্রশাসন থেকেও এসব বিষয়ে যেন তদারকি নেই।

প্রিয়াঙ্কা, মঞ্জু রানী ও তছি বেগম বলেন, আমাদের ঘরে বিদ্যুতের মিটার না থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। পরে পাশের ঘর থেকে সাইডলাইন এনে কোন রকম চলছি। খাবারের পানি নাই, গোসলের পানি নাই, টয়লেটের ট্যাঙ্কের অবস্থা ভালো না। তাই এখানকার স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিয়তই বাগবিত-া করতে হয়। কেউই আমাদের এমন শীতেও প্রধানমন্ত্রীর উপহার শীতবস্ত্র দেয়নি।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মতলব উত্তরের ছেঙ্গারচর পৌরসভায় ৫টি, গজরা ইউনিয়নে ৫টি ও সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে ১১টি সহ মোট ২১টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গতবছরের জানুয়ারিতে এই ঘরগুলো মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বরাদ্দ করা হয় ভূমি ও আশ্রয়হীন মানুষের জন্য। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। বাসস্থানহীন পরিবারের মাঝে ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া শেষে দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান বলেন, ঘরগুলো নির্মাণ করে আমরা প্রতিটি ঘরের থাকা বাসিন্দাদের কাছে দলিল করে হস্তান্তর করেছি। টিউবয়েল, বিদ্যুত ও টয়লেট সমস্যা থাকলে অবশ্যই আমরা সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। শীতবস্ত্রের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সমস্যা সমাধান করে দেয়া হবে।